ক্ষমাহি শ্রেষ্ঠ গুণঃ- বাক্যের অনুবাদ কি?
A
ক্ষমাই শ্রেষ্ঠ কথা
B
ক্ষমা ছাড়া গুণ নাই
C
ক্ষমাই শ্রেষ্ঠ গুণ
D
ক্ষমা পেতে গুণ চাই
উত্তরের বিবরণ
“ক্ষমাহি শ্রেষ্ঠ গুণঃ” একটি নীতিমূলক ও ধর্মনৈতিক সংস্কৃত উক্তি, যা মানবগুণের শ্রেষ্ঠত্বে ক্ষমার অবস্থান নির্দেশ করে। এখানে ক্ষমাকে সর্বোচ্চ নৈতিক মূল্য হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
-
ক্ষমা: দোষ ক্ষমা করা, দয়াশীলতা বা সহিষ্ণু মনোভাব বোঝায়।
-
হি: এখানে ক্রিয়াপদ হিসেবে “হয়” বা “ই” অর্থে ব্যবহৃত।
-
শ্রেষ্ঠ গুণঃ: অর্থাৎ সর্বোত্তম বা সেরা গুণ।
-
অর্থ: “ক্ষমা হল সর্বোত্তম গুণ”, অর্থাৎ অন্যান্য সকল গুণের মধ্যেও ক্ষমাই সর্বাধিক মহৎ।
-
নৈতিক তাৎপর্য: এটি নীতিশাস্ত্র, ধর্মগ্রন্থ ও সংস্কৃত সাহিত্য জুড়ে পুনঃপুন উল্লেখিত একটি ভাব, যা মানবিকতা, আত্মসংযম ও করুণাবোধের প্রতীক।
-
ভুল বিকল্পসমূহ: “ক্ষমাই শ্রেষ্ঠ কথা” বা “ক্ষমা ছাড়া গুণ নাই” — এই রূপগুলো মূল শব্দার্থ ও ব্যাকরণগত যথার্থতা বজায় রাখে না।
অতএব, বাক্যটির সঠিক অর্থ ও ভাব অনুযায়ী উত্তর হলো — “গ) ক্ষমাই শ্রেষ্ঠ গুণ।”

0
Updated: 1 day ago
দিনরাত পূণ্য অর্জন কর- এর সংস্কৃত অনুবাদ কি?
Created: 1 day ago
A
দিবারাত্র পূণ্য অর্জয়
B
অহোরাত্র পূণ্যম্ অর্জয়
C
প্রতিদিন পূণ্য অর্জনম্
D
দিনং দিনং পূণ্য আহরতি
সংস্কৃত বাক্য “অহোরাত্র পূণ্যম্ অর্জয়” একটি নির্দেশমূলক বা আদেশবাচক বাক্য, যার দ্বারা নিয়মিত সৎকর্ম ও ধর্মচর্চার উপদেশ দেওয়া হয়েছে। বাক্যের প্রতিটি শব্দের নিজস্ব অর্থ একত্রে একটি গভীর নৈতিক বার্তা প্রকাশ করে।
১. অহঃ (Ahaḥ) — অর্থ “দিন” বা “দিবস”, আবার অহোরাত্র শব্দে এটি “দিনরাত্রি” অর্থে ব্যবহৃত।
২. রাত্র (Rātra) — অর্থ “রাত্রি” বা “রাত”। অহঃ + রাত্র = অহোরাত্র, যার মানে “দিনরাত”।
৩. পূণ্যম্ (Puṇyam) — অর্থ “পুণ্য”, “ধর্মসাধনা” বা “সৎকর্মের ফল”।
৪. অর্জয় (Arjaya) — ক্রিয়াপদ, অর্থ “অর্জন করো” বা “সংগ্রহ করো”।
৫. সব মিলিয়ে “অহোরাত্র পূণ্যম্ অর্জয়” অর্থ — “দিনরাত পুণ্য অর্জন করো”, যা মানুষকে সর্বদা সৎ, নৈতিক ও ধর্মনিষ্ঠ জীবনের আহ্বান জানায়।
৬. এই বাক্যটির মূল ভাব হলো, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে ধর্ম, করুণা ও সৎকর্মের চর্চা করা — সেটিই প্রকৃত পুণ্য অর্জনের পথ।

