অমৃতং বালভাষিতম্ - এর অনুবাদ কোনটি?
A
শিশুরা বালসুলভ
B
শিশুরা অমৃতসমান
C
অমৃত বালভাষিত
D
শিশুদের ভাষা অমৃতসমান
উত্তরের বিবরণ
“শিশুদের ভাষা অমৃতসমান” বাক্যটি শিশুর নির্দোষ, আন্তরিক ও স্বতঃস্ফূর্ত বক্তব্যের সৌন্দর্য প্রকাশ করে। এটি এমন এক তুলনা যেখানে শিশুর কথাকে অমৃতের মাধুর্যের সঙ্গে সমান করা হয়েছে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
अमृतं (অমৃতং): অর্থ অমৃত, আনন্দদায়ক, অমৃতসদৃশ বা মধুর।
-
बालभाषিতम् (বালভাষিতম্): অর্থ শিশুদের বলা কথা, অর্থাৎ শিশুর ভাষা।
-
আক্ষরিক অর্থ: “শিশুদের বলা কথা অমৃতের মতো মধুর।”
-
অর্থগত ব্যাখ্যা: শিশুর ভাষা অমৃতসমান, কারণ তা সরল, নিষ্পাপ, আন্তরিক ও প্রীতিকর।
-
ব্যবহারিক দিক: এই বাক্যটি ব্যবহৃত হয় শিশুর প্রাকৃতিক সরলতা, সত্যতা ও হৃদয়স্পর্শী কথার মাধুর্য প্রকাশে।
-
সাহিত্যিক তাৎপর্য: এটি মানবজীবনের এক নির্মল আবেগের প্রতীক, যেখানে শিশুর নির্ভেজাল মন ও ভাষা অমৃতের মতো মিষ্টি বলে অনুভূত হয়।

0
Updated: 1 day ago
বিদ্যা বিনয় দান করে- এর সংস্কৃত অনুবাদ কোনটি?
Created: 1 day ago
A
বিদ্যা বিনয়ং দানং কুরু
B
বিদ্যা আহরতি বিনয়ং
C
বিদ্যা কুরুং বিনয়ং
D
বিদ্যা দদাতি বিনয়ম
সংস্কৃত বাক্যটি “বিদ্যা দদাতি বিনয়ম্” অর্থাৎ “বিদ্যা বা জ্ঞান মানুষকে বিনয় দান করে” — মানবচরিত্র গঠনের একটি গভীর নীতিবাক্য। এটি জ্ঞানের প্রকৃত উদ্দেশ্য ও তার নৈতিক প্রভাবকে তুলে ধরে।
-
“দদাতি” শব্দটি এসেছে √দা (দান) ধাতু থেকে, যার অর্থ “দেয়” বা “দান করে”।
-
আক্ষরিক অর্থে বাক্যটির মানে — “বিদ্যা বিনয় দান করে” বা “জ্ঞান মানুষকে নম্র করে তোলে”।
-
এটি একটি নীতিশ্লোকের অংশ, যার পূর্ণ রূপ—
“বিদ্যা দদাতি বিনয়ম্, বিনয়াদ্ যতি পাত্রতাম্।
পাত্রत्वাৎ অর্থমাপ্নোতি, অর্থাৎ ধর্মং ततঃ सुखম্॥” -
অর্থাৎ বিদ্যা বিনয় দেয়, বিনয় থেকে আসে যোগ্যতা, যোগ্যতা থেকে সম্পদ, এবং সম্পদ থেকে ধর্ম ও সুখ লাভ হয়।
-
শ্লোকটি বোঝায় যে সত্যিকারের জ্ঞান মানুষকে অহংকারহীন, নম্র ও শালীন করে তোলে।
-
এতে জ্ঞানের নৈতিক দিক প্রকাশিত হয় — জ্ঞান কেবল তথ্য নয়, এটি চরিত্রের পরিশুদ্ধিও ঘটায়।
-
এই নীতি ভারতীয় শিক্ষাচিন্তার একটি মূল দর্শন, যেখানে বিদ্যা ও বিনয়ের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য হিসেবে গণ্য।

