ক্ষমতার মাপকাঠিতে পরিবার কয় ধরনের?
A
৩
B
২
C
৪
D
৬
উত্তরের বিবরণ
পরিবার সমাজের সবচেয়ে প্রাচীন ও মৌলিক প্রতিষ্ঠান, যেখানে সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক ও কর্তৃত্বের ভিত্তিতে ক্ষমতার বণ্টন ঘটে। এই ক্ষমতার মাপকাঠি অনুযায়ী পরিবারকে মূলত দুই ধরনের ভাগে বিভক্ত করা যায়।
তথ্যগুলো হলো:
-
পিতৃপ্রধান পরিবার: এখানে পরিবারের প্রধান কর্তৃত্ব থাকে পুরুষ বা পিতার হাতে। পরিবারের সিদ্ধান্ত, সম্পত্তি বণ্টন ও সামাজিক দিকনির্দেশনা তিনি নির্ধারণ করেন। সমাজে এই ধরনের পরিবারকে পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থা বলা হয়, যা বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক সমাজে প্রচলিত।
-
মাতৃপ্রধান পরিবার: এ ক্ষেত্রে পরিবারের নেতৃত্ব ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা থাকে মাতা বা নারী সদস্যের হাতে। উত্তরাধিকার, সম্পত্তি ও পারিবারিক সিদ্ধান্তে নারীর ভূমিকা প্রধান। এই ধরনের পরিবার বিশেষত কিছু আদিবাসী সমাজে যেমন—গারো বা খাসিয়া সমাজে দেখা যায়।
এই দুই ধরণের পরিবারের মাধ্যমে সমাজে ক্ষমতা, দায়িত্ব ও ভূমিকার ভারসাম্য কেমনভাবে গঠিত হয় তা নির্ধারণ করা যায়।

0
Updated: 1 day ago
সাম্প্রতিক বাংলাদেশের কিশোর অপরাধ বৃদ্ধির প্রধান কারণ কী?
Created: 1 day ago
A
শিক্ষার অভাব
B
বেকারত্ব
C
তথ্য প্রযুক্তির সহজলভ্যতা
D
পিতামাতার বিবাহ বিচ্ছেদ
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের কিশোর অপরাধ বৃদ্ধি একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন কারণ এর পেছনে ভূমিকা রাখলেও, সবচেয়ে কার্যকর ও দ্রুত প্রভাবশালী কারণ হলো তথ্য প্রযুক্তির সহজলভ্যতা, যা কিশোরদের মানসিক, সামাজিক ও নৈতিক আচরণে বড় প্রভাব ফেলছে।
মূল বিষয়গুলো হলো:
১। তথ্য প্রযুক্তির সহজলভ্যতা:
-
স্মার্টফোন, ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন কিশোরদের জন্য সহজলভ্য ও সুলভ।
-
অনিয়ন্ত্রিতভাবে সহিংস গেম, অশালীন ভিডিও, অপরাধমূলক কনটেন্ট ও নৈতিকহীন তথ্য কিশোরদের মানসিক বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
-
সামাজিক মাধ্যমে গ্রুপ কালচার, অনলাইন চ্যালেঞ্জ ও ভার্চুয়াল প্রভাব তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়াতে উৎসাহিত করছে।
২। পারিবারিক ভাঙন:
-
সাম্প্রতিক সময়ে পিতা-মাতার বিবাহবিচ্ছেদ ও পারিবারিক অস্থিরতা বেড়েছে, যা কিশোরদের মানসিক নিরাপত্তা নষ্ট করছে।
-
পর্যাপ্ত নজরদারি না থাকায় অনেক কিশোর মানসিক চাপ ও একাকিত্বের ফলে বিপথে যাচ্ছে।
৩। শিক্ষা ও বেকারত্ব:
-
শিক্ষার অভাব বা বেকারত্ব বাংলাদেশের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হলেও, সাম্প্রতিক কালের কিশোর অপরাধ বৃদ্ধিতে এটি সরাসরি প্রধান কারণ নয়।
-
তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নৈতিক শিক্ষা ও সাইবার সচেতনতার অভাব কিশোরদের অপরাধ প্রবণতায় সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
৪। সামাজিক প্রভাব:
-
জনপ্রিয় সংস্কৃতি, অপরাধভিত্তিক নাটক বা ভিডিও কনটেন্ট এবং অনলাইন খ্যাতির লোভ অনেক কিশোরকে বিপথে ঠেলে দিচ্ছে।
অতএব, সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশের কিশোর অপরাধ বৃদ্ধির প্রধান কারণ হলো তথ্য প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণহীন ও অবারিত ব্যবহার, যা পারিবারিক তদারকি ও সামাজিক সচেতনতার অভাবে কিশোর সমাজে এক উদ্বেগজনক প্রবণতা সৃষ্টি করছে।

