নিম্নের কোনটি অশ্বঘোষের লেখা?
A
অভিষেক নাটক
B
মালবিকাগ্নিমিত্রম্
C
বুদ্ধচরিতম্
D
কুমারসম্ভবম্
উত্তরের বিবরণ
অশ্বঘোষ প্রাচীন ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বৌদ্ধ কবি ও দার্শনিক, যিনি খ্রিষ্টীয় প্রথম শতকে কণিষ্ক সম্রাটের রাজসভায় প্রধান সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর সর্বাধিক প্রসিদ্ধ সৃষ্টি হলো “বুদ্ধচরিতম্”, যা গৌতম বুদ্ধের জীবনকথাকে কাব্যরূপে উপস্থাপন করেছে।
১. রচনাকার পরিচয়: অশ্বঘোষ ছিলেন সংস্কৃত ভাষার প্রথমদিকের বৌদ্ধ কবিদের মধ্যে অন্যতম, যিনি ধর্মীয় ভাব ও সাহিত্যিক শৈলীর এক চমৎকার সংমিশ্রণ ঘটিয়েছেন।
২. গ্রন্থ পরিচয়: “বুদ্ধচরিতম্” একটি মহাকাব্য, যেখানে রাজকুমার সিদ্ধার্থের জাগতিক জীবন থেকে সন্ন্যাস গ্রহণ, বোধিলাভ এবং বুদ্ধত্বপ্রাপ্তির কাহিনি কাব্যরূপে বর্ণিত হয়েছে।
৩. ভাষা ও শৈলী: এটি সংস্কৃত ভাষায় রচিত, এবং এর ছন্দ, উপমা ও কাব্যিক বর্ণনার গভীরতা থেকে বোঝা যায়—অশ্বঘোষ ছিলেন কালিদাসের পূর্বসূরি ও প্রভাবশালী কবি।
৪. অন্য রচনাগুলির তুলনা:
-
অভিষেক নাটক — ভাসের রচনা।
-
মালবিকাগ্নিমিত্রম্ — কালিদাসের রচনা।
-
কুমারসম্ভবম্ — কালিদাসেরই আরেক কাব্য।
৫. মূল উপসংহার: প্রদত্ত বিকল্পগুলির মধ্যে একমাত্র “বুদ্ধচরিতম্” অশ্বঘোষের রচনা, যা বৌদ্ধ দর্শন ও সাহিত্য উভয় ক্ষেত্রেই এক অমূল্য সম্পদ।

0
Updated: 1 day ago
মেঘদূতম কাব্যের উৎস কোনটি?
Created: 1 day ago
A
মহাভারত
B
রামায়ণ
C
পুরাণ
D
ঋগ্বেদ
“মেঘদূতম্” মহাকবি কালিদাস রচিত এক অনন্য সংস্কৃত গীতিকাব্য, যার মূল প্রেরণা নিহিত আছে “রামায়ণ” মহাকাব্যে। রামায়ণের বিচ্ছেদ, বেদনা ও বার্তাপ্রেরণের ভাবধারাই মেঘদূতের কাহিনিকে আবেগপূর্ণ ও অনুরণিত করেছে।
১. কাব্যের বিষয়বস্তু: নির্বাসিত এক যক্ষ তার প্রিয় পত্নীর কাছে মেঘের মাধ্যমে বার্তা পাঠায়—এই কাহিনিই মেঘদূতের মূল কেন্দ্র।
২. রামায়ণের প্রভাব: রামায়ণে রাবণের হাতে বন্দী সীতা রামের প্রতি বার্তা পাঠানোর যে আকুলতা প্রকাশ করেন, তা-ই মেঘদূতের আবেগ ও ভাবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিলে যায়।
৩. ভাবগত সাদৃশ্য: উভয় কাহিনিতেই প্রিয়জনের বিচ্ছেদ, আকুলতা ও পুনর্মিলনের আকাঙ্ক্ষা গভীরভাবে প্রতিফলিত।
৪. পণ্ডিতমত: সাহিত্য বিশারদদের মতে, রামায়ণই মেঘদূতের মূল উৎস—কালিদাস সেখানে রাম-সীতার বেদনা থেকে প্রেরণা নিয়ে যক্ষ-যক্ষিণীর বিরহকে কাব্যময় রূপ দিয়েছেন।
৫. মূল ভাবার্থ: রামায়ণ যেমন প্রেম, বেদনা ও নিষ্ঠার প্রতীক; তেমনি মেঘদূতও সেই অনন্ত মানবীয় অনুভূতির শিল্পিত প্রতিচ্ছবি। তাই রামায়ণকে মেঘদূতের প্রেরণার উৎস বলা হয়।

