মেঘদূতম কাব্যের উৎস কোনটি?
A
মহাভারত
B
রামায়ণ
C
পুরাণ
D
ঋগ্বেদ
উত্তরের বিবরণ
“মেঘদূতম্” মহাকবি কালিদাস রচিত এক অনন্য সংস্কৃত গীতিকাব্য, যার মূল প্রেরণা নিহিত আছে “রামায়ণ” মহাকাব্যে। রামায়ণের বিচ্ছেদ, বেদনা ও বার্তাপ্রেরণের ভাবধারাই মেঘদূতের কাহিনিকে আবেগপূর্ণ ও অনুরণিত করেছে।
১. কাব্যের বিষয়বস্তু: নির্বাসিত এক যক্ষ তার প্রিয় পত্নীর কাছে মেঘের মাধ্যমে বার্তা পাঠায়—এই কাহিনিই মেঘদূতের মূল কেন্দ্র।
২. রামায়ণের প্রভাব: রামায়ণে রাবণের হাতে বন্দী সীতা রামের প্রতি বার্তা পাঠানোর যে আকুলতা প্রকাশ করেন, তা-ই মেঘদূতের আবেগ ও ভাবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিলে যায়।
৩. ভাবগত সাদৃশ্য: উভয় কাহিনিতেই প্রিয়জনের বিচ্ছেদ, আকুলতা ও পুনর্মিলনের আকাঙ্ক্ষা গভীরভাবে প্রতিফলিত।
৪. পণ্ডিতমত: সাহিত্য বিশারদদের মতে, রামায়ণই মেঘদূতের মূল উৎস—কালিদাস সেখানে রাম-সীতার বেদনা থেকে প্রেরণা নিয়ে যক্ষ-যক্ষিণীর বিরহকে কাব্যময় রূপ দিয়েছেন।
৫. মূল ভাবার্থ: রামায়ণ যেমন প্রেম, বেদনা ও নিষ্ঠার প্রতীক; তেমনি মেঘদূতও সেই অনন্ত মানবীয় অনুভূতির শিল্পিত প্রতিচ্ছবি। তাই রামায়ণকে মেঘদূতের প্রেরণার উৎস বলা হয়।

0
Updated: 1 day ago
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ব্যবহৃত শঙ্খের নাম কি?
Created: 1 day ago
A
অনন্ত বিজয়
B
দেবদত্তম
C
দুন্দুভি
D
পাঞ্চজন্য
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ব্যবহৃত শঙ্খের নাম “পাঞ্চজন্য”। এই তথ্য পাওয়া যায় শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-এর প্রথম অধ্যায় “অর্জুন বিষাদযোগ”-এর দ্বিতীয় শ্লোকে—
“পাঞ্চজন্যং হৃষীকেশো দেবদত্তং ধনঞ্জয়ঃ।
পাওণ্ড্রং দধ্মৌ মহাশঙ্খং ভীমকর্মা বৃত্তরঃ॥”
(গীতা, অধ্যায় ১, শ্লোক ১৫)
এখানে বলা হয়েছে—হৃষীকেশ (অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণ) বাজিয়েছিলেন পাঞ্চজন্য, অর্জুন বাজিয়েছিলেন দেবদত্তম্, এবং ভীম বাজিয়েছিলেন পৌণ্ড্রং নামক মহাশঙ্খ।
১. “পাঞ্চজন্য” শব্দটি এসেছে ‘পাঞ্চজন’ নামক দানবের নাম থেকে, যাকে শ্রীকৃষ্ণ সমুদ্রের মধ্যে বধ করে তার অস্থি থেকে এই শঙ্খ অর্জন করেন।
২. এই ঘটনা মহাভারত-এর সব্যসাচী পার্বে বর্ণিত আছে।
৩. পাঞ্চজন্য শঙ্খ শুধু যুদ্ধের সংকেত নয়, এটি ধর্ম, ন্যায় ও ঈশ্বরচেতনার প্রতীক হিসেবে গণ্য হয়।
৪. প্রতীকী অর্থে পাঞ্চজন্য শঙ্খের ধ্বনি অসুরনাশ, ন্যায়ের জাগরণ ও ধর্মরক্ষার বার্তা বহন করে।
৫. ভগবান কৃষ্ণের হাতে পাঞ্চজন্য শঙ্খ তাই দিব্যশক্তি ও ধর্মপালনের প্রতীক হিসেবে পূজিত।
সঠিক উত্তর: ঘ) পাঞ্চজন্য

