বাল্মিকী কাকে অভিশাপ দিয়েছিলেন?
A
ক্রৌঞ্চকে
B
ঋষিকে
C
ব্যাধকে
D
সীতাকে
উত্তরের বিবরণ
বাল্মিকী রামায়ণে উল্লেখ আছে যে এক ব্যাধ বা হরিণশিকারী অন্যায়ভাবে বাল্মিকীর আশ্রমে প্রবেশ করে সৎ ও শান্ত বনবাসীদের বিরক্ত করেছিল। তার এই নিষ্ঠুর আচরণে মহর্ষি বাল্মিকী গভীরভাবে ব্যথিত হন এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে তাকে অভিশাপ দেন।
১. ঘটনার প্রেক্ষাপট: ব্যাধটি শিকার করতে করতে বাল্মিকীর আশ্রমে আসে এবং নিরপরাধ প্রাণীদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করে।
২. বাল্মিকীর প্রতিক্রিয়া: ধার্মিক ও ঋষিসুলভ চরিত্রের অধিকারী বাল্মিকী এই অমানবিক কাজ দেখে ক্রোধান্বিত হন এবং ধর্মরক্ষার উদ্দেশ্যে ব্যাধকে অভিশাপ প্রদান করেন।
৩. অভিশাপের ফলাফল: বাল্মিকীর অভিশাপের প্রভাবে ব্যাধ পরবর্তীতে শিকার করার সময় ধ্বংসপ্রাপ্ত বা কঠোর কষ্টভোগে নিপতিত হয়।
৪. ধর্মীয় তাৎপর্য: এই অভিশাপ অন্যায় ও নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং ধর্ম ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠার প্রতীক।
৫. মূল ভাবার্থ: বাল্মিকীর অভিশাপ প্রতিশোধ নয়, বরং নৈতিকতার শিক্ষাদান—যে, অন্যায়ের শাস্তি অবশ্যম্ভাবী এবং ধর্মের পথই সর্বোচ্চ।

0
Updated: 1 day ago
শকুন্তলা নাটকে শকুন্ত শব্দের অর্থ কি?
Created: 1 day ago
A
পাখি
B
শৃগাল
C
শকুনপাখি
D
কুন্তল
কালিদাসের ‘অভিজ্ঞান শকুন্তল’ নাটকে “শকুন্ত” শব্দটি এসেছে সংস্কৃত “Śakunta” থেকে, যার অর্থ পাখি। এই নামের মাধ্যমে চরিত্রের জন্ম ও পরিবেশের সঙ্গে এক সুন্দর প্রতীকী সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে।
-
“শকুন্তলা” শব্দের আক্ষরিক অর্থ — “যিনি শকুন্ত (পাখি) দ্বারা লালিত”।
-
জন্মের পর শকুন্ত মুনি ও বনের পাখিরা তাঁকে আশ্রয় ও স্নেহ দিয়ে লালন করেছিলেন।
-
তাই নাটকের নায়িকার নাম হয়েছে “শকুন্তলা”, অর্থাৎ পাখিদের স্নেহে বেড়ে ওঠা এক কন্যা।
-
নাটকীয় দৃষ্টিতে, নামটি প্রকৃতি, মমতা ও নির্জনতার প্রতীক— বনজীবনের কোমলতার সঙ্গে চরিত্রের মানসিক জগতকে যুক্ত করে।
-
ভুল বিকল্পসমূহের ব্যাখ্যা:
-
গ) কুন্তল শব্দটি চুল বা কেশের অর্থে ব্যবহৃত হয়, শকুন্তলার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
-
খ) শৃগাল (শিয়াল) বা ঘ) শকুনপাখি শব্দের ধ্বনিগত মিল থাকলেও “শকুন্ত” শব্দের প্রকৃত অর্থ পাখি, যা সম্পূর্ণ ভিন্ন তাৎপর্য বহন করে।
-

