সাংসারেক কাদের ধর্মের নাম?
A
মনিপুরি
B
সাঁওতাল
C
গারো
D
মার্মা
উত্তরের বিবরণ
গারো জাতির ধর্মীয় ইতিহাস ও বিশ্বাস তাদের সংস্কৃতির এক অনন্য দিক। তারা মূলত প্রকৃতিপ্রেমী এবং প্রাচীনকাল থেকেই দেবদেবীর পূজা করে এসেছে। তাদের ঐতিহ্যবাহী ধর্মের নাম সাংসারেক, যা ‘সংসার’ শব্দ থেকে উদ্ভূত এবং জীবনচক্র ও প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্কিত এক ধর্মবিশ্বাস।
তথ্যগুলো হলো:
-
সাংসারেক ধর্ম গারোদের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী ধর্ম, যার মূল ধারণা প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের আধ্যাত্মিক সম্পর্ক স্থাপন।
-
এই ধর্মে বহু দেবতার পূজা করা হয়; প্রতিটি দেবতার আলাদা ভূমিকা ও গুরুত্ব আছে।
-
তাদের প্রধান দেবতা হলেন টাটারা রাবুগা, যিনি সৃষ্টিকর্তা ও সর্বশক্তিমান বলে বিবেচিত।
-
হর সালজং গারোদের আরেক দেবতা, যিনি সূর্যদেবতা হিসেবে পূজিত হন এবং আলো, শক্তি ও জীবনীশক্তির প্রতীক হিসেবে পরিচিত।
-
সাংসারেক ধর্মে আচার-অনুষ্ঠান, নাচ-গান ও উৎসবের মাধ্যমে দেবতাদের সন্তুষ্ট করা হয়।
-
তবে সময়ের সঙ্গে গারো সমাজে পরিবর্তন এসেছে; বর্তমানে তাদের প্রায় ৯০% মানুষ খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত, যদিও অনেকেই এখনো সাংসারেক ধর্মের সংস্কৃতি ও উৎসবগুলো ঐতিহ্য হিসেবে পালন করে।

0
Updated: 1 day ago
ব্যক্তিগত সম্পত্তির ধারণা কোন সমাজে ঘটে?
Created: 1 day ago
A
আদিম সমাজ
B
পশুপালন সমাজ
C
কৃষি সমাজ
D
দাস সমাজ
ব্যক্তিগত সম্পত্তির ধারণা মানব সমাজের বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যা মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবনে গভীর পরিবর্তন আনে। ইতিহাসে এই ধারণার সূচনা ঘটে পশুপালন সমাজে, আর পূর্ণতা লাভ করে কৃষি সমাজে।
মূল বিষয়গুলো হলো—
১। উৎপত্তি – পশুপালন সমাজে: যখন মানুষ যাযাবর জীবন ত্যাগ করে পশুপালন শুরু করে, তখন তারা নির্দিষ্ট পশুর ওপর অধিকার স্থাপন করে। একজন ব্যক্তি যে পশুগুলো লালন করত, সেগুলোর মালিকানা তার নিজের বলে বিবেচিত হতো। এর মধ্য দিয়েই ব্যক্তিগত সম্পত্তির ধারণার সূচনা ঘটে।
২। অধিকার ও ভোগ: পশুপালনকারীরা তাদের পশুর দুধ, মাংস বা চামড়া ব্যবহার করত এবং এগুলোর ওপর অন্য কেউ অধিকার রাখতে পারত না। তাই তারা তাদের সম্পত্তি ভোগের ব্যক্তিগত অগ্রাধিকার পেতো।
৩। বিকাশ – কