শকুন্তলা নাটকে শকুন্ত শব্দের অর্থ কি?
A
পাখি
B
শৃগাল
C
শকুনপাখি
D
কুন্তল
উত্তরের বিবরণ
কালিদাসের ‘অভিজ্ঞান শকুন্তল’ নাটকে “শকুন্ত” শব্দটি এসেছে সংস্কৃত “Śakunta” থেকে, যার অর্থ পাখি। এই নামের মাধ্যমে চরিত্রের জন্ম ও পরিবেশের সঙ্গে এক সুন্দর প্রতীকী সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে।
-
“শকুন্তলা” শব্দের আক্ষরিক অর্থ — “যিনি শকুন্ত (পাখি) দ্বারা লালিত”।
-
জন্মের পর শকুন্ত মুনি ও বনের পাখিরা তাঁকে আশ্রয় ও স্নেহ দিয়ে লালন করেছিলেন।
-
তাই নাটকের নায়িকার নাম হয়েছে “শকুন্তলা”, অর্থাৎ পাখিদের স্নেহে বেড়ে ওঠা এক কন্যা।
-
নাটকীয় দৃষ্টিতে, নামটি প্রকৃতি, মমতা ও নির্জনতার প্রতীক— বনজীবনের কোমলতার সঙ্গে চরিত্রের মানসিক জগতকে যুক্ত করে।
-
ভুল বিকল্পসমূহের ব্যাখ্যা:
-
গ) কুন্তল শব্দটি চুল বা কেশের অর্থে ব্যবহৃত হয়, শকুন্তলার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
-
খ) শৃগাল (শিয়াল) বা ঘ) শকুনপাখি শব্দের ধ্বনিগত মিল থাকলেও “শকুন্ত” শব্দের প্রকৃত অর্থ পাখি, যা সম্পূর্ণ ভিন্ন তাৎপর্য বহন করে।
-

0
Updated: 1 day ago
দ্রৌপদী যুধিষ্ঠিরকে কোন ধরণের বাক্য প্রয়োগের মাধ্যমে ক্রোধে জাগিয়ে তুলতে চেয়েছিলেন?
Created: 1 day ago
A
ভৎসনামূলক
B
বিরহাত্বক
C
বিরুদ্ধাত্মক
D
শান্তনাসূচক
মহাভারতের বর্ণনা অনুযায়ী, দ্রৌপদী যুধিষ্ঠিরের অতিরিক্ত ধর্মনিষ্ঠ ও ধীর স্বভাব দেখে তাঁকে কঠোরভাবে তিরস্কার করেন, যাতে তাঁর মধ্যে প্রতিশোধস্পৃহা জাগে।
-
যুধিষ্ঠিরের স্বভাব: তিনি ছিলেন ধর্মনিষ্ঠ, সহিষ্ণু ও শান্তপ্রকৃতির রাজা, যিনি অন্যায় সহ্য করতেন ধর্মরক্ষার নামে।
-
দ্রৌপদীর বক্তব্য: তিনি ক্রোধভরে বলেন — “ধর্ম, ধর্ম বলে তুমি সব সহ্য করছ, অথচ অন্যায় হচ্ছে তোমার চোখের সামনে।”
-
বাক্যের প্রকৃতি: এই উক্তিগুলো তিরস্কারমূলক ও ক্রোধোদ্দীপক, যা যুধিষ্ঠিরের নীরবতা ভাঙাতে চেয়েছিল।
-
ধারার ধরন: এসব বাক্য ব্যঙ্গাত্মক বা বিরহজনিত নয়, বরং ভর্ৎসনা ও প্ররোচনামূলক, তাই এটি ভৎসনামূলক ধারা।

