অজ্ঞানতা দুঃখের মূল- এর অনুবাদ কি?
A
অজ্ঞানতা দুঃখাৎ মূলম্
B
অজ্ঞানতা দুঃখস্য মূলম্
C
অজ্ঞানতাঃ দুঃখ ভবেৎ
D
অজ্ঞানতা দুঃখং কারণম
উত্তরের বিবরণ
সংস্কৃত বাক্যটি “অজ্ঞানতা দুঃখস্য মূলম্” অর্থাৎ “অজ্ঞানতা দুঃখের মূল” — নীতিশাস্ত্র ও দর্শনের এক গভীর সত্যকে প্রকাশ করে। এটি বোঝায় যে মানুষের দুঃখ, কষ্ট ও বিভ্রান্তির প্রধান কারণ হলো জ্ঞানের অভাব বা অজ্ঞানতা।
-
অজ্ঞানতা শব্দের অর্থ অজ্ঞতা বা জ্ঞানহীনতা, যা মানুষকে সত্য উপলব্ধি থেকে দূরে রাখে।
-
দুঃখস্য হলো “দুঃখ” শব্দের সম্বন্ধসূচক (Genitive) বিভক্তি, যার দ্বারা সম্পর্ক বা অধিকার বোঝানো হয়— এখানে অর্থ “দুঃখের”।
-
মূলম্ মানে মূল, কারণ, বা উৎস।
-
তাই বাক্যটির আক্ষরিক অনুবাদ দাঁড়ায় — “অজ্ঞানতা দুঃখের মূল বা কারণ”।
-
দর্শনশাস্ত্র অনুসারে, অজ্ঞানতা থেকেই মোহ, কামনা, আসক্তি ও দুঃখের জন্ম হয়, এবং জ্ঞানই সেই দুঃখ মোচনের উপায়।
-
এই ধারণা উপনিষদ, বেদান্ত এবং বৌদ্ধ দর্শন— সব ধারাতেই সমানভাবে প্রতিফলিত।
-
উদাহরণস্বরূপ, বৌদ্ধধর্মে বলা হয়েছে — “অবিদ্যা পচ্চয়া সংখারা”, অর্থাৎ অজ্ঞানতা থেকেই সংসারের চক্র বা দুঃখের উৎপত্তি।
অতএব, এই বাক্যটি মানবজীবনের একটি সার্বজনীন সত্য নির্দেশ করে — যেখানে জ্ঞান আছে, সেখানেই দুঃখের অবসান ঘটে।

0
Updated: 1 day ago
অহিংসা শ্রেষ্ঠ ধর্ম- এর সংস্কৃত অনুবাদ কি?
Created: 1 day ago
A
অহিংসা বৃহৎ ধর্মঃ
B
অহিংসাহি পরম ধর্মঃ
C
অহিংসা পরমো ধর্মঃ
D
অহিসাং পরা ধর্মঃ
বাক্যটি “অহিংসা শ্রেষ্ঠ ধর্ম” সংস্কৃত ভাষায় অনুবাদ করলে হয় “অহিংসা পরমো ধর্মঃ”। এটি একটি প্রসিদ্ধ নীতিবাক্য, যা বহু ধর্মগ্রন্থ ও শাস্ত্রে উদ্ধৃত হয়েছে এবং মানবধর্মের সারকথা প্রকাশ করে।
১. অহিংসা অর্থাৎ জীব বা প্রাণীর প্রতি কোনো প্রকার হিংসা না করা, কারো ক্ষতি না করা বা আঘাত না দেওয়া।
২. পরমঃ শব্দের অর্থ “শ্রেষ্ঠ” বা “সর্বোত্তম”।
৩. ধর্মঃ অর্থ নীতি, কর্তব্য বা মানবজীবনের সঠিক পথ।
৪. ফলে “অহিংসা পরমো ধর্মঃ”-এর অর্থ দাঁড়ায় — “অহিংসাই সর্বোত্তম ধর্ম” বা “অহিংসাই মানবতার শ্রেষ্ঠ আদর্শ।”
৫. এই নীতি বৌদ্ধ, জৈন ও হিন্দু ধর্মে সমভাবে গুরুত্ব পেয়েছে; মহাত্মা গান্ধীও অহিংসাকে জীবনের মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।
৬. এই বাক্য মানবসভ্যতার সর্বজনীন নৈতিক আদর্শ হিসেবে আজও প্রাসঙ্গিক।
সঠিক উত্তর: গ) অহিংসা পরমো ধর্মঃ

