শ্রীগীতা কোন ধরণের শাস্ত্র?
A
স্মৃতিশাস্ত্র
B
ধর্মশাস্ত্র
C
নীতিশাস্ত্র
D
দর্শনশাস্ত্র
উত্তরের বিবরণ
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা একটি মহান আধ্যাত্মিক ও দার্শনিক গ্রন্থ, যা মানুষের আত্মার স্বরূপ ও জীবনের সত্যতত্ত্ব উপলব্ধির শিক্ষা দেয়। এতে ধর্ম, নীতি ও কর্মের আলোচনা থাকলেও এর মূল লক্ষ্য দার্শনিক সত্য প্রকাশ করা।
মূল তথ্যসমূহ:
-
সঠিক উত্তর: গ) দর্শনশাস্ত্র।
-
গ্রন্থের প্রকৃতি: এটি মূলত এক দার্শনিক গ্রন্থ, যেখানে আত্মা, ব্রহ্ম, কর্ম, জ্ঞান, যোগ ও মোক্ষ সম্পর্কিত গভীর তত্ত্ব ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
-
মূল উদ্দেশ্য: মানুষের আত্মজ্ঞান, ভক্তি, কর্ম ও যোগের মাধ্যমে মুক্তির পথ নির্দেশ করা।
-
গীতার প্রধান যোগসমূহ:
-
কর্মযোগ — কর্তব্যকর্মের মাধ্যমে মুক্তি।
-
জ্ঞানযোগ — জ্ঞানলাভের মাধ্যমে আত্মউদ্ধার।
-
ভক্তিযোগ — ভক্তির মাধ্যমে ঈশ্বরলাভ।
-
সন্ন্যাসযোগ — ত্যাগের মাধ্যমে আত্মার পরিশুদ্ধি।
-
-
দার্শনিক দিক: গীতা জীবন, ধর্ম ও সৃষ্টির সত্যতত্ত্ব ব্যাখ্যা করে, যা একে দর্শনশাস্ত্রের অন্তর্ভুক্ত করে।
-
অন্যান্য শাস্ত্র থেকে পার্থক্য: ধর্ম বা নীতিশাস্ত্রের আলোচনা থাকলেও, গীতার মূল ভাবনা জীবনের চরম সত্য অনুসন্ধান, যা দর্শনের মূল ভিত্তি।

