সমাজবিজ্ঞানের উদ্ভব হয় কত সালে?
A
১৮৩৯
B
১৯৩৯
C
১৮৩৮
D
১৮৩৭
উত্তরের বিবরণ
‘Sociology’ শব্দটির উৎপত্তি সমাজবিজ্ঞানের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। সমাজ ও মানব আচরণকে বৈজ্ঞানিকভাবে বিশ্লেষণের ধারণা এই সময় থেকেই সুস্পষ্ট রূপ পায়।
মূল তথ্যগুলো নিম্নরূপ—
১। প্রথম ব্যবহার: ঐতিহাসিকভাবে দেখা যায়, ১৭৮০ সালে ফরাসি প্রাবন্ধিক ইমানুয়েল জোসেফ সিয়েস (Emmanuel-Joseph Sieyès) তাঁর এক অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপিতে প্রথমবারের মতো “Sociology” শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন (Fauré et al., 1999)।
২। জনপ্রিয়করণ: পরে ১৮৩৮ সালে অগাস্ট কোঁৎ (Auguste Comte) শব্দটি পুনঃপ্রবর্তন করে সমাজবিজ্ঞানের একটি স্বতন্ত্র শাস্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা দেন। তিনি সমাজ অধ্যয়নের জন্য বিজ্ঞানের মতোই পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ ও নিয়ম-নির্ধারণের পদ্ধতি প্রয়োগের ওপর জোর দেন।
৩। কোঁতের পটভূমি: অগাস্ট কোঁৎ মূলত একজন প্রকৌশল শিক্ষার্থী ছিলেন, কিন্তু পরবর্তীতে সমাজদার্শনিক Claude Henri de Rouvroy Comte de Saint-Simon-এর শিষ্য হন। Saint-Simon-এর কাছ থেকেই তিনি সমাজকে বিজ্ঞানসম্মতভাবে ব্যাখ্যা করার ধারণা গ্রহণ করেন।
৪। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রয়োগ: কোঁৎ ও তাঁর গুরু Saint-Simon বিশ্বাস করতেন যে সমাজের ঘটনাবলি বিশ্লেষণে প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের মতো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি (scientific methods) ব্যবহার করলে সমাজের নিয়ম ও গঠন ভালোভাবে বোঝা সম্ভব।
সুতরাং, ‘Sociology’ শব্দটির মূল উদ্ভাবক ছিলেন ইমানুয়েল জোসেফ সিয়েস, তবে অগাস্ট কোঁৎ ১৮৩৮ সালে শব্দটি পুনঃপ্রবর্তন ও জনপ্রিয় করে সমাজবিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করেন।

0
Updated: 1 day ago
নিগ্রোদের প্রধান আবাস ভূমি কোথায়?
Created: 3 days ago
A
পলিনেশিয়া
B
আফ্রিকা
C
এশিয়া
D
আমেরিকা
নিগ্রো জনগোষ্ঠী আফ্রিকা মহাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও বিস্তৃত মানবগোষ্ঠী, যাদের বসবাস প্রধানত উপ-সাহারান অঞ্চলে। এদের শারীরিক বৈশিষ্ট্য, ভাষা ও সংস্কৃতি আফ্রিকার ভূগোল ও আবহাওয়ার প্রভাব বহন করে।
-
প্রধান আবাস অঞ্চল:
-
পশ্চিম আফ্রিকা: নাইজেরিয়া, ঘানা, সেনেগাল, সিয়েরা লিওন, গাম্বিয়া প্রভৃতি দেশ এই অঞ্চলের প্রধান নিগ্রো আবাসভূমি।
-
মধ্য আফ্রিকা: কঙ্গো, গ্যাবন, ক্যামেরুন ও অ্যাঙ্গোলা অঞ্চলে এই জনগোষ্ঠীর ঘনবসতি রয়েছে।
-
দক্ষিণ আফ্রিকা: জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা ও মোজাম্বিকেও তাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
-
উত্তর ও পূর্ব আফ্রিকা: এই অঞ্চলে নিগ্রো জনগোষ্ঠীর উপস্থিতি তুলনামূলক কম; এখানে হামাইট ও সেমিট জাতিগোষ্ঠীর আধিক্য পরিলক্ষিত হয়।
-
-
বৈশিষ্ট্যগতভাবে:
-
গায়ের রং সাধারণত গাঢ় কৃষ্ণ বর্ণের।
-
কোঁকড়া বা ঘন চুল, যা গরম আবহাওয়ার সঙ্গে অভিযোজিত।
-
প্রশস্ত নাক ও ঠোঁট, যা শারীরিক গঠনে স্পষ্টভাবে দেখা যায়।
-
সাধারণত শক্তপোক্ত দেহ ও গঠনগতভাবে সহনশীল প্রকৃতির।
-
এইভাবে নিগ্রো জনগোষ্ঠী আফ্রিকার একটি বৃহৎ নৃগোষ্ঠী, যারা তাদের স্বতন্ত্র শারীরিক বৈশিষ্ট্য, সংস্কৃতি ও ভাষাগত বৈচিত্র্যের মাধ্যমে মহাদেশটির সামাজিক ও মানবিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

