বিপদি ধৈর্যং ধারয়- এর অনুবাদ কোনটি?
A
বিপদে ধৈর্য নাই
B
বিপদকে দূরে রাখ
C
বিপদে ধৈর্য ধারণ কর
D
বিপদে দিশেহারা হয়ো না
উত্তরের বিবরণ
এই সংস্কৃত বাক্যটি একটি উপদেশমূলক উক্তি, যেখানে জীবনের সংকটকালীন পরিস্থিতিতে ধৈর্যের গুরুত্ব প্রকাশ করা হয়েছে। এটি নীতিশাস্ত্র ও প্রাচীন উপদেশমূলক শ্লোকসমূহের অন্যতম সাধারণ শিক্ষা হিসেবে বিবেচিত।
মূল তথ্যসমূহ:
-
সঠিক উত্তর: গ) বিপদে ধৈর্য ধারণ কর।
-
বাক্যের বিশ্লেষণ:
-
বিপদি (বিপদে): “বিপদ” শব্দের সপ্তমী বিভক্তি, অর্থাৎ “কোন অবস্থায়?” → বিপদে।
-
ধৈর্যং (ধৈর্য): অর্থ সহনশীলতা বা স্থিরতা।
-
ধারয় (ধারণ কর): √ধৃ ধাতু (ধারণ করা) থেকে উদ্ভূত লোট্ লকার ক্রিয়া, অর্থ “ধারণ কর” বা “অবলম্বন কর”।
-
-
সম্পূর্ণ অর্থ: “বিপদে ধৈর্য ধারণ কর” বা “বিপদের সময় ধৈর্য ধারণ করা উচিত।”
-
বাক্যের ভাবার্থ: এটি জীবনের প্রতিকূল মুহূর্তে শান্ত থাকা, সহনশীল থাকা এবং স্থিরচিত্তে সমস্যার মোকাবিলা করার পরামর্শ দেয়।
-
নৈতিক তাৎপর্য: প্রাচীন ভারতীয় নীতিশাস্ত্রে ধৈর্যকে সর্বোচ্চ গুণগুলির একটি বলা হয়েছে, কারণ এটি মনুষ্যজীবনে স্থিরতা, সাহস ও সাফল্যের ভিত্তি স্থাপন করে।

0
Updated: 1 day ago
অমৃতং বালভাষিতম্ - এর অনুবাদ কোনটি?
Created: 1 day ago
A
শিশুরা বালসুলভ
B
শিশুরা অমৃতসমান
C
অমৃত বালভাষিত
D
শিশুদের ভাষা অমৃতসমান
“শিশুদের ভাষা অমৃতসমান” বাক্যটি শিশুর নির্দোষ, আন্তরিক ও স্বতঃস্ফূর্ত বক্তব্যের সৌন্দর্য প্রকাশ করে। এটি এমন এক তুলনা যেখানে শিশুর কথাকে অমৃতের মাধুর্যের সঙ্গে সমান করা হয়েছে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
अमृतं (অমৃতং): অর্থ অমৃত, আনন্দদায়ক, অমৃতসদৃশ বা মধুর।
-
बालभाषিতम् (বালভাষিতম্): অর্থ শিশুদের বলা কথা, অর্থাৎ শিশুর ভাষা।
-
আক্ষরিক অর্থ: “শিশুদের বলা কথা অমৃতের মতো মধুর।”
-
অর্থগত ব্যাখ্যা: শিশুর ভাষা অমৃতসমান, কারণ তা সরল, নিষ্পাপ, আন্তরিক ও প্রীতিকর।
-
ব্যবহারিক দিক: এই বাক্যটি ব্যবহৃত হয় শিশুর প্রাকৃতিক সরলতা, সত্যতা ও হৃদয়স্পর্শী কথার মাধুর্য প্রকাশে।
-
সাহিত্যিক তাৎপর্য: এটি মানবজীবনের এক নির্মল আবেগের প্রতীক, যেখানে শিশুর নির্ভেজাল মন ও ভাষা অমৃতের মতো মিষ্টি বলে অনুভূত হয়।