0
Updated: 1 day ago
মিথ্যাভাষনং মহাপাপম্ - নিচের কোনটি এর অনুবাদ?
Created: 1 day ago
A
মিথ্যাবাদী পাপী
B
মিথ্যা বলা মহাপাপ
C
মিথ্যাকে ঘৃণা কর
D
মিথ্যাই পাপ
“মিথ্যাভাষনং মহাপাপম্” একটি নীতিশিক্ষামূলক সংস্কৃত উক্তি, যার মাধ্যমে মানবজীবনে সত্যের গুরুত্ব ও মিথ্যার নৈতিক অগ্রহণযোগ্যতা প্রকাশ করা হয়েছে। এই বাক্যটি সত্যবাদিতাকে ধর্মের প্রধান স্তম্ভ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে এবং মিথ্যাকে গুরুতর পাপ হিসেবে চিহ্নিত করে।
১. শব্দার্থ:
-
মিথ্যা — অর্থ অসত্য বা ভুল কথা।
-
ভাষনং — √ভাষ ধাতু থেকে উৎপন্ন, যার অর্থ “বলা” বা “উচ্চারণ করা।”
-
মহাপাপম্ — অর্থ অত্যন্ত গুরুতর পাপ বা নিন্দনীয় কাজ।
২. আক্ষরিক অনুবাদ: “মিথ্যা বলা মহাপাপ”— অর্থাৎ অসত্য ভাষণ করা নৈতিকভাবে অপরাধ।
৩. নৈতিক তাৎপর্য: এই উক্তির মূল উদ্দেশ্য মানুষকে সত্যনিষ্ঠ হতে উদ্বুদ্ধ করা এবং সমাজে সততার মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করা।
৪. শাস্ত্রীয় উল্লেখ: মনুস্মৃতি, নীতিশাস্ত্র ও উপনিষদসমূহে বলা হয়েছে— সত্যই ধর্মের মূল, আর মিথ্যা সব পাপের মূল কারণ।
৫. মূল ভাবার্থ: সত্য বলা মানেই ধর্মপালন; তাই মিথ্যা বলা শুধু নৈতিক অপরাধ নয়, বরং এক মহাপাপ, যা মানুষকে ধর্মপথ থেকে বিচ্যুত করে।

0
Updated: 1 day ago
"বুদ্ধির্যস্য বলং তস্য" এর বাংলা অনুবাদ কোনটি?
Created: 23 hours ago
A
বুদ্ধি যার বল তার
B
বুদ্ধিহীনের বল বেশী
C
বুদ্ধি থাকলে বল বাড়ে
D
বুদ্ধি আছে তাই বল আছে
এই বাক্যটি সংস্কৃত সূত্র “বুদ্ধির্যস্য বলং তস্য”–এর বিশ্লেষণকে প্রকাশ করে, যার অর্থ “যার বুদ্ধি, তারই বল বা শক্তি।” এটি জ্ঞান ও বুদ্ধির গুরুত্বকে তুলে ধরে, যেখানে বুদ্ধিকে প্রকৃত শক্তির উৎস হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
-
বুদ্ধি = বুদ্ধি বা জ্ঞান — মনের বিশ্লেষণ ক্ষমতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের শক্তি।
-
যস্য = যার — এখানে কার অধিকার বোঝানো হয়েছে।
-
বলং = শক্তি বা ক্ষমতা — শারীরিক বা মানসিক উভয় শক্তিকেই বোঝায়।
-
তস্য = তার — পূর্বোক্ত ব্যক্তিকে নির্দেশ করে।
-
এই সূত্রের ভাবার্থ হলো, যার মধ্যে জ্ঞান ও বুদ্ধি আছে, প্রকৃত শক্তি তারই মধ্যে নিহিত।
-
এতে বোঝানো হয়েছে যে বুদ্ধি বা জ্ঞান ছাড়া বলের কোনো প্রকৃত মূল্য নেই, কারণ শক্তির সঠিক ব্যবহার কেবল বুদ্ধিমান ব্যক্তিই করতে পারে।
-
প্রাচীন ভারতীয় দর্শনে এই ধারণা বর্ণিত হয়েছে যে বুদ্ধি শক্তির নিয়ন্ত্রক, তাই বলের চেয়ে জ্ঞান শ্রেষ্ঠ।

0
Updated: 23 hours ago