রামায়ণের অধ্যায়গুলোর নাম কি?
A
পরিচ্ছেদ
B
পর্ব
C
অধ্যায়
D
কান্ড
উত্তরের বিবরণ
রামায়ণ মহাকাব্যটি মহর্ষি বাল্মীকী রচিত, যেখানে শ্রীরামের জীবন ও কর্মধারা সাতটি প্রধান ভাগে বিভক্ত, যেগুলোকে “কাণ্ড” বলা হয়। এই “কাণ্ড” শব্দের অর্থ বৃহৎ অধ্যায় বা পর্ব, যা কাহিনির ধারাবাহিক ও সংগঠিত কাঠামো নির্দেশ করে।
-
বালকাণ্ড: রামের জন্ম, শৈশব ও বিশ্বামিত্রের সঙ্গে যাত্রা।
-
অযোধ্যাকাণ্ড: রামের রাজ্যাভিষেকের প্রস্তুতি, কৈকেয়ীর দাবিতে বনবাস।
-
অরণ্যকাণ্ড: রামের বনবাস, সীতাহরণ ও রাবণের আবির্ভাব।
-
কিষ্কিন্ধাকাণ্ড: হনুমান, বালি ও সুগ্রীবের কাহিনি, রামের মিত্রতা স্থাপন।
-
সন্দরকাণ্ড: হনুমানের লঙ্কাগমন, সীতার সন্ধান ও তাঁর ভক্তির প্রকাশ।
-
যুদ্ধকাণ্ড: লঙ্কাযুদ্ধ, রাবণের বধ ও সীতার পুনরুদ্ধার।
-
উত্তরকাণ্ড: অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তন, রামের রাজ্যশাসন ও চূড়ান্ত পরিণতি।
সুতরাং, রামায়ণের প্রতিটি অংশকে “কাণ্ড” বলা হয়, যা কাব্যের সম্পূর্ণ জীবনগাথাকে সাতটি প্রধান অধ্যায়ে বিন্যস্ত করেছে।

0
Updated: 1 day ago
দাতৃ শব্দের স্ত্রীলিঙ্গের রূপ কোনটি?
Created: 23 hours ago
A
ধাত্রী
B
দাতৃন
C
দাত্রী
D
বিদাতৃ
দাতৃ শব্দটি সংস্কৃত ধাতু “দা” (অর্থাৎ দেওয়া) থেকে গঠিত, যার অর্থ দানকারী বা দান প্রদানকারী ব্যক্তি। এটি পুরুষলিঙ্গ শব্দ, এবং ব্যাকরণের নিয়ম অনুযায়ী এর স্ত্রীলিঙ্গ রূপ হয় “দাত্রী”, যার অর্থ দানকারী নারী।
-
“দাত্রী” হলো সঠিক স্ত্রীলিঙ্গ রূপ, যা “দাতৃ” শব্দের অর্থ অক্ষুণ্ণ রাখে।
-
“ধাত্রী” শব্দের অর্থ ধারণকারী বা লালনকারী, যেমন— পৃথিবী বা ধাত্রীমাতা।
-
“দাতৃন” সংস্কৃত ব্যাকরণে প্রচলিত রূপ নয়, অর্থগতভাবে অশুদ্ধ।
-
“বিদাতৃ” শব্দটি “বিধাতা” বা সৃষ্টিকর্তা অর্থে ব্যবহৃত হয়, যা সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে।
-
তাই “দাতৃ”-এর সঠিক স্ত্রীলিঙ্গ রূপ “দাত্রী”, কারণ এটি মূল অর্থের ধারাবাহিকতা বজায় রাখে এবং ব্যাকরণসম্মতভাবে সঠিক।

