সামাজিক নিয়ন্ত্রণ (Social Control) হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে সমাজে শৃঙ্খলা বজায় রাখা, নিয়ম-নীতি পালন নিশ্চিত করা এবং ব্যক্তির আচরণকে সামাজিক মানদণ্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়। এটি সমাজে স্থিতিশীলতা, ঐক্য ও নিরাপত্তা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মূল বিষয়গুলো হলো:
১। আনুষ্ঠানিক এজেন্সি (Formal Agency):
-
এগুলো এমন প্রতিষ্ঠান, যা আইন, বিধি ও সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সমাজে শৃঙ্খলা ও শাস্তির ব্যবস্থা পরিচালনা করে।
-
এসব সংস্থা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও আইনি কাঠামোর মাধ্যমে সামাজিক নিয়ন্ত্রণ কার্যকর করে।
২। প্রধান আনুষ্ঠানিক সংস্থা:
-
পুলিশ (Police): অপরাধ প্রতিরোধ, অপরাধী গ্রেপ্তার ও শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখে।
-
অদালত / বিচার বিভাগ (Courts / Judiciary): আইন অনুযায়ী বিচার পরিচালনা করে অপরাধীর দণ্ড নির্ধারণ করে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে।
-
সরকারি প্রতিষ্ঠান (Government Agencies): প্রশাসনিক নীতি, বিধি ও আইন প্রয়োগের মাধ্যমে সমাজে শৃঙ্খলা ও স্থিতি রক্ষা করে।
৩। অনানুষ্ঠানিক এজেন্সি (Informal Agency):
-
পরিবার, ধর্ম, শিক্ষা, প্রথা ও জনমত — এরা সামাজিক নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে, তবে তাদের ক্ষমতা আইনগত নয়, বরং নৈতিক ও সামাজিক প্রভাবনির্ভর।
অতএব, সামাজিক নিয়ন্ত্রণের আনুষ্ঠানিক সংস্থাগুলো সমাজে আইন ও প্রশাসনের মাধ্যমে শৃঙ্খলা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে, যেখানে অন্য অনানুষ্ঠানিক সংস্থাগুলো নৈতিকতা ও সামাজিক মূল্যবোধের মাধ্যমে আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে।