ভাসের লেখা নাটকের সংখ্যা কয়টি?
A
৫ টি
B
১৫ টি
C
১৩ টি
D
১০ টি
উত্তরের বিবরণ
ভাস ছিলেন ভারতের অন্যতম প্রাচীন ও শ্রেষ্ঠ সংস্কৃত নাট্যকার, যিনি কালিদাসেরও পূর্ববর্তী যুগে সাহিত্যসাধনা করেছিলেন। তাঁর রচনাগুলি প্রাচীন ভারতীয় নাট্যসাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
ভাসের সময়কাল প্রায় খ্রিস্টীয় ২য়–৩য় শতক।
-
কালিদাস নিজেই স্বীকার করেছেন যে, তিনি ভাসসহ প্রাচীন কবিদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন— “ভাস, সৌমিল, কৌটিল্যাদি পুরাতন কবিদের পদাঙ্কে আমি চলেছি” (মালবিকাগ্নিমিত্রম, ভূমিকা অংশে)।
-
বহুদিন ভাসের নাটকগুলো হারিয়ে গিয়েছিল, তবে কেরালার পণ্ডিত টি. গণপতিশাস্ত্রী ১৯১২–১৯১৫ সালের মধ্যে ত্রিবাঙ্কুরের এক পান্ডুলিপি থেকে ভাসের ১৩টি নাটক উদ্ধার করেন।
-
এর মাধ্যমে নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হয় যে, ভাসের রচিত নাটকের সংখ্যা ১৩টি।
ভাসের ১৩টি নাটক ও তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচয়:
-
প্রতিজ্ঞা যৗগন্ধরায়ণম্ — যৌগন্ধরায়ণের প্রতিজ্ঞা ও উদার নীতির কাহিনি
-
স্বপ্নবাসবদত্তম্ — উদয়ন ও বাসবদত্তার প্রেমগাথা
-
পাঞ্চরাত্রম্ — উদয়ন–বাসবদত্তা–সুশ্রুভার কাহিনি
-
দূতঘটোত্কচম্ — মহাভারতের ঘটোত্কচ ও কৃষ্ণসংক্রান্ত নাটক
-
দূতবাক্যম্ — কৃষ্ণের কৌরব সভায় দূতরূপে যাত্রা
-
উরুভঙ্গম্ — দুরু্যোধনের উরু ভাঙার কাহিনি
-
কর্ণভারম্ — কর্ণের দানশীলতার চিত্রণ
-
অবিমারক (অভিমারক) — রোমান্টিক প্রেমকাহিনি
-
বালচরিতম্ — কৃষ্ণের শৈশবজীবনের কাহিনি
-
দারিদ্রচরিতম্ — মানবজীবনের দারিদ্র্যচিত্র
-
মাধ্যম্যবয়নম্ — মধ্যমবীর নায়কের কাহিনি
-
অভিমারক (Abhimāraka) — রাজকুমার–রাজকন্যার প্রেমগাথা
-
প্রতিমা নাটকম্ — রামায়ণ অবলম্বনে রচিত নাটক
কিছু গবেষকের মতে, দারিদ্রচরিতম্ ও মাধ্যম্যবয়নম্ সম্ভবত ভাসের রচনা নয়, কিন্তু ঐতিহাসিকভাবে এগুলোকেও তাঁর নামে স্বীকৃত দেওয়া হয়েছে।
ভাসের নাটকের বৈশিষ্ট্যসমূহ:
-
সংক্ষিপ্ত অথচ নাটকীয় উপস্থাপনা— ঘটনা বিন্যাস দ্রুত ও সংলাপ শক্তিশালী।
-
মানবিক আবেগের গভীর প্রকাশ— করুণা, প্রেম, ত্যাগ ও বীরত্বের মিশ্রণ।
-
সাহিত্যিক উদ্ভাবনশক্তি— রামায়ণ ও মহাভারতের পরিচিত কাহিনিতে নতুন ব্যাখ্যা।
-
নাট্যরূপের পূর্বসূরী ভূমিকা— পরবর্তী নাট্যকার যেমন কালিদাস ও ভট্টনারায়ণ ভাসের নাটক থেকে প্রভাবিত হন।
এইভাবে ভাস সংস্কৃত নাট্যধারার ভিত্তি স্থাপন করেন, যা ভারতীয় নাট্যকলার বিকাশে এক যুগান্তকারী অবদান হিসেবে চিহ্নিত।

0
Updated: 1 day ago
মহাভারতের যুদ্ধে মোট কত অক্ষৌহিণী সৈন্য ছিল?
Created: 1 day ago
A
৭ অক্ষৌহিণী
B
১১ অক্ষৌহিণী
C
১৮ অক্ষৌহিণী
D
১০ অক্ষৌহিণী
মহাভারতের কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ ছিল ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ ও স্মরণীয় যুদ্ধ, যেখানে উভয় পক্ষ মিলিয়ে মোট ১৮ অক্ষৌহিণী সৈন্যবাহিনী অংশগ্রহণ করেছিল। এই বিশাল সেনাবাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে মানব সভ্যতার প্রাচীনতম ও বৃহত্তম সংঘর্ষগুলোর একটি সৃষ্টি করে।
-
কৌরব পক্ষের সৈন্য সংখ্যা: ১১ অক্ষৌহিণী
-
পাণ্ডব পক্ষের সৈন্য সংখ্যা: ৭ অক্ষৌহিণী
-
একটি অক্ষৌহিণী সেনা বলতে বোঝানো হয় নির্দিষ্ট সংখ্যক রথ, হাতি, অশ্ব ও পদাতিকের সমন্বয়ে গঠিত এক বিশাল বাহিনী, যার মোট সদস্যসংখ্যা প্রায় ২১,৮৭,৮৭০ জন।
-
এই যুদ্ধেই কৌরব ও পাণ্ডবদের মধ্যে ন্যায় ও অন্যায়ের সংঘর্ষ ঘটে, যা মহাভারতের মূল কাহিনির কেন্দ্রবিন্দু।
-
যুদ্ধের সময় শ্রীকৃষ্ণ পাণ্ডবপক্ষের উপদেষ্টা ও অর্জুনের সারথি হিসেবে ভূমিকা রাখেন, যা পরবর্তীতে ভগবদ্গীতার শিক্ষার সূত্রপাত ঘটায়।

0
Updated: 1 day ago
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার দশম অধ্যায়ের নাম কি?
Created: 1 day ago
A
জ্ঞানযোগ
B
বিভূতিযোগ
C
অভ্যাসযোগ
D
সাংখ্যযোগ
ভগবদ্গীতার দশম অধ্যায় “বিভূতিযোগ” নামে পরিচিত, যেখানে শ্রীকৃষ্ণ তাঁর মহিমা, ঐশ্বর্য ও সর্বব্যাপী শক্তির প্রকাশ ব্যাখ্যা করেছেন। এই অধ্যায় ঈশ্বরের সর্বত্র বিরাজমান রূপের দার্শনিক ব্যাখ্যা ও ভক্তির গভীর তাৎপর্য তুলে ধরে।
১. অধ্যায়ের মূল বিষয়: শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে জানান যে, জগতে যে কোনো মহানতা, শক্তি, জ্ঞান, সৌন্দর্য বা গুণ—সবই তাঁরই এক অংশ বা “বিভূতি”।
২. বিভূতির অর্থ: “বিভূতি” বলতে বোঝায় ঈশ্বরের দিব্য প্রকাশ বা ঐশ্বর্যময় রূপ, যা সৃষ্টির প্রতিটি ক্ষেত্রে বিরাজমান।
৩. দার্শনিক তাৎপর্য: এখানে শ্রীকৃষ্ণ জগতের সবকিছুতেই নিজের অস্তিত্ব নির্দেশ করে বোঝাতে চান যে, ঈশ্বর সর্বব্যাপী এবং সর্বশক্তিমান।
৪. অধ্যায়ের উদ্দেশ্য: ভক্তদের মনে ঈশ্বরের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস জাগানো, যাতে তারা প্রতিটি সৃষ্টিতে ঈশ্বরের রূপ উপলব্ধি করতে শেখে।
৫. মূল ভাবার্থ: এই অধ্যায় মানুষকে শেখায় যে ঈশ্বর কেবল এক স্থানে নন, বরং সমস্ত মহত্ত্ব, সৌন্দর্য ও শক্তির মধ্যেই প্রকাশমান। তাই ভক্তি ও উপলব্ধির মাধ্যমে তাঁর ঐশ্বর্যকে জানা সম্ভব।

0
Updated: 1 day ago
পঞ্চমবেদ বলা হয় কাকে?
Created: 1 day ago
A
ঋকবেদকে
B
শ্রীচণ্ডীকে
C
মহাভারতকে
D
উপনিষদকে
মহাভারতকে প্রায়ই ‘পঞ্চম বেদ’ বলা হয়, কারণ এটি কেবল একটি মহাকাব্য নয়, বরং মানবজীবনের ধর্ম, নীতি ও সমাজব্যবস্থার দিকনির্দেশও প্রদান করে। চার বেদের পর এটিকে আধ্যাত্মিক ও নৈতিক শিক্ষার উৎস হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
-
মহাভারত প্রাচীন ভারতের এক বিশাল মহাকাব্য, যা ব্যাসদেব রচনা করেন।
-
এতে ধর্ম, নীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি ও মানবজীবনের আচরণবিধি বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে।
-
চারটি বেদ (ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদ, অথর্ববেদ) পরবর্তীকালে এটি আধ্যাত্মিক জ্ঞানের সম্পূরক হিসেবে স্বীকৃত হয়।
-
মহাভারতের মাধ্যমে কর্ম, জ্ঞান ও ভক্তির সমন্বয় ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
-
এতে ‘গীতা’-র মতো অনন্য দর্শনমূলক অংশ রয়েছে, যা নৈতিক ও দার্শনিক শিক্ষা প্রদান করে।
-
এ কারণে প্রাচীন ভারতীয় ঐতিহ্যে এটি ‘পঞ্চম বেদ’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।

0
Updated: 1 day ago