0
Updated: 3 days ago
বাংলাদেশে আত্মীয়তা সম্পর্কের (Kinship) ভূমিকা কী?
Created: 2 days ago
A
বাণিজ্য ও ব্যাংকিং
B
সম্পত্তির উত্তরাধিকার ও জোট গঠন
C
রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠী গঠন
D
গ্রাম ও শহরের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন
সমাজে উত্তরাধিকার নির্ধারণের মূল ভিত্তি হলো আত্মীয়তা। কে কার সম্পদ বা সম্পত্তি পাবে, তা সাধারণত রক্তসম্পর্ক বা পারিবারিক সম্পর্কের ওপর নির্ভর করে। এর মাধ্যমে সমাজে সম্পদ ও মর্যাদা এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে স্থানান্তরিত হয়, যা সামাজিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখে।
প্রধান বিষয়গুলো হলো—
-
আত্মীয়তার ভূমিকা: উত্তরাধিকার নির্ধারণে আত্মীয়তার সম্পর্কই মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
-
রক্তসম্পর্কের ভিত্তি: সাধারণত পিতা-মাতা, পুত্র-কন্যা, ভাই-বোন, স্ত্রী-স্বামী— এরা আত্মীয়তার জালের প্রধান অংশ, যারা সম্পদের ভাগিদার হতে পারে।
-
সামাজিক ও আইনগত প্রক্রিয়া: উত্তরাধিকার শুধু সামাজিক নয়, এটি একটি আইনসম্মত ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে পারিবারিক সম্পত্তি ও সম্পদ বৈধভাবে স্থানান্তরিত হয়।
-
সম্পদ ও মর্যাদার স্থানান্তর: আত্মীয়তার মাধ্যমে কেবল সম্পত্তিই নয়, বরং সামাজিক মর্যাদা, দায়িত্ব ও কর্তৃত্বও প্রজন্মান্তরে সঞ্চারিত হয়।
-
সামাজিক স্থিতিশীলতা: এই উত্তরাধিকারের ধারা সমাজে স্থিতিশীলতা ও ঐক্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, কারণ এটি পারিবারিক বন্ধন ও দায়িত্ববোধকে দৃঢ় করে তোলে।

0
Updated: 2 days ago
ব্যক্তির মর্যাদা বর্তমানের তুলনায় উর্ধ্ব হলে তাকে কোন গতিশীলতা বলে?
Created: 1 day ago
A
ঊর্ধ্বগামী
B
উল্লম্বী
C
আনুভূমিক
D
সমান্তরাল
যখন কোনো ব্যক্তির সামাজিক অবস্থান বা মর্যাদা পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পায়, তখন সমাজবিজ্ঞানে একে বলা হয় ঊর্ধ্ব সামাজিক গতিশীলতা (Upward Social Mobility)। এটি সামাজিক পরিবর্তনের একটি ইতিবাচক রূপ, যেখানে ব্যক্তি শিক্ষা, পেশা বা অর্থনৈতিক উন্নতির মাধ্যমে সমাজে উচ্চতর অবস্থানে পৌঁছায়।
মূল বিষয়গুলো হলো:
১। সামাজিক গতিশীলতা (Social Mobility):
-
সমাজে ব্যক্তির বা গোষ্ঠীর সামাজিক অবস্থান পরিবর্তনের প্রক্রিয়াকে সামাজিক গতিশীলতা বলা হয়।
-
এটি সমাজের উন্মুক্ততা, পরিবর্তন ও অগ্রগতির সূচক।
২। প্রধান দুই প্রকার:
-
আনুভূমিক সামাজিক গতিশীলতা (Horizontal Mobility): কোনো ব্যক্তির সামাজিক মর্যাদা অপরিবর্তিত থাকে, কিন্তু অবস্থান বা পেশা পরিবর্তিত হয়। যেমন—একজন শিক্ষক অন্য স্কুলে বদলি হওয়া।
-
উল্লম্বী সামাজিক গতিশীলতা (Vertical Mobility): সামাজিক মর্যাদায় পরিবর্তন ঘটে। এটি দুইভাবে হতে পারে—
-
ঊর্ধ্বমুখী গতিশীলতা (Upward Mobility): সামাজিক অবস্থান উন্নত হয়, যেমন—একজন শ্রমিক কর্মকর্তা হওয়া।
-
নিম্নমুখী গতিশীলতা (Downward Mobility): সামাজিক মর্যাদা কমে যায়, যেমন—একজন ব্যবসায়ী দেউলিয়া হয়ে সাধারণ শ্রমিক হওয়া।
-
৩। সঠিক উত্তর:
-
প্রশ্নে বলা হয়েছে, ব্যক্তির মর্যাদা “বর্তমানের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে”, তাই এটি উল্লম্বী সামাজিক গতিশীলতার ঊর্ধ্বমুখী রূপ (Upward Vertical Mobility)।
অতএব, সমাজবিজ্ঞানে যখন কোনো ব্যক্তির সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পায়, সেটিকে ঊর্ধ্ব সামাজিক গতিশীলতা বলা হয়, যা সমাজে অগ্রগতি ও সাফল্যের প্রতীক।

0
Updated: 1 day ago