0
Updated: 1 day ago
√ শ্রু ধাতুর লট প্রথম পুরুষ একবচনের সঠিক রূপ কোনটি?
Created: 1 day ago
A
শুনোতি
B
শূনুতঃ
C
শ্রেষ্যতি
D
শুনোতু
শৃণোতি (শুনোতি) শব্দটি সংস্কৃত ভাষার একটি ধাতুর রূপ, যা শ্রবণ বা শোনার ক্রিয়া প্রকাশ করে। এটি ধাতুর রূপগঠন ও ক্রিয়ারূপের নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় গঠিত হয়।
মূল তথ্যসমূহ:
-
মূল ধাতু: √শ্রু — অর্থ “শোনা”।
-
গণ বা শ্রেণি: পঞ্চম গণভুক্ত ধাতু।
-
প্রয়োগভেদ: পরস্মৈপদে ব্যবহৃত।
-
লকার: লট্ লকার অর্থাৎ বর্তমান কাল।
-
রূপগঠন প্রক্রিয়া:
-
ধাতুর সঙ্গে “নু” আগম যুক্ত হয় → “শ্রু + নু”।
-
এরপর প্রথম পুরুষ একবচনের প্রত্যয় “তিপ্” যোগ হয় → “শৃণোতি”।
-
-
অর্থ: “সে শোনে” বা “He hears”।
-
অন্য বিকল্পগুলোর বিশ্লেষণ:
-
“শৃণুতঃ” — দ্বিতীয় পুরুষ দ্বিবচন।
-
“শ্রেষ্যতি” — ভবিষ্যৎ কালের রূপ।
-
“শৃণোতু” — আদেশবাচক রূপ।
সুতরাং, প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র “শৃণোতি”-ই সঠিক বর্তমানকালের প্রথম পুরুষ একবচন রূপ।
-

0
Updated: 1 day ago
অহিংসা শ্রেষ্ঠ ধর্ম- এর সংস্কৃত অনুবাদ কি?
Created: 1 day ago
A
অহিংসা বৃহৎ ধর্মঃ
B
অহিংসাহি পরম ধর্মঃ
C
অহিংসা পরমো ধর্মঃ
D
অহিসাং পরা ধর্মঃ
বাক্যটি “অহিংসা শ্রেষ্ঠ ধর্ম” সংস্কৃত ভাষায় অনুবাদ করলে হয় “অহিংসা পরমো ধর্মঃ”। এটি একটি প্রসিদ্ধ নীতিবাক্য, যা বহু ধর্মগ্রন্থ ও শাস্ত্রে উদ্ধৃত হয়েছে এবং মানবধর্মের সারকথা প্রকাশ করে।
১. অহিংসা অর্থাৎ জীব বা প্রাণীর প্রতি কোনো প্রকার হিংসা না করা, কারো ক্ষতি না করা বা আঘাত না দেওয়া।
২. পরমঃ শব্দের অর্থ “শ্রেষ্ঠ” বা “সর্বোত্তম”।
৩. ধর্মঃ অর্থ নীতি, কর্তব্য বা মানবজীবনের সঠিক পথ।
৪. ফলে “অহিংসা পরমো ধর্মঃ”-এর অর্থ দাঁড়ায় — “অহিংসাই সর্বোত্তম ধর্ম” বা “অহিংসাই মানবতার শ্রেষ্ঠ আদর্শ।”
৫. এই নীতি বৌদ্ধ, জৈন ও হিন্দু ধর্মে সমভাবে গুরুত্ব পেয়েছে; মহাত্মা গান্ধীও অহিংসাকে জীবনের মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।
৬. এই বাক্য মানবসভ্যতার সর্বজনীন নৈতিক আদর্শ হিসেবে আজও প্রাসঙ্গিক।
সঠিক উত্তর: গ) অহিংসা পরমো ধর্মঃ

0
Updated: 1 day ago