0
Updated: 1 day ago
কিরাতার্জুনীয়ম্ মহাকাব্যে কোন বিষয়টি সমধিক ফুটে উঠেছে?
Created: 1 day ago
A
অর্থগৌরবম্
B
কাব্যালংকার
C
শাসনপ্রণালী
D
সিংহাসনলাভ
ভারবি ছিলেন প্রাচীন ভারতের এক অসাধারণ সংস্কৃত কবি, যার রচিত “কিরাতার্জুনীয়ম্” মহাকাব্য সংস্কৃত সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি। এটি মহাভারতের বনপর্ব অবলম্বনে রচিত, যেখানে অর্জুনের তপস্যা ও শিবের কিরাতরূপে আবির্ভাবের কাহিনি বর্ণিত হয়েছে।
-
কাব্যটি মোট ১৮ সর্গে বিভক্ত, প্রতিটি সর্গে ভাব, ভাষা ও কৌশলের গভীর মেলবন্ধন রয়েছে।
-
ভারবির কাব্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো অর্থগৌরব (অর্থের গাম্ভীর্য)— তাঁর প্রতিটি শ্লোক চিন্তার গভীরতা ও তত্ত্বগভীর ভাবনায় পরিপূর্ণ।
-
দণ্ডী তাঁর ‘কাব্যাদর্শ’ (১.৬৩) গ্রন্থে বলেছেন — “ভারভিঃ অর্থগৌরবে”, অর্থাৎ ভারবি অর্থের গৌরবে শ্রেষ্ঠ।
-
তাঁর ভাষা সংযত ও মিতবাক, কিন্তু প্রতিটি শব্দ অর্থবহ ও চিন্তাসঞ্জাত।
-
ভারবির কাব্যে অলঙ্কার আছে, কিন্তু সেটি মূল নয়; বরং অর্থের দৃঢ়তা, তত্ত্বগভীরতা ও ভাবগাম্ভীর্যই মুখ্য বৈশিষ্ট্য।
-
সমালোচক বিশ্বনাথ কবিরাজ বলেছেন — “ভারবির কাব্যে অর্থগাম্ভীর্য সর্বোচ্চ।”
-
আনন্দবর্ধন তাঁর ‘ধ্বন্যালোক’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে ভারবির কাব্যে অর্থের শক্তি (ধ্বনি)-ই মুখ্য।
-
একটি বিখ্যাত উক্তি — “দুর্বোধ্যা হি পাণ্ডিতানামপি বাণী ভারবেরিভ।”, অর্থাৎ ভারবির ভাষা এত গভীর যে পণ্ডিতদের কাছেও তা দুর্বোধ্য মনে হয়।
-
এইসব মন্তব্য প্রমাণ করে যে ভারবির কাব্যশক্তির মূল নিহিত তাঁর অর্থগৌরবে, যেখানে চিন্তার গাম্ভীর্য ও ভাষার নিপুণতা একত্রে কাব্যকে দার্শনিক উচ্চতায় উন্নীত করেছে।
চূড়ান্তভাবে বলা যায় — “কিরাতার্জুনীয়ম্” মহাকাব্যে অর্থগৌরবম্ সর্বাধিক প্রকাশিত, কারণ ভারবির কাব্যে গভীর ভাব, তত্ত্বগাম্ভীর্য ও নিখুঁত অর্থনৈপুণ্যই তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের চিহ্ন।

0
Updated: 1 day ago
অহিংসা শ্রেষ্ঠ ধর্ম- এর সংস্কৃত অনুবাদ কি?
Created: 1 day ago
A
অহিংসা বৃহৎ ধর্মঃ
B
অহিংসাহি পরম ধর্মঃ
C
অহিংসা পরমো ধর্মঃ
D
অহিসাং পরা ধর্মঃ
বাক্যটি “অহিংসা শ্রেষ্ঠ ধর্ম” সংস্কৃত ভাষায় অনুবাদ করলে হয় “অহিংসা পরমো ধর্মঃ”। এটি একটি প্রসিদ্ধ নীতিবাক্য, যা বহু ধর্মগ্রন্থ ও শাস্ত্রে উদ্ধৃত হয়েছে এবং মানবধর্মের সারকথা প্রকাশ করে।
১. অহিংসা অর্থাৎ জীব বা প্রাণীর প্রতি কোনো প্রকার হিংসা না করা, কারো ক্ষতি না করা বা আঘাত না দেওয়া।
২. পরমঃ শব্দের অর্থ “শ্রেষ্ঠ” বা “সর্বোত্তম”।
৩. ধর্মঃ অর্থ নীতি, কর্তব্য বা মানবজীবনের সঠিক পথ।
৪. ফলে “অহিংসা পরমো ধর্মঃ”-এর অর্থ দাঁড়ায় — “অহিংসাই সর্বোত্তম ধর্ম” বা “অহিংসাই মানবতার শ্রেষ্ঠ আদর্শ।”
৫. এই নীতি বৌদ্ধ, জৈন ও হিন্দু ধর্মে সমভাবে গুরুত্ব পেয়েছে; মহাত্মা গান্ধীও অহিংসাকে জীবনের মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।
৬. এই বাক্য মানবসভ্যতার সর্বজনীন নৈতিক আদর্শ হিসেবে আজও প্রাসঙ্গিক।
সঠিক উত্তর: গ) অহিংসা পরমো ধর্মঃ

0
Updated: 1 day ago