0
Updated: 1 day ago
আকাশ মেঘাচ্ছন্ন- এর সংস্কৃত অনুবাদ কোনটি?
Created: 1 day ago
A
মেঘাচ্ছন্নম্ আকাশম্
B
আকাশঃ মেঘে আচ্ছন্নম্
C
আকাশে মেঘে আচ্ছয়তি
D
নবম মেঘাবৃত্তম্
“আকাশ মেঘাচ্ছন্ন” বাক্যটি এমন একটি বর্ণনামূলক বাক্য, যেখানে আকাশের অবস্থা বোঝানো হয়েছে। সংস্কৃতে অনুবাদ করার সময় উভয় পদই নপুংসকলিঙ্গ ও একবচন রূপে ব্যবহৃত হয় যাতে লিঙ্গ ও বচনের সামঞ্জস্য বজায় থাকে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
সঠিক উত্তর: ক) মেঘাচ্ছন্নম্ আকাশম্।
-
“আকাশ” শব্দের বিশ্লেষণ:
-
এটি বিষয়বাচক পদ, কর্তা নয়।
-
নপুংসকলিঙ্গ, একবচন, প্রথমা বিভক্তি রূপে ব্যবহৃত।
-
রূপ: আকাশম্।
-
-
“মেঘাচ্ছন্নম্” শব্দের বিশ্লেষণ:
-
গঠন: মেঘ + আচ্ছন্ন → অর্থ মেঘ দ্বারা আচ্ছাদিত।
-
এটি একটি কৃদন্ত বিশেষণ পদ (Past Participle Adjective)।
-
এখানে “আচ্ছাদিত” বা “ঢাকা” অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
-
-
বাক্যার্থ: “মেঘ দ্বারা আচ্ছাদিত আকাশ” → অর্থাৎ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন।
-
ব্যাকরণগত দিক: উভয় পদই নপুংসকলিঙ্গ একবচন রূপে থাকায় সামঞ্জস্যপূর্ণ ও শুদ্ধ বাক্যগঠন হয়েছে।

0
Updated: 1 day ago
উপনিষদের প্রধান বিষয়বস্তু কি?
Created: 1 day ago
A
জ্যোতিষ
B
আত্মতত্ত্ব
C
ব্রহ্মবিদ্যা
D
যজ্ঞবিদ্যা
উপনিষদ হলো প্রাচীন ভারতীয় দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক গ্রন্থসমূহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যার মূল উদ্দেশ্য আত্মা ও ব্রহ্মের সম্পর্ক উদ্ঘাটন এবং আত্মজ্ঞান অর্জনের পথ নির্দেশ করা। এগুলো বেদের অন্তিম অংশ হিসেবে ‘বেদান্ত’ নামেও পরিচিত।
-
উপনিষদে আত্মা (ব্যক্তিগত সত্তা) ও ব্রহ্ম (সর্বজনীন সত্তা)-এর ঐক্য নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে।
-
এর মূল লক্ষ্য মোক্ষ বা মুক্তি, যা আত্ম-জ্ঞান ও ব্রহ্মজ্ঞান দ্বারা লাভ করা সম্ভব বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
-
এতে ধ্যান, তপস্যা, মনঃসংযম ও জ্ঞানের মাধ্যমে সত্য অনুধাবনের পথ নির্দেশ করা হয়েছে।
-
উপনিষদগুলোর ভাষা মূলত রূপক, সংলাপ ও দার্শনিক বিশ্লেষণমূলক, যা চিন্তাশীল পাঠককে আত্মবিশ্লেষণে উদ্বুদ্ধ করে।
-
যদিও জ্যোতিষ বা যজ্ঞবিদ্যার মতো বিষয় আংশিকভাবে উল্লেখিত, তবে মূল কেন্দ্রবিন্দু আত্মতত্ত্ব বা আত্মদর্শন।
-
এ কারণে উপনিষদকে ভারতীয় দর্শনের ভিত্তি এবং আধ্যাত্মিক জ্ঞানের শ্রেষ্ঠ উৎস হিসেবে গণ্য করা হয়।

0
Updated: 1 day ago