পাহাড়পুরে আবিষ্কৃত মুদ্রাটি কার আমলের?
A
খলিফা ওমর
B
খলিফা হারুন অর রশীদ
C
বখতিয়ার খলজি
D
হযরত ওসমান
উত্তরের বিবরণ
ইসলামি ইতিহাস ও বাংলার মধ্যযুগীয় প্রত্নতত্ত্বে উল্লিখিত সময়কালগুলো গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক প্রমাণ বহন করে। বিশেষ করে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলো এই সময়ের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাবের ইঙ্গিত দেয়।
তথ্যগুলো হলো:
-
খলিফা হারুন-উর-রশিদ আব্বাসীয় খলিফা ছিলেন, তাঁর শাসনকাল ৭৬৮–৮০৯ খ্রিস্টাব্দ। তাঁর আমলে ইসলামী সভ্যতা জ্ঞান, সংস্কৃতি ও বাণিজ্যে উচ্চশিখরে পৌঁছে।
-
খলিফা ওমর (রাঃ)-এর সময়কাল ছিল ৬৩৪–৬৪৪ খ্রিস্টাব্দ, যিনি ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত্তি মজবুত করেন এবং ন্যায়নিষ্ঠ শাসনের জন্য বিখ্যাত।
-
খলিফা ওসমান (রাঃ)-এর শাসনকাল ছিল ৬৪৪–৬৫৬ খ্রিস্টাব্দ, তাঁর সময়ে কুরআন সংকলন সম্পন্ন হয়।
-
বখতিয়ার খলজি ছিলেন বাংলার মুসলিম বিজেতা, যিনি ১২০৬ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় প্রবেশ করে মুসলিম শাসনের সূচনা করেন।
-
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, যা বর্তমানে সোমপুর মহাবিহার নামে পরিচিত, স্থাপিত হয় অষ্টম শতকে পাল আমলে। এটি একটি বিশ্বখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এবং প্রাচীন বাংলার শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
-
এই বিহারে খলিফা হারুন-উর-রশিদের যুগের কিছু মুদ্রা পাওয়া গেছে, যা প্রমাণ করে যে সে সময় বাংলার সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগ ছিল।
এই তথ্যগুলো একত্রে প্রমাণ করে যে, মধ্যযুগীয় বাংলা শুধুমাত্র স্থানীয় সংস্কৃতিতেই নয়, বরং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও সভ্যতার ধারায়ও যুক্ত ছিল।

0
Updated: 1 day ago