সংস্কৃত ভাষায় সন্ধি কত প্রকার?
A
৫ প্রকার
B
২ প্রকার
C
৩ প্রকার
D
৬ প্রকার
উত্তরের বিবরণ
সন্ধি সংস্কৃত ব্যাকরণের একটি মৌলিক ধ্বনিগত প্রক্রিয়া, যেখানে দুটি শব্দ বা ধ্বনি পরস্পরের সংযোগে পরিবর্তিত হয়ে নতুন রূপ ধারণ করে। এটি উচ্চারণের সুষমতা ও বাক্যগঠনকে সাবলীল করে তোলে। পাণিনীর অষ্টাধ্যায়ীতে সন্ধিকে তিনটি প্রধান প্রকারে ভাগ করা হয়েছে।
১. স্বরসন্ধি (Vowel Sandhi): দুটি স্বর পরস্পরের সংস্পর্শে এলে যে ধ্বনি-পরিবর্তন ঘটে, তাকে স্বরসন্ধি বলে। যেমন— “राम + इन्द्रः = रामेन्द्रঃ”।
২. ব্যঞ্জনসন্ধি (Consonant Sandhi): দুটি ব্যঞ্জনের মিলনে ধ্বনি পরিবর্তন ঘটে। যেমন— “तत् + जनः = तज्जनः”।
৩. বিসর্গসন্ধি (Visarga Sandhi): বিসর্গ (ঃ) বা সমজাতীয় ধ্বনির সংযোগে যে পরিবর্তন হয়, তা বিসর্গসন্ধি নামে পরিচিত। যেমন— “रामः + इति = राम इति”।
৪. ধ্বনিগত গুরুত্ব: প্রতিটি সন্ধির নির্দিষ্ট নিয়ম ও ব্যাকরণিক ধ্বনিবিন্যাস আছে, যা সঠিক উচ্চারণ, ছন্দ ও শব্দরূপ নির্ধারণে অপরিহার্য।
৫. মূল ভাবার্থ: সংস্কৃত ভাষার স্বাভাবিক উচ্চারণ, শব্দসংযোগ ও ছন্দবিন্যাস রক্ষায় সন্ধির তিন প্রকার—স্বরসন্ধি, ব্যঞ্জনসন্ধি ও বিসর্গসন্ধি—অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

0
Updated: 1 day ago