বাংলাদেশের প্রধান সাংস্কৃতিক ভাষাগোষ্ঠী কোনটি?
A
মারমা
B
চাকমা
C
বিহারী
D
বাঙালী
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশ একটি বহু জাতি ও ভাষাভিত্তিক দেশ হলেও এর প্রধান সাংস্কৃতিক ভাষাগোষ্ঠী হলো বাঙালি। বাঙালিরা দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও জাতীয় পরিচয়ের মূল বাহক হিসেবে বিবেচিত।
তথ্যগুলো হলো:
-
বাঙালি ভাষাগোষ্ঠী বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী, যাদের মাতৃভাষা বাংলা।
-
তারা দেশের সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করে।
-
বাংলাদেশের প্রায় ১৭ কোটি মানুষ বাঙালি জাতিসত্তার অন্তর্ভুক্ত।
-
বাঙালিদের ঐতিহ্য, সাহিত্য, সংগীত, নৃত্য, পোশাক ও খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে তাদের স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক পরিচয় গড়ে উঠেছে।
-
বাঙালি সংস্কৃতি মূলত বাংলা ভাষা, ঐতিহ্যবাহী উৎসব (যেমন পহেলা বৈশাখ, নববর্ষ, একুশে ফেব্রুয়ারি) এবং লোকজ ঐতিহ্যের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত।

0
Updated: 1 day ago
'প্রগতি হচ্ছে মানবীয় সুখের পরিমান বৃদ্ধি'- কে বলেছেন?
Created: 2 days ago
A
এলউইড
B
ওয়ার্ড
C
ফ্রেজার
D
ম্যালথাস
হর্বার্ট স্পেন্সার (Herbert Spencer) সমাজ পরিবর্তন ও অগ্রগতিকে জৈবিক বিবর্তনের (Organic Evolution) সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাঁর মতে, যেমন জীবজগৎ সহজ থেকে জটিল রূপে বিকশিত হয়, তেমনি সমাজও সময়ের সাথে ধীরে ধীরে বিকাশ লাভ করে। সমাজের এই পরিবর্তন প্রাকৃতিক নিয়মে ঘটে এবং এর উদ্দেশ্য হলো মানবকল্যাণ ও সুখ বৃদ্ধি করা।
মূল ধারণাগুলো হলো—
-
সমাজের বিবর্তন: সমাজ একেবারে সহজ, ক্ষুদ্র ও অবিন্যস্ত অবস্থা থেকে ধীরে ধীরে জটিল, সংগঠিত ও উন্নত অবস্থায় রূপ নেয়।
-
জৈবিক তুলনা: যেমন জীবদেহ বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সমন্বয়ে বিকশিত হয়, তেমনি সমাজও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান (পরিবার, শিক্ষা, ধর্ম, অর্থনীতি, রাজনীতি ইত্যাদি) একত্রে বিকশিত হয়ে সামগ্রিক ঐক্য গড়ে তোলে।
-
উদ্দেশ্য: এই ক্রমবিকাশের প্রধান লক্ষ্য হলো মানবীয় সুখ ও কল্যাণের বৃদ্ধি।
-
স্পেন্সারের উক্তি: তিনি বলেন, “Progress is the increase in human happiness.” অর্থাৎ, প্রকৃত অগ্রগতি তখনই ঘটে যখন তা মানুষের সুখ ও মঙ্গল বৃদ্ধি করে।
-
প্রাসঙ্গিক মন্তব্য: যদিও প্রশ্নের উক্ত অপশনে স্পেন্সারের নাম নেই, তবুও এই বক্তব্যটি একমাত্র তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত, কারণ সমাজবিবর্তন ও অগ্রগতিকে জৈবিক নীতির আলোকে ব্যাখ্যা করার কৃতিত্ব তাঁরই।
এখানে সঠিক উত্তর দেওয়া নেই