0
Updated: 1 day ago
"বুদ্ধির্যস্য বলং তস্য" এর বাংলা অনুবাদ কোনটি?
Created: 23 hours ago
A
বুদ্ধি যার বল তার
B
বুদ্ধিহীনের বল বেশী
C
বুদ্ধি থাকলে বল বাড়ে
D
বুদ্ধি আছে তাই বল আছে
এই বাক্যটি সংস্কৃত সূত্র “বুদ্ধির্যস্য বলং তস্য”–এর বিশ্লেষণকে প্রকাশ করে, যার অর্থ “যার বুদ্ধি, তারই বল বা শক্তি।” এটি জ্ঞান ও বুদ্ধির গুরুত্বকে তুলে ধরে, যেখানে বুদ্ধিকে প্রকৃত শক্তির উৎস হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
-
বুদ্ধি = বুদ্ধি বা জ্ঞান — মনের বিশ্লেষণ ক্ষমতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের শক্তি।
-
যস্য = যার — এখানে কার অধিকার বোঝানো হয়েছে।
-
বলং = শক্তি বা ক্ষমতা — শারীরিক বা মানসিক উভয় শক্তিকেই বোঝায়।
-
তস্য = তার — পূর্বোক্ত ব্যক্তিকে নির্দেশ করে।
-
এই সূত্রের ভাবার্থ হলো, যার মধ্যে জ্ঞান ও বুদ্ধি আছে, প্রকৃত শক্তি তারই মধ্যে নিহিত।
-
এতে বোঝানো হয়েছে যে বুদ্ধি বা জ্ঞান ছাড়া বলের কোনো প্রকৃত মূল্য নেই, কারণ শক্তির সঠিক ব্যবহার কেবল বুদ্ধিমান ব্যক্তিই করতে পারে।
-
প্রাচীন ভারতীয় দর্শনে এই ধারণা বর্ণিত হয়েছে যে বুদ্ধি শক্তির নিয়ন্ত্রক, তাই বলের চেয়ে জ্ঞান শ্রেষ্ঠ।

0
Updated: 23 hours ago
অজ্ঞানতা দুঃখের মূল- এর অনুবাদ কি?
Created: 1 day ago
A
অজ্ঞানতা দুঃখাৎ মূলম্
B
অজ্ঞানতা দুঃখস্য মূলম্
C
অজ্ঞানতাঃ দুঃখ ভবেৎ
D
অজ্ঞানতা দুঃখং কারণম
সংস্কৃত বাক্যটি “অজ্ঞানতা দুঃখস্য মূলম্” অর্থাৎ “অজ্ঞানতা দুঃখের মূল” — নীতিশাস্ত্র ও দর্শনের এক গভীর সত্যকে প্রকাশ করে। এটি বোঝায় যে মানুষের দুঃখ, কষ্ট ও বিভ্রান্তির প্রধান কারণ হলো জ্ঞানের অভাব বা অজ্ঞানতা।
-
অজ্ঞানতা শব্দের অর্থ অজ্ঞতা বা জ্ঞানহীনতা, যা মানুষকে সত্য উপলব্ধি থেকে দূরে রাখে।
-
দুঃখস্য হলো “দুঃখ” শব্দের সম্বন্ধসূচক (Genitive) বিভক্তি, যার দ্বারা সম্পর্ক বা অধিকার বোঝানো হয়— এখানে অর্থ “দুঃখের”।
-
মূলম্ মানে মূল, কারণ, বা উৎস।
-
তাই বাক্যটির আক্ষরিক অনুবাদ দাঁড়ায় — “অজ্ঞানতা দুঃখের মূল বা কারণ”।
-
দর্শনশাস্ত্র অনুসারে, অজ্ঞানতা থেকেই মোহ, কামনা, আসক্তি ও দুঃখের জন্ম হয়, এবং জ্ঞানই সেই দুঃখ মোচনের উপায়।
-
এই ধারণা উপনিষদ, বেদান্ত এবং বৌদ্ধ দর্শন— সব ধারাতেই সমানভাবে প্রতিফলিত।
-
উদাহরণস্বরূপ, বৌদ্ধধর্মে বলা হয়েছে — “অবিদ্যা পচ্চয়া সংখারা”, অর্থাৎ অজ্ঞানতা থেকেই সংসারের চক্র বা দুঃখের উৎপত্তি।
অতএব, এই বাক্যটি মানবজীবনের একটি সার্বজনীন সত্য নির্দেশ করে — যেখানে জ্ঞান আছে, সেখানেই দুঃখের অবসান ঘটে।

0
Updated: 1 day ago