মহাভারতের সর্বশেষ পর্বের নাম কি?
A
আদিপর্ব
B
সভাপর্ব
C
বনপর্ব
D
স্বর্গারোহণ পর্ব
উত্তরের বিবরণ
মহাভারতের শেষ পর্বের নাম “স্বর্গারোহণ পর্ব”, যা এই মহাকাব্যের ১৮তম ও সমাপনী অধ্যায়। এটি মহর্ষি ব্যাসদেব রচিত মহাভারতের কাহিনির পরিণতি নির্দেশ করে, যেখানে পার্থিব জীবনের সমাপ্তি ও আত্মার চূড়ান্ত গমনপথ তুলে ধরা হয়েছে।
-
পর্বসংখ্যা: মহাভারতে মোট ১৮টি পর্ব রয়েছে।
-
প্রথম পর্ব: আদিপর্ব, যেখানে পাণ্ডব ও কৌরব বংশের উৎপত্তি ও প্রেক্ষাপট বর্ণিত।
-
শেষ পর্ব: স্বর্গারোহণ পর্ব, যেখানে পাণ্ডবদের জীবনের শেষ অধ্যায় ও যুধিষ্ঠিরের স্বর্গারোহণের কাহিনি বর্ণিত হয়েছে।
-
মূল বিষয়বস্তু: এই পর্বে পাণ্ডবদের তপস্যা, মৃত্যুর পর যুধিষ্ঠিরের ধর্মপরায়ণতা ও সত্যনিষ্ঠার পুরস্কার হিসেবে স্বর্গলাভের বিবরণ পাওয়া যায়।
-
আধ্যাত্মিক তাৎপর্য: এটি ধর্ম, ন্যায়, কর্মফল ও জীবনের চূড়ান্ত মুক্তির প্রতীক হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়।
অতএব, মহাভারতের শেষ পর্ব বা সমাপ্তি অধ্যায় হলো “স্বর্গারোহণ পর্ব”।

0
Updated: 1 day ago
কবিষু কালিদাসঃ শ্রেষ্ঠঃ - এর অনুবাদ কোনটি?
Created: 23 hours ago
A
কবি কালিদাস শ্রেষ্ঠ
B
কালিদাস আমাদের বড় কবি
C
কালিদাস ছাড়া কবি নাই
D
কবিদের মধ্যে কালিদাস শ্রেষ্ঠ
এই উক্তিটি কালিদাসের অসামান্য প্রতিভা ও সাহিত্যকীর্তির স্বীকৃতি প্রকাশ করে। সংস্কৃত সাহিত্যে তাঁর স্থান অনন্য, এবং “কবিষু কালিদাসঃ শ্রেষ্ঠঃ” বাক্যটি তাঁকে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
১. “কবিষু” অর্থ কবিদের মধ্যে, যা একটি সমষ্টিবাচক রূপ।
২. “কালিদাসঃ” দ্বারা বোঝানো হয়েছে মহান সংস্কৃত কবি কালিদাসকে।
৩. “শ্রেষ্ঠঃ” মানে সর্বোত্তম বা উৎকৃষ্টতম, যা তাঁর সাহিত্যমানের সর্বোচ্চ পর্যায়কে নির্দেশ করে।
৪. বাক্যটির অর্থ— “কবিদের মধ্যে কালিদাস শ্রেষ্ঠ”, যা তাঁর কাব্যপ্রতিভার সর্বজনস্বীকৃত অবস্থানকে প্রকাশ করে।
৫. কালিদাসের রচনায় প্রকৃতি, প্রেম, মানবতা ও নন্দনচেতনার গভীর প্রকাশ তাঁকে এই শ্রেষ্ঠত্বের আসনে অধিষ্ঠিত করেছে।