0
Updated: 1 day ago
গীতা এর কোন অধ্যায়ে সর্বাধিক শ্লোক রয়েছে?
Created: 1 day ago
A
প্রথম অধ্যায়
B
দ্বিতীয় অধ্যায়
C
দ্বাদশ অধ্যায়
D
অষ্টাদশ অধ্যায়
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা মোট ১৮টি অধ্যায় নিয়ে গঠিত, যেখানে প্রতিটি অধ্যায় আলাদা যোগ বা দর্শনব্যাখ্যায় নিবেদিত। এর মধ্যে অষ্টাদশ অধ্যায়, অর্থাৎ “মোক্ষসংন্যাস যোগ”, সবচেয়ে দীর্ঘ এবং এতে ৭৮টি শ্লোক রয়েছে।
-
অষ্টাদশ অধ্যায়ে ভগবান কৃষ্ণ অর্জুনকে সংন্যাস, কর্ম, ভক্তি ও মোক্ষের দর্শন বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেন।
-
এখানে মানবজীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য— মোক্ষ বা মুক্তি, এবং তা অর্জনের উপায়— কর্মযোগ, জ্ঞানযোগ ও ভক্তিযোগের সমন্বয় আকারে উপস্থাপিত হয়েছে।
-
অধ্যায়টি গীতার উপসংহারমূলক অংশ, যেখানে সমগ্র শিক্ষার সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়েছে।
-
বিষয়বস্তু বিস্তৃত ও দার্শনিকভাবে গভীর হওয়ায়, এ অধ্যায়ের শ্লোকসংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
তুলনামূলকভাবে কয়েকটি অধ্যায়ের শ্লোক সংখ্যা:
-
প্রথম অধ্যায়: ৪৭টি — যুদ্ধের সূচনা ও অর্জুনের মানসিক দ্বন্দ্ব
-
দ্বিতীয় অধ্যায়: ৭০টি — আত্মা, কর্ম ও জীবনের মৌলিক তত্ত্ব
-
দ্বাদশ অধ্যায়: ২০টি — ভক্তিযোগের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
-
অষ্টাদশ অধ্যায়: ৭৮টি — সংন্যাস, ভক্তি ও মোক্ষের সর্বাধিক বিশদ আলোচনা
অতএব, গীতার মধ্যে অষ্টাদশ অধ্যায়েই সর্বাধিক শ্লোক রয়েছে, যা গীতার সমাপনী ও সর্বাধিক দার্শনিক অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 1 day ago
পদ্মাবতী বৎসরাজ উদয়নের কি ছিল?
Created: 23 hours ago
A
রাজকর্মচারী
B
স্ত্রী
C
বোন
D
তাপসী
“স্বপ্নবাসবদত্তম” প্রাচীন ভারতের একটি বিশিষ্ট সংস্কৃত নাটক, যেখানে রাজা উদয়ন ও তাঁর স্ত্রী পদ্মাবতীর জীবন, রাজনীতি ও প্রেমের কাহিনী নাট্যরূপে ফুটে উঠেছে। এতে রাজকীয় কূটনীতি, প্রেম, বিরহ ও পুনর্মিলনের আবেগ একত্রে মিশে আছে।
১. রাজা উদয়ন ছিলেন অবন্তীর রাজা, আর পদ্মাবতী তাঁর স্ত্রী। তাঁদের সম্পর্কের মাধ্যমে দাম্পত্য ভালোবাসা ও রাজকীয় দায়িত্বের দ্বন্দ্ব প্রকাশ পেয়েছে।
২. নাটকে উদয়ন ও পদ্মাবতীর রাজ্যসংক্রান্ত কার্যকলাপ রাজনৈতিক বুদ্ধিমত্তা ও কৌশলের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
৩. প্রেম ও বিরহের ঘটনা নাটকের আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি করেছে, যা চরিত্রগুলোর মানবিক দিককে গভীরভাবে প্রকাশ করে।
৪. “স্বপ্নবাসবদত্তম”-এর মূল আকর্ষণ হলো এর কাহিনির কৌতূহল ও স্বপ্নপ্রতীক, যা নাটকটিকে অতিপ্রাকৃত সৌন্দর্যে পূর্ণ করেছে।
৫. এই নাটকে কালিদাসীয় রচনার মতোই সংলাপের কাব্যমাধুর্য, নাট্যগতি ও রসসম্পন্ন বর্ণনা দেখা যায়, যা একে সংস্কৃত নাট্যসাহিত্যে অমর স্থান দিয়েছে।

0
Updated: 23 hours ago
পঞ্চমবেদ বলা হয় কাকে?
Created: 23 hours ago
A
ঋকবেদকে
B
শ্রীচণ্ডীকে
C
মহাভারতকে
D
উপনিষদকে
মহাভারতকে প্রায়ই ‘পঞ্চম বেদ’ বলা হয়, কারণ এটি কেবল একটি মহাকাব্য নয়, বরং মানবজীবনের ধর্ম, নীতি ও সমাজব্যবস্থার দিকনির্দেশও প্রদান করে। চার বেদের পর এটিকে আধ্যাত্মিক ও নৈতিক শিক্ষার উৎস হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
-
মহাভারত প্রাচীন ভারতের এক বিশাল মহাকাব্য, যা ব্যাসদেব রচনা করেন।
-
এতে ধর্ম, নীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি ও মানবজীবনের আচরণবিধি বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে।
-
চারটি বেদ (ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদ, অথর্ববেদ) পরবর্তীকালে এটি আধ্যাত্মিক জ্ঞানের সম্পূরক হিসেবে স্বীকৃত হয়।
-
মহাভারতের মাধ্যমে কর্ম, জ্ঞান ও ভক্তির সমন্বয় ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
-
এতে ‘গীতা’-র মতো অনন্য দর্শনমূলক অংশ রয়েছে, যা নৈতিক ও দার্শনিক শিক্ষা প্রদান করে।
-
এ কারণে প্রাচীন ভারতীয় ঐতিহ্যে এটি ‘পঞ্চম বেদ’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।

0
Updated: 23 hours ago