0
Updated: 1 day ago
ক্ষমাহি শ্রেষ্ঠ গুণঃ- বাক্যের অনুবাদ কি?
Created: 1 day ago
A
ক্ষমাই শ্রেষ্ঠ কথা
B
ক্ষমা ছাড়া গুণ নাই
C
ক্ষমাই শ্রেষ্ঠ গুণ
D
ক্ষমা পেতে গুণ চাই
“ক্ষমাহি শ্রেষ্ঠ গুণঃ” একটি নীতিমূলক ও ধর্মনৈতিক সংস্কৃত উক্তি, যা মানবগুণের শ্রেষ্ঠত্বে ক্ষমার অবস্থান নির্দেশ করে। এখানে ক্ষমাকে সর্বোচ্চ নৈতিক মূল্য হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
-
ক্ষমা: দোষ ক্ষমা করা, দয়াশীলতা বা সহিষ্ণু মনোভাব বোঝায়।
-
হি: এখানে ক্রিয়াপদ হিসেবে “হয়” বা “ই” অর্থে ব্যবহৃত।
-
শ্রেষ্ঠ গুণঃ: অর্থাৎ সর্বোত্তম বা সেরা গুণ।
-
অর্থ: “ক্ষমা হল সর্বোত্তম গুণ”, অর্থাৎ অন্যান্য সকল গুণের মধ্যেও ক্ষমাই সর্বাধিক মহৎ।
-
নৈতিক তাৎপর্য: এটি নীতিশাস্ত্র, ধর্মগ্রন্থ ও সংস্কৃত সাহিত্য জুড়ে পুনঃপুন উল্লেখিত একটি ভাব, যা মানবিকতা, আত্মসংযম ও করুণাবোধের প্রতীক।
-
ভুল বিকল্পসমূহ: “ক্ষমাই শ্রেষ্ঠ কথা” বা “ক্ষমা ছাড়া গুণ নাই” — এই রূপগুলো মূল শব্দার্থ ও ব্যাকরণগত যথার্থতা বজায় রাখে না।
অতএব, বাক্যটির সঠিক অর্থ ও ভাব অনুযায়ী উত্তর হলো — “গ) ক্ষমাই শ্রেষ্ঠ গুণ।”

0
Updated: 1 day ago
বিধ্যাহীলোক পশুর সমান- এর অনুবাদ কোনটি?
Created: 1 day ago
A
বিদ্যাহীনাঃ পশুস্য সমানা
B
বিদ্যাহীনঃ পশুঃ সমানঃ
C
বিদ্যাহীনাঃ পশুভিঃ সমানাঃ
D
বিদ্যাহীনয়া পশুস্য সমানঃ
সংস্কৃত নীতিবাক্য “বিদ্যাহীনাঃ পশুভিঃ সমানাঃ” মানবজীবনে শিক্ষার অপরিহার্যতার গভীর বার্তা বহন করে। এর দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে যে ব্যক্তি শিক্ষাহীন, সে পশুর সমান— কারণ বিদ্যাই মানুষকে মানবিক ও নৈতিক গুণে উন্নীত করে।
১. বিদ্যাহীনাঃ (Vidyāhīnāḥ) — অর্থ “যাদের বিদ্যা নেই” বা “অশিক্ষিত ব্যক্তি”; এখানে “হীন” অর্থ অভাবগ্রস্ত বা বঞ্চিত।
২. পশুভিঃ (Paśubhiḥ) — অর্থ “পশুদের সঙ্গে”, এটি তৃতীয়া-বিভক্তি, যা “সঙ্গে” বা “তুলনায়” অর্থ প্রকাশ করে।
৩. সমানাঃ (Samānāḥ) — অর্থ “সমান” বা “তুল্য”।
৪. তাই বাক্যের পূর্ণ অর্থ দাঁড়ায় — “যারা বিদ্যাহীন, তারা পশুদের সঙ্গে সমান।”
৫. এই নীতিবাক্যের অন্তর্নিহিত ভাব হলো, বিদ্যা মানুষকে চিন্তা, নৈতিকতা ও আত্মজ্ঞানে উন্নীত করে, যা পশুর থেকে মানুষের প্রধান পার্থক্য।
৬. সুতরাং, শিক্ষাই মানুষের প্রকৃত অলঙ্কার এবং বিদ্যাহীন জীবন মানেই জ্ঞানের আলোহীন অন্ধকার অস্তিত্ব।
সঠিক উত্তর: গ) বিদ্যাহীনাঃ পশুভিঃ সমানাঃ

0
Updated: 1 day ago