0
Updated: 2 days ago
উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশে জনসংখ্যা জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধিপায়-কে বলেছেন?
Created: 1 day ago
A
এডাম স্মিথ
B
ম্যালথাস
C
মর্গান
D
ম্যাক্র
জনসংখ্যা বৃদ্ধির ওপর টমাস রবার্ট মালথাস (Thomas Robert Malthus, 1766–1834) একটি গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব উপস্থাপন করেন, যা ইতিহাসে “Malthusian Theory of Population” নামে পরিচিত। তাঁর মতে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সবসময় খাদ্য উৎপাদনের হারের তুলনায় অনেক দ্রুত, ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খাদ্য ঘাটতি ও সামাজিক সংকট সৃষ্টি হয়।
তত্ত্বের মূল বিষয়গুলো হলো—
১। জনসংখ্যা বৃদ্ধি (Population Growth): মালথাসের মতে, মানব জনসংখ্যা জ্যামিতিক বা গুণোত্তর (Geometric / Exponential) হারে বৃদ্ধি পায়, অর্থাৎ—১, ২, ৪, ৮, ১৬ … এইভাবে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময় পর পর জনসংখ্যা দ্বিগুণ হতে থাকে।
২। খাদ্য উৎপাদন (Food Supply): অপরদিকে, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পায় অঙ্কগণিত (Arithmetic / Linear) হারে, অর্থাৎ—১, ২, ৩, ৪ … এইভাবে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়।
৩। ফলাফল: জনসংখ্যা যখন খাদ্য উৎপাদনের ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করে, তখন সমাজে দেখা দেয় দারিদ্র্য, অনাহার, রোগব্যাধি ও মৃত্যুহার বৃদ্ধি। মালথাস একে “Positive Checks” বলে উল্লেখ করেছেন, যা জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে স্বাভাবিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করে।
৪। সমাধান বা নিয়ন্ত্রণ: তিনি আরও বলেন, মানুষ যদি স্বেচ্ছায় বিলম্বিত বিবাহ, জন্মনিয়ন্ত্রণ ও আত্মসংযম (Preventive Checks) পালন করে, তবে এই সংকট প্রতিরোধ করা সম্ভব।
৫। আধুনিক প্রাসঙ্গিকতা: যদিও পরবর্তীতে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও কৃষি বিপ্লব মালথাসের আশঙ্কা অনেকাংশে অতিক্রম করেছে, তবুও তাঁর তত্ত্ব উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশের জনসংখ্যা-সম্পদ ভারসাম্য বিশ্লেষণে আজও গুরুত্বপূর্ণ।
সারসংক্ষেপে, মালথাস দেখিয়েছিলেন যে জনসংখ্যা জ্যামিতিক হারে এবং খাদ্য উৎপাদন অঙ্কগণিত হারে বৃদ্ধি পায়, ফলে এই অসম বৃদ্ধিই জনসংখ্যা-সংকটের মূল কারণ।

0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশের প্রধান সামাজিক সমস্যা কী?
Created: 2 days ago
A
স্বাক্ষরহীনতা
B
দারিদ্র
C
বেকারত্ব
D
উপরের সবগুলি
আমাদের দেশের সমাজে স্বাক্ষরহীনতা, দারিদ্র্য ও বেকারত্ব একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত তিনটি বড় সামাজিক সমস্যা। এই সমস্যা শুধু ব্যক্তিগত জীবনে নয়, রাষ্ট্রের সামগ্রিক উন্নয়নকেও বাধাগ্রস্ত করে।
প্রধান দিকগুলো হলো—
-
স্বাক্ষরহীনতা: শিক্ষার অভাবে মানুষ নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে পারে না, উন্নত কর্মসংস্থানে অংশ নিতে পারে না এবং সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মেলাতে ব্যর্থ হয়।
-
দারিদ্র্য: পর্যাপ্ত আয় না থাকায় খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার মৌলিক চাহিদা পূরণ করা কঠিন হয়। ফলে দারিদ্র্য প্রজন্মের পর প্রজন্ম স্থায়ী হয়ে যায়।
-
বেকারত্ব: কাজের অভাব বা দক্ষতার ঘাটতির কারণে মানুষ কর্মহীন থাকে, যা দারিদ্র্য আরও বৃদ্ধি করে এবং সমাজে অসন্তোষ ও অপরাধপ্রবণতা বাড়ায়।
-
পারস্পরিক সম্পর্ক: স্বাক্ষরহীনতা শিক্ষার অভাব ঘটায়, শিক্ষার অভাব কর্মসংস্থানের সুযোগ কমায়, আর কর্মসংস্থানের অভাব দারিদ্র্যকে তীব্র করে তোলে।
-
সমাধানের প্রয়োজনীয়তা: এসব সমস্যা দূরীকরণে মানসম্মত শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচনমূলক কর্মসূচি অত্যন্ত জরুরি।
এই তিনটি সমস্যা সমাধান না হলে সমাজে অর্থনৈতিক বৈষম্য ও সামাজিক অস্থিরতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে।

0
Updated: 2 days ago