0
Updated: 1 day ago
বিদ্যা বিনয় দান করে- এর সংস্কৃত অনুবাদ কোনটি?
Created: 1 day ago
A
বিদ্যা বিনয়ং দানং কুরু
B
বিদ্যা আহরতি বিনয়ং
C
বিদ্যা কুরুং বিনয়ং
D
বিদ্যা দদাতি বিনয়ম
সংস্কৃত বাক্যটি “বিদ্যা দদাতি বিনয়ম্” অর্থাৎ “বিদ্যা বা জ্ঞান মানুষকে বিনয় দান করে” — মানবচরিত্র গঠনের একটি গভীর নীতিবাক্য। এটি জ্ঞানের প্রকৃত উদ্দেশ্য ও তার নৈতিক প্রভাবকে তুলে ধরে।
-
“দদাতি” শব্দটি এসেছে √দা (দান) ধাতু থেকে, যার অর্থ “দেয়” বা “দান করে”।
-
আক্ষরিক অর্থে বাক্যটির মানে — “বিদ্যা বিনয় দান করে” বা “জ্ঞান মানুষকে নম্র করে তোলে”।
-
এটি একটি নীতিশ্লোকের অংশ, যার পূর্ণ রূপ—
“বিদ্যা দদাতি বিনয়ম্, বিনয়াদ্ যতি পাত্রতাম্।
পাত্রत्वাৎ অর্থমাপ্নোতি, অর্থাৎ ধর্মং ततঃ सुखম্॥” -
অর্থাৎ বিদ্যা বিনয় দেয়, বিনয় থেকে আসে যোগ্যতা, যোগ্যতা থেকে সম্পদ, এবং সম্পদ থেকে ধর্ম ও সুখ লাভ হয়।
-
শ্লোকটি বোঝায় যে সত্যিকারের জ্ঞান মানুষকে অহংকারহীন, নম্র ও শালীন করে তোলে।
-
এতে জ্ঞানের নৈতিক দিক প্রকাশিত হয় — জ্ঞান কেবল তথ্য নয়, এটি চরিত্রের পরিশুদ্ধিও ঘটায়।
-
এই নীতি ভারতীয় শিক্ষাচিন্তার একটি মূল দর্শন, যেখানে বিদ্যা ও বিনয়ের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য হিসেবে গণ্য।

0
Updated: 1 day ago
আতের ত্রাণ কর- এর সংস্কৃত অনুবাদ কি?
Created: 1 day ago
A
আর্তানাস্য সেবায়
B
আর্তানাং ত্রানং কুরু
C
আর্তস্য ত্রানায় কুরু
D
আর্তস্য ত্রানং কুরু
এই বাক্যটি একটি উপদেশমূলক সংস্কৃত বাক্য, যা মানবিক সহানুভূতি ও করুণা প্রকাশ করে। এতে দুঃখভোগী ব্যক্তির প্রতি সাহায্যের আহ্বান জানানো হয়েছে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
আর্ত (आर्त): অর্থ দুঃখিত, কষ্টগ্রস্ত ব্যক্তি বা যিনি বিপদে আছেন।
-
স্য / স্যং (स्य / स्यं): অর্থ “এর জন্য” বা “তার প্রতি” — এটি ষষ্ঠী বিভক্তি নির্দেশ করে।
-
ত্রানং / ত্রনং (त्राणं): অর্থ ত্রাণ, সাহায্য বা রক্ষা।
-
কুরু (कुरु): √কৃ (কর) ধাতু থেকে উদ্ভূত লোট্ লকার (আজ্ঞার্থে) ক্রিয়া, অর্থ “করো”।
-
সম্পূর্ণ বাক্য: “আর্তস্য ত্রাণং কুরু” → অর্থ “দুঃখিত বা কষ্টগ্রস্ত ব্যক্তির ত্রাণ কর”।
-
বাক্যের ভাবার্থ: এটি এক মানবিক আহ্বান— কষ্টে থাকা মানুষের প্রতি সহানুভূতি, সাহায্য ও রক্ষার নির্দেশ।
-
নৈতিক তাৎপর্য: প্রাচীন নীতিশাস্ত্রে এমন বাক্য মানবধর্মের মূলনীতি হিসেবে বিবেচিত, যা সমাজে দয়া ও পরার্থপরতার শিক্ষা দেয়।

0
Updated: 1 day ago