'অভিজ্ঞানশকুন্তলম্' নাটকটি কত অঙ্কে রচিত?
A
৭টি
B
৬টি
C
৫টি
D
৪টি
উত্তরের বিবরণ
সংস্কৃত সাহিত্যজগতে “অভিজ্ঞানশকুন্তলম্” হলো মহাকবি কালিদাস রচিত এক অনন্য নাট্যকাব্য, যা ভারতীয় নাট্যসাহিত্যের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন হিসেবে স্বীকৃত। এই নাটকটি সপ্ত অঙ্কে (৭ অঙ্কে) বিভক্ত এবং প্রতিটি অঙ্কে কাহিনির ধাপে ধাপে বিকাশ ঘটেছে, যেখানে প্রেম, বেদনা ও পুনর্মিলনের মিশ্রণ এক গভীর আবেগ সৃষ্টি করেছে।
১. প্রথম অঙ্ক: শকুন্তলার শৈশব ও তপোবনে তার নির্জন জীবনচিত্র।
২. দ্বিতীয় অঙ্ক: রাজা দুষ্যন্ত ও শকুন্তলার প্রথম সাক্ষাৎ ও প্রেমজাগরণ।
৩. তৃতীয় অঙ্ক: দুষ্যন্তের রাজ্যে প্রত্যাবর্তন ও বিচ্ছেদের সূচনা।
৪. চতুর্থ অঙ্ক: শকুন্তলার অভিশাপপ্রাপ্তি ও দুষ্যন্তের রাজমুদ্রা হারানো।
৫. পঞ্চম অঙ্ক: শকুন্তলার দুঃখ, অনুতাপ ও দিব্য আশীর্বাদের প্রতীক্ষা।
৬. ষষ্ঠ অঙ্ক: রাজপ্রাসাদে পুনর্মিলনের পূর্বাভাস এবং সত্য উন্মোচন।
৭. সপ্তম অঙ্ক: দুষ্যন্ত ও শকুন্তলার পুনর্মিলন এবং নাটকের সমাপ্তি।
নাটকটি তার রূপক, সংলাপ ও আবেগপ্রবণ বর্ণনা-এর জন্য বিশ্বসাহিত্যে অমর হয়ে আছে। এর অঙ্কবিন্যাস ও নাট্যগঠন ভারতীয় নাট্যরীতির একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
সঠিক উত্তর: ক) ৭টি

0
Updated: 1 day ago
উপনিষদের প্রধান বিষয়বস্তু কি?
Created: 23 hours ago
A
জ্যোতিষ
B
আত্মতত্ত্ব
C
ব্রহ্মবিদ্যা
D
যজ্ঞবিদ্যা
উপনিষদ হলো প্রাচীন ভারতীয় দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক গ্রন্থসমূহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যার মূল উদ্দেশ্য আত্মা ও ব্রহ্মের সম্পর্ক উদ্ঘাটন এবং আত্মজ্ঞান অর্জনের পথ নির্দেশ করা। এগুলো বেদের অন্তিম অংশ হিসেবে ‘বেদান্ত’ নামেও পরিচিত।
-
উপনিষদে আত্মা (ব্যক্তিগত সত্তা) ও ব্রহ্ম (সর্বজনীন সত্তা)-এর ঐক্য নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে।
-
এর মূল লক্ষ্য মোক্ষ বা মুক্তি, যা আত্ম-জ্ঞান ও ব্রহ্মজ্ঞান দ্বারা লাভ করা সম্ভব বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
-
এতে ধ্যান, তপস্যা, মনঃসংযম ও জ্ঞানের মাধ্যমে সত্য অনুধাবনের পথ নির্দেশ করা হয়েছে।
-
উপনিষদগুলোর ভাষা মূলত রূপক, সংলাপ ও দার্শনিক বিশ্লেষণমূলক, যা চিন্তাশীল পাঠককে আত্মবিশ্লেষণে উদ্বুদ্ধ করে।
-
যদিও জ্যোতিষ বা যজ্ঞবিদ্যার মতো বিষয় আংশিকভাবে উল্লেখিত, তবে মূল কেন্দ্রবিন্দু আত্মতত্ত্ব বা আত্মদর্শন।
-
এ কারণে উপনিষদকে ভারতীয় দর্শনের ভিত্তি এবং আধ্যাত্মিক জ্ঞানের শ্রেষ্ঠ উৎস হিসেবে গণ্য করা হয়।