0
Updated: 23 hours ago
বিদিশা নগরীর পাশ দিয়ে কোন নদী বয়ে গেছে?
Created: 1 day ago
A
সরস্বতী
B
যমুনা
C
বেত্রবর্তী
D
পদ্মা
বিদিশা ছিল মধ্যপ্রদেশের একটি প্রাচীন ও ঐতিহাসিক নগরী, যার পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে বেত্রবতী নদী — বর্তমানের বেত্ওয়া নদী (Betwa River)। এই নদীই ছিল নগরীর প্রধান প্রাণশক্তি ও সাংস্কৃতিক বিকাশের অন্যতম উৎস।
-
অবস্থান: বিদিশা বর্তমান ভোপাল জেলার নিকটে অবস্থিত একটি প্রাচীন নগরী।
-
নদীর পরিচয়: বেত্রবতী নদী পরবর্তীতে বেত্ওয়া নদী নামে পরিচিত হয়।
-
সাহিত্যিক উল্লেখ: ভাসের নাটক “স্বপ্নবাসবদত্তম” ও “প্রতিজ্ঞা যৌগন্ধরায়ণম্”-এ এই নদী ও নগরীর বর্ণনা পাওয়া যায়।
-
ঐতিহাসিক গুরুত্ব: বেত্রবতী নদী বিদিশার জীবনধারা, কৃষি, বাণিজ্য ও সৌন্দর্যের ভিত্তি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
-
রাজপ্রাসাদের অবস্থান: উদয়ন রাজার প্রাসাদ এই নদীর তীরে অবস্থিত ছিল বলে কাহিনিতে উল্লেখ পাওয়া যায়।
তাই বেত্রবতী (বেত্রবর্তী) নদীর সঙ্গে বিদিশার ঐতিহাসিক ও সাহিত্যিক পরিচিতি গভীরভাবে যুক্ত, এবং সে কারণেই সঠিক উত্তর “গ) বেত্রবতী (বেত্রবর্তী)”।

0
Updated: 1 day ago
পুরাণ সাহিত্যে কতটি লক্ষণের উল্লেখ আছে?
Created: 23 hours ago
A
৭ টি
B
৬ টি
C
৫ টি
D
৪ টি
পুরাণের প্রকৃত স্বরূপ বোঝাতে প্রাচীন পণ্ডিতরা এর নির্দিষ্ট লক্ষণ নির্ধারণ করেছেন, যেগুলোকে সম্মিলিতভাবে “পঞ্চলক্ষণ” বলা হয়। গরুড় পুরাণ ও নরদ পুরাণসহ অন্যান্য পুরাণেও এই পাঁচটি বিষয়ের উল্লেখ পাওয়া যায়, যা পুরাণকে অন্য সাহিত্যধারা থেকে পৃথক করেছে।
১. সর্গ – ব্রহ্মার দ্বারা বিশ্বসৃষ্টির বর্ণনা, অর্থাৎ মহাবিশ্বের আদিরূপ সৃষ্টিকাহিনী।
২. প্রতিসর্গ – প্রলয়ের পর মহাবিশ্বের পুনঃসৃষ্টি, যা সৃষ্টির চক্রবৃত্ত ধারণাকে প্রকাশ করে।
৩. বংশ – দেবতা, ঋষি ও রাজাদের বংশাবলি, যা ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার বোঝায়।
৪. মন্বন্তর – প্রতিটি মনুর শাসনকাল ও সেই সময়কার গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলি, যা যুগ বা পর্বভিত্তিক ইতিহাস তুলে ধরে।
৫. বংশানুচরিত – রাজবংশের বীর, পুণ্যবান ও খ্যাতনামা পুরুষদের কর্মজীবনের বিবরণ, যা নৈতিকতা ও আদর্শের দৃষ্টান্ত হিসেবে উপস্থাপিত।
এই পাঁচটি লক্ষণের উপস্থিতিই পুরাণকে পূর্ণতা দেয় এবং ধর্ম, ইতিহাস ও দর্শনের সমন্বয়ে এক অনন্য সাহিত্যরূপ সৃষ্টি করে।

0
Updated: 23 hours ago