0
Updated: 1 day ago
'প্রতিকী মিথস্ক্রিয়ার' তত্ত্ব কে দিয়েছেন?
Created: 1 day ago
A
মিড
B
ব্লুমার
C
ডুর্খীম
D
স্পেনসার
প্রতিকী মিথস্ক্রিয়া (Symbolic Interactionism) সমাজবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব, যা মূলত জর্জ হারবার্ট মিড (George Herbert Mead, 1863–1931) প্রবর্তন করেন এবং পরবর্তীতে তাঁর ছাত্র হারবার্ট ব্লুমার (Herbert Blumer, 1900–1987) এই তত্ত্বকে সংজ্ঞায়িত ও প্রসারিত করেন। এই তত্ত্ব মানব সমাজকে ব্যাখ্যা করে একটি অর্থনির্ভর মিথস্ক্রিয়ার ফলাফল হিসেবে, যেখানে মানুষ প্রতীক ও ভাষার মাধ্যমে অর্থ সৃষ্টি ও বিনিময় করে।
মূল বিষয়গুলো হলো—
১। সমাজ মানবিক মিথস্ক্রিয়ার ফল: সমাজ কোনো যান্ত্রিক গঠন নয়; বরং মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক, যোগাযোগ ও প্রতীক ব্যবহারের মাধ্যমেই সমাজ গঠিত হয়।
২। প্রতীকের ভূমিকা: মানুষ প্রতীক (Symbols) ব্যবহার করে অর্থ তৈরি করে ও অন্যদের সঙ্গে তা ভাগাভাগি করে। প্রতীক হতে পারে ভাষা, অঙ্গভঙ্গি, বস্তু বা এমন কিছু যা সামাজিকভাবে অর্থবহ।
৩। অর্থ সৃষ্টির প্রক্রিয়া: ব্যক্তি তার অভিজ্ঞতা, সামাজিক প্রেক্ষাপট ও যোগাযোগের মাধ্যমে প্রতীকের অর্থ বোঝে এবং নতুন অর্থ সৃষ্টি করে।
৪। ইন্টারপ্রিটেশন বা ব্যাখ্যার গুরুত্ব: মানুষ শুধুমাত্র প্রতিক্রিয়া করে না, বরং সামাজিক আচরণের আগে সে অর্থ ব্যাখ্যা করে, তারপর তার ওপর ভিত্তি করে কাজ করে।
৫। ব্যক্তিত্ব ও আচরণের বিকাশ: ব্যক্তির সামাজিক পরিবেশ ও মিথস্ক্রিয়ার অভিজ্ঞতা তার ব্যক্তিত্ব গঠন ও আচরণ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সংক্ষেপে, প্রতিকী মিথস্ক্রিয়ার তত্ত্ব দেখায় যে সমাজ হলো এক অবিরাম প্রতীকভিত্তিক যোগাযোগ ও অর্থ সৃষ্টির প্রক্রিয়া, যেখানে মানুষের পারস্পরিক বোঝাপড়া ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমেই সামাজিক বাস্তবতা গঠিত হয়।

0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশে আত্মীয়তা সম্পর্কের (Kinship) ভূমিকা কী?
Created: 2 days ago
A
বাণিজ্য ও ব্যাংকিং
B
সম্পত্তির উত্তরাধিকার ও জোট গঠন
C
রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠী গঠন
D
গ্রাম ও শহরের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন
সমাজে উত্তরাধিকার নির্ধারণের মূল ভিত্তি হলো আত্মীয়তা। কে কার সম্পদ বা সম্পত্তি পাবে, তা সাধারণত রক্তসম্পর্ক বা পারিবারিক সম্পর্কের ওপর নির্ভর করে। এর মাধ্যমে সমাজে সম্পদ ও মর্যাদা এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে স্থানান্তরিত হয়, যা সামাজিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখে।
প্রধান বিষয়গুলো হলো—
-
আত্মীয়তার ভূমিকা: উত্তরাধিকার নির্ধারণে আত্মীয়তার সম্পর্কই মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
-
রক্তসম্পর্কের ভিত্তি: সাধারণত পিতা-মাতা, পুত্র-কন্যা, ভাই-বোন, স্ত্রী-স্বামী— এরা আত্মীয়তার জালের প্রধান অংশ, যারা সম্পদের ভাগিদার হতে পারে।
-
সামাজিক ও আইনগত প্রক্রিয়া: উত্তরাধিকার শুধু সামাজিক নয়, এটি একটি আইনসম্মত ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে পারিবারিক সম্পত্তি ও সম্পদ বৈধভাবে স্থানান্তরিত হয়।
-
সম্পদ ও মর্যাদার স্থানান্তর: আত্মীয়তার মাধ্যমে কেবল সম্পত্তিই নয়, বরং সামাজিক মর্যাদা, দায়িত্ব ও কর্তৃত্বও প্রজন্মান্তরে সঞ্চারিত হয়।
-
সামাজিক স্থিতিশীলতা: এই উত্তরাধিকারের ধারা সমাজে স্থিতিশীলতা ও ঐক্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, কারণ এটি পারিবারিক বন্ধন ও দায়িত্ববোধকে দৃঢ় করে তোলে।

0
Updated: 2 days ago