0
Updated: 1 day ago
বাল্মিকী কাকে অভিশাপ দিয়েছিলেন?
Created: 1 day ago
A
ক্রৌঞ্চকে
B
ঋষিকে
C
ব্যাধকে
D
সীতাকে
বাল্মিকী রামায়ণে উল্লেখ আছে যে এক ব্যাধ বা হরিণশিকারী অন্যায়ভাবে বাল্মিকীর আশ্রমে প্রবেশ করে সৎ ও শান্ত বনবাসীদের বিরক্ত করেছিল। তার এই নিষ্ঠুর আচরণে মহর্ষি বাল্মিকী গভীরভাবে ব্যথিত হন এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে তাকে অভিশাপ দেন।
১. ঘটনার প্রেক্ষাপট: ব্যাধটি শিকার করতে করতে বাল্মিকীর আশ্রমে আসে এবং নিরপরাধ প্রাণীদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করে।
২. বাল্মিকীর প্রতিক্রিয়া: ধার্মিক ও ঋষিসুলভ চরিত্রের অধিকারী বাল্মিকী এই অমানবিক কাজ দেখে ক্রোধান্বিত হন এবং ধর্মরক্ষার উদ্দেশ্যে ব্যাধকে অভিশাপ প্রদান করেন।
৩. অভিশাপের ফলাফল: বাল্মিকীর অভিশাপের প্রভাবে ব্যাধ পরবর্তীতে শিকার করার সময় ধ্বংসপ্রাপ্ত বা কঠোর কষ্টভোগে নিপতিত হয়।
৪. ধর্মীয় তাৎপর্য: এই অভিশাপ অন্যায় ও নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং ধর্ম ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠার প্রতীক।
৫. মূল ভাবার্থ: বাল্মিকীর অভিশাপ প্রতিশোধ নয়, বরং নৈতিকতার শিক্ষাদান—যে, অন্যায়ের শাস্তি অবশ্যম্ভাবী এবং ধর্মের পথই সর্বোচ্চ।

0
Updated: 1 day ago
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার দশম অধ্যায়ের নাম কি?
Created: 1 day ago
A
জ্ঞানযোগ
B
বিভূতিযোগ
C
অভ্যাসযোগ
D
সাংখ্যযোগ
ভগবদ্গীতার দশম অধ্যায় “বিভূতিযোগ” নামে পরিচিত, যেখানে শ্রীকৃষ্ণ তাঁর মহিমা, ঐশ্বর্য ও সর্বব্যাপী শক্তির প্রকাশ ব্যাখ্যা করেছেন। এই অধ্যায় ঈশ্বরের সর্বত্র বিরাজমান রূপের দার্শনিক ব্যাখ্যা ও ভক্তির গভীর তাৎপর্য তুলে ধরে।
১. অধ্যায়ের মূল বিষয়: শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে জানান যে, জগতে যে কোনো মহানতা, শক্তি, জ্ঞান, সৌন্দর্য বা গুণ—সবই তাঁরই এক অংশ বা “বিভূতি”।
২. বিভূতির অর্থ: “বিভূতি” বলতে বোঝায় ঈশ্বরের দিব্য প্রকাশ বা ঐশ্বর্যময় রূপ, যা সৃষ্টির প্রতিটি ক্ষেত্রে বিরাজমান।
৩. দার্শনিক তাৎপর্য: এখানে শ্রীকৃষ্ণ জগতের সবকিছুতেই নিজের অস্তিত্ব নির্দেশ করে বোঝাতে চান যে, ঈশ্বর সর্বব্যাপী এবং সর্বশক্তিমান।
৪. অধ্যায়ের উদ্দেশ্য: ভক্তদের মনে ঈশ্বরের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস জাগানো, যাতে তারা প্রতিটি সৃষ্টিতে ঈশ্বরের রূপ উপলব্ধি করতে শেখে।
৫. মূল ভাবার্থ: এই অধ্যায় মানুষকে শেখায় যে ঈশ্বর কেবল এক স্থানে নন, বরং সমস্ত মহত্ত্ব, সৌন্দর্য ও শক্তির মধ্যেই প্রকাশমান। তাই ভক্তি ও উপলব্ধির মাধ্যমে তাঁর ঐশ্বর্যকে জানা সম্ভব।

0
Updated: 1 day ago