ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ব্যবহৃত শঙ্খের নাম কি?
A
অনন্ত বিজয়
B
দেবদত্তম
C
দুন্দুভি
D
পাঞ্চজন্য
উত্তরের বিবরণ
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ব্যবহৃত শঙ্খের নাম “পাঞ্চজন্য”। এই তথ্য পাওয়া যায় শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-এর প্রথম অধ্যায় “অর্জুন বিষাদযোগ”-এর দ্বিতীয় শ্লোকে—
“পাঞ্চজন্যং হৃষীকেশো দেবদত্তং ধনঞ্জয়ঃ।
পাওণ্ড্রং দধ্মৌ মহাশঙ্খং ভীমকর্মা বৃত্তরঃ॥”
(গীতা, অধ্যায় ১, শ্লোক ১৫)
এখানে বলা হয়েছে—হৃষীকেশ (অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণ) বাজিয়েছিলেন পাঞ্চজন্য, অর্জুন বাজিয়েছিলেন দেবদত্তম্, এবং ভীম বাজিয়েছিলেন পৌণ্ড্রং নামক মহাশঙ্খ।
১. “পাঞ্চজন্য” শব্দটি এসেছে ‘পাঞ্চজন’ নামক দানবের নাম থেকে, যাকে শ্রীকৃষ্ণ সমুদ্রের মধ্যে বধ করে তার অস্থি থেকে এই শঙ্খ অর্জন করেন।
২. এই ঘটনা মহাভারত-এর সব্যসাচী পার্বে বর্ণিত আছে।
৩. পাঞ্চজন্য শঙ্খ শুধু যুদ্ধের সংকেত নয়, এটি ধর্ম, ন্যায় ও ঈশ্বরচেতনার প্রতীক হিসেবে গণ্য হয়।
৪. প্রতীকী অর্থে পাঞ্চজন্য শঙ্খের ধ্বনি অসুরনাশ, ন্যায়ের জাগরণ ও ধর্মরক্ষার বার্তা বহন করে।
৫. ভগবান কৃষ্ণের হাতে পাঞ্চজন্য শঙ্খ তাই দিব্যশক্তি ও ধর্মপালনের প্রতীক হিসেবে পূজিত।
সঠিক উত্তর: ঘ) পাঞ্চজন্য

0
Updated: 1 day ago
শ্রীমদ্ভগবতগীতার কোন অধ্যায়কে গীতার সার অধ্যায় বলে কর্ণনা করা হয়েছে?
Created: 1 day ago
A
সাংখ্যযোগকে
B
পুরুষোত্তমযোগকে
C
ভক্তি যোগকে
D
বিজ্ঞানযোগকে
শ্রীমদ্ভগবদগীতার দ্বিতীয় অধ্যায় “সাংখ্যযোগ” গীতার মূল দর্শনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিত। এটি ৭২টি শ্লোক নিয়ে গঠিত এবং গীতার সারাংশ হিসেবে বিবেচিত হয়, কারণ এখানেই কৃষ্ণ প্রথমবার অর্জুনকে জীবনের, কর্মের ও জ্ঞানের প্রকৃত অর্থ শিক্ষা দেন। প্রথম অধ্যায় “অর্জুন বিষাদযোগ” কেবল প্রেক্ষাপট তৈরি করলেও দ্বিতীয় অধ্যায় থেকেই শুরু হয় গীতার উপদেশধারা।
১. আত্মার অমরত্ব ও তত্ত্বজ্ঞান
-
কৃষ্ণ অর্জুনকে বলেন — “ন জায়তে মৃয়তে বা কদাচিন্ নায়ং ভূত্বা ভবিতা वा ন ভূয়ঃ।” (গীতা ২.২০)
-
এর অর্থ, আত্মা চিরন্তন ও অবিনশ্বর, সে জন্ম নেয় না, মরে না।
-
এই ধারণা গীতার মূল তত্ত্ব— আত্মার অমরত্ব ও চেতনার অখণ্ডতা।
২. কর্মের প্রয়োজন ও কর্তব্যবোধ
-
কৃষ্ণ বলেন — “কর্মণ্যেবাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন।” (গীতা ২.৪৭)
-
এখানে বলা হয়েছে, মানুষের কর্তব্য হলো কর্ম করা, কিন্তু ফলের প্রতি আসক্তি ত্যাগ করা উচিত।
-
এই শ্লোক কর্মযোগের ভিত্তি, যেখানে নিঃস্বার্থ কর্মের গুরুত্ব বোঝানো হয়েছে।
৩. স্থিতপ্রজ্ঞ যোগের শিক্ষা
-
এই অধ্যায়ে “স্থিতপ্রজ্ঞ” মানুষের আদর্শ উপস্থাপন করা হয়েছে।
-
যিনি আনন্দ–দুঃখে সমবৃত্ত, আকাঙ্ক্ষামুক্ত ও স্থিরচিত্ত, তিনিই প্রকৃত জ্ঞানী।
-
এটি আধ্যাত্মিক জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য— সমত্ব ও সংযমের অবস্থান।
৪. পরবর্তী অধ্যায়গুলোর ভিত্তি
-
গীতার পরবর্তী অধ্যায়গুলো যেমন জ্ঞানযোগ, কর্মযোগ, ভক্তিযোগ—সবই দ্বিতীয় অধ্যায়ের শিক্ষার বিস্তার।
-
আচার্যদের মতে, “দ্বিতীয় অধ্যায় গীতার মূলসূত্র, বাকিগুলো তার বিশ্লেষণ।”
৫. আচার্য ও পণ্ডিতদের মতামত
-
আদি শঙ্করাচার্য: “দ্বিতীয় অধ্যায়েই সমগ্র গীতার তত্ত্ব নিহিত।”
-
বাল গঙ্গাধর তিলক: “সাংখ্যযোগ অধ্যায় গীতার মর্মকথা প্রকাশ করেছে।”
-
স্বামী বিবেকানন্দ: “দ্বিতীয় অধ্যায় গীতার সারাংশ—এখানে আত্মা, কর্ম ও সমত্বের শিক্ষা একত্রে মেলে।”
সব মিলিয়ে, শ্রীমদ্ভগবদগীতার দ্বিতীয় অধ্যায় ‘সাংখ্যযোগ’-কেই গীতার সার অধ্যায় বলা হয়, কারণ এতে আত্মা, কর্ম, জ্ঞান ও সমত্ব—এই চারটি মৌলিক তত্ত্ব সংক্ষেপে প্রকাশ পেয়েছে, যা গীতার সমগ্র দর্শনের ভিত্তি।
সঠিক উত্তর: ক) সাংখ্যযোগকে — গীতার সার অধ্যায় বলে কর্ণনা করা হয়েছে।