0
Updated: 23 hours ago
পঞ্চতন্ত্র কে রচনা করেন?
Created: 1 day ago
A
মাঘ
B
ভাস
C
বিষ্ণুশর্মা
D
রাজশেখর বসু
‘পঞ্চতন্ত্র’ (Panchatantra) প্রাচীন ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নীতিগ্রন্থ, যার রচয়িতা হলেন আচার্য বিষ্ণুশর্মা (Viṣṇuśarma)। এটি নীতিকথা বা উপকথার মাধ্যমে মানবজীবনের বাস্তব শিক্ষা, বুদ্ধি ও রাজনীতি ব্যাখ্যা করে।
-
বিষ্ণুশর্মা ছিলেন একজন জ্ঞানী ও অভিজ্ঞ ব্রাহ্মণ, যিনি নীতি ও রাজনীতির শিক্ষক হিসেবে পরিচিত।
-
কিংবদন্তি অনুসারে, রাজা অমরশক্তির তিন অজ্ঞ ও মূর্খ পুত্রকে শিক্ষিত ও বুদ্ধিমান করে তোলার জন্যই বিষ্ণুশর্মা এই গ্রন্থ রচনা করেন।
-
তিনি শিক্ষা প্রদানের মাধ্যম হিসেবে গল্প, উপকথা ও প্রাণী চরিত্র ব্যবহার করেন, যাতে শিক্ষাগুলি সহজে মনে রাখা যায়।
-
‘পঞ্চতন্ত্র’ মূলত পাঁচটি তন্ত্র বা বিভাগে বিভক্ত— প্রতিটি অংশে জীবনের নির্দিষ্ট নীতি বা কৌশল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
-
গ্রন্থটির মূল উদ্দেশ্য ছিল রাজনীতি, প্রজ্ঞা, কূটনীতি, নৈতিকতা ও বাস্তবজীবনের জ্ঞান প্রদান।
-
এটি কেবল সংস্কৃত সাহিত্যেই নয়, বিশ্বের নানা ভাষায় অনূদিত হয়ে মানবজীবনের এক সর্বজনীন শিক্ষাগ্রন্থে পরিণত হয়েছে।
অতএব, ‘পঞ্চতন্ত্র’-এর রচয়িতা বিষ্ণুশর্মা, যিনি গল্পের মাধ্যমে জীবনের গভীর নীতিবোধ ও বাস্তব শিক্ষা উপস্থাপন করেছেন।

0
Updated: 1 day ago
সরস্বতীর জলে অবগাহন করে মেঘ কোন নগরে যাবে?
Created: 1 day ago
A
কনখল
B
উজ্জয়িনী
C
গন্ধবতী
D
অলকা
মহাকবি কালিদাস রচিত “মেঘদূত” কাব্যটি প্রেম, প্রকৃতি ও বিরহের এক অনন্য সংমিশ্রণ, যেখানে এক যক্ষ তার প্রিয় স্ত্রীর কাছে বার্তা পাঠাতে একটি মেঘকে দূত হিসেবে প্রেরণ করেন। কাব্যটি কল্পনা ও অনুভূতির এক অপূর্ব কাব্যিক যাত্রা।
১. যক্ষ দেবরাজ কুবেরের অভিশাপে নির্বাসিত, এবং প্রিয় স্ত্রীর থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ব্যথিত।
২. নিজের ব্যাকুল হৃদয়ের বার্তা পৌঁছে দিতে সে একটি গ্রীষ্মকালের মেঘকে দূতরূপে প্রেরণ করে।
৩. যক্ষ নির্দেশ দেয়, মেঘ যেন সরস্বতী নদীতে অবগাহন করে যাত্রা শুরু করে এবং পথে নানা পর্বত, নদী, নগর ও অরণ্যের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়।
৪. মেঘের এই যাত্রাপথে প্রকৃতির সৌন্দর্য, রোমাঞ্চ ও অনুভূতির সূক্ষ্ম বর্ণনা কালিদাসের অতুলনীয় কাব্যিক ক্ষমতা প্রকাশ করে।
৫. অবশেষে মেঘ পৌঁছায় অলকা নগরে, যা যক্ষের স্ত্রীর বাসস্থান — সেখানে পৌঁছে তাকে যক্ষের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হয়।
৬. সমগ্র কাব্যে মেঘের পথচারণা শুধু একটি বার্তাবাহক যাত্রা নয়, বরং তা বিরহ, প্রেম ও আশার প্রতীকী রূপ হিসেবে চিত্রিত হয়েছে।
“মেঘদূত” তাই শুধু একটি প্রেমবাণী নয়, এটি প্রকৃতির মধ্য দিয়ে প্রেমের অমর রূপের কাব্যিক প্রকাশ।

0
Updated: 1 day ago