0
Updated: 23 hours ago
"স্বপ্নবাসবদত্তম" নাটকটি কয়টি অঙ্কে নির্মিত?
Created: 1 day ago
A
৭টি
B
৫ টি
C
৬টি
D
৮টি
মহান সংস্কৃত নাট্যকার ভাস রচিত “স্বপ্নবাসবদত্তম” নাটকটি তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাট্যকীর্তি হিসেবে বিবেচিত। এটি ছয় অঙ্কে (ষট্অঙ্কে) রচিত এবং এর মধ্যে কাব্যগুণ, নাট্যরস ও কূটনৈতিক কৌশল একত্রে প্রকাশ পেয়েছে। নাটকটির মূল কেন্দ্রবিন্দু হলো রাজা উদয়ন ও বাসবদত্তার প্রেমকাহিনি, যা রোমান্টিকতা ও রাজনীতির মিশ্রণে এক অনন্য নাট্যসৃষ্টি হয়ে উঠেছে।
১. “স্বপ্নবাসবদত্তম” মোট ৬ অঙ্কে নির্মিত, যা ভাসের নাট্যরচনার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
২. কাহিনিতে দেখা যায়, বাসবদত্তাকে মৃত মনে করা হলেও, নাটকের শেষে এক “স্বপ্নময় পুনর্মিলন”-এর মাধ্যমে সে জীবন্ত রূপে ফিরে আসে, যা নাটকের নামের অর্থকে প্রতিফলিত করে।
৩. এতে রাজনীতি ও প্রেম—দুটি মূল স্রোত একত্রে প্রবাহিত হয়েছে, যেখানে উদয়নের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও বাসবদত্তার প্রেম নাট্যরসকে গভীর করেছে।
4. নাটকটিতে ভাসের নাট্যসংগঠন, সংলাপপ্রয়োগ ও চরিত্রচিত্রণে অসাধারণ দক্ষতা দেখা যায়, যা তাঁকে সংস্কৃত সাহিত্যে এক শাশ্বত স্থান দিয়েছে।
৫. “স্বপ্নবাসবদত্তম” পরবর্তী যুগের অনেক নাট্যকারের ওপরও প্রভাব ফেলেছিল, বিশেষত রাজা–রানি সম্পর্কভিত্তিক রোমান্টিক নাটকগুলোতে।
সঠিক উত্তর: গ) ৬টি

0
Updated: 1 day ago
দুর্বাসা মুনি কে ছিলেন?
Created: 23 hours ago
A
সাধক
B
দেবতা
C
শকুন্তলার পালক পিতা
D
অভিশাপদানকারী মুনি
দুর্বাসা মুনি প্রাচীন ভারতের পুরাণ ও সাহিত্যে এক বিখ্যাত ঋষি, যিনি তাঁর কঠোর স্বভাব ও অভিশাপদানের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর চরিত্র বিভিন্ন কাব্য ও নাটকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
-
দুর্বাসা মুনি ছিলেন এক মহান তপস্বী, যিনি সামান্য অসন্তোষেও রুষ্ট হতেন এবং সঙ্গে সঙ্গে অভিশাপ দিতেন।
-
কালিদাসের ‘অভিজ্ঞান শকুন্তলম্’ নাটকে, শকুন্তলা যখন দুষ্যন্তের স্মৃতিতে বিভোর হয়ে দুর্বাসার আগমন উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হন, তখন রুষ্ট ঋষি তাঁকে অভিশাপ দেন যাতে তাঁর স্বামী তাঁকে ভুলে যান।
-
এই অভিশাপের ফলেই নাটকের মূল সংঘাত সৃষ্টি হয় এবং তা গল্পকে গভীর আবেগপূর্ণ ও নাটকীয় মোড়ে নিয়ে যায়।
-
দুর্বাসা মুনির এই আচরণ ভারতীয় সাহিত্যে রাগ ও তপস্যার দ্বন্দ্বের এক প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
বহু পুরাণে তাঁকে মহর্ষি অত্রি ও অনসূয়া-এর পুত্র বলা হয়েছে, যা তাঁর ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় মর্যাদাকে আরও সুদৃঢ় করে।

0
Updated: 23 hours ago