0
Updated: 1 day ago
কৃষক খেতে চাষ করছে- এর সংস্কৃত অনুবাদ কি?
Created: 1 day ago
A
কৃষকঃ ক্ষেত্রে কর্ষতি
B
কৃষকাঃ ক্ষেত্রে কর্ষণঃ
C
কৃষকঃ ক্ষেত্রেং কৃষতি
D
কৃষকঃ ক্ষেত্রায় কৃষতি
বাক্যটি “কৃষক খেতে চাষ করছে” এর সংস্কৃত অনুবাদ গঠিত হয় সঠিক কারক ও ক্রিয়াপদ প্রয়োগের মাধ্যমে, যেখানে প্রতিটি পদ নির্দিষ্ট ব্যাকরণগত ভূমিকা পালন করে।
-
কৃষকঃ: কর্তা বা কর্মসম্পাদক, তাই এটি কর্তৃকারক, প্রথমা বিভক্তি, একবচন, পুংলিঙ্গ।
-
ক্ষেতে (ক্ষেত্রে): কাজটি যেখানে সম্পন্ন হচ্ছে, অর্থাৎ অধিকরণ কারক, যা সপ্তমী বিভক্তি দ্বারা প্রকাশিত হয়।
-
কर्षতি: মূল ধাতু “কৃষ্” (চাষ করা) থেকে উৎপন্ন বর্তমানকালের ক্রিয়াপদ, যার অর্থ “চাষ করছে”।
অতএব, ব্যাকরণ অনুযায়ী সঠিক বাক্যগঠন হবে — “कृषकः क्षेत्रे कर्षति” (কৃষকঃ ক্ষেত্রে কর্ষতি), যার অর্থ — “কৃষক খেতে চাষ করছে।”

0
Updated: 1 day ago
যুধিষ্ঠির মহারাজ দুর্যোধনের রাজ্যশাসন অবস্থা জানার জন্য কাকে প্রেরণ করেছিলেন?
Created: 1 day ago
A
অর্জুনকে
B
শিবকে
C
বনেচরকে
D
ভীমকে
মহাভারতের উদ্যোগ পর্বে যুদ্ধের পূর্বে যুধিষ্ঠির দুর্যোধনের রাজ্যনীতি ও প্রশাসনিক অবস্থা জানার জন্য তাঁর এক বিশ্বস্ত গুপ্তচর বনেচরকে হস্তিনাপুরে পাঠান। এই ঘটনার মাধ্যমে যুধিষ্ঠিরের শান্তিপ্রিয় স্বভাব ও কূটনৈতিক দূরদর্শিতা প্রকাশ পায়।
-
যুধিষ্ঠিরের উদ্দেশ্য ছিল দুর্যোধনের রাজনৈতিক মানসিকতা ও রাজ্যের অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত সংবাদ সংগ্রহ করা।
-
বনেচর ছিলেন যুধিষ্ঠিরের একজন বিশ্বস্ত গুপ্তচর ও দূত, যিনি রাজদরবারে প্রবেশ করে পরিস্থিতির সঠিক খবর নিয়ে ফিরে আসেন।
-
এই ঘটনা বর্ণিত হয়েছে মহাভারত, উদ্যোগ পর্বে (Mahabharata, Udyoga Parva), যেখানে যুদ্ধের পূর্ববর্তী কূটনৈতিক আলোচনাগুলি বিশদভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।
-
যুধিষ্ঠির শুরুতে যুদ্ধ চাননি; তিনি শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজতে চেয়েছিলেন। তাই প্রথমে তিনি বনেচরকে তথ্য সংগ্রহের দায়িত্ব দেন।
-
এই ঘটনা প্রমাণ করে, যুধিষ্ঠির শুধু ধর্মপরায়ণ নন, বরং রাজনৈতিক বিচক্ষণতা ও কূটনৈতিক প্রজ্ঞাতেও তিনি সমানভাবে দক্ষ ছিলেন।

0
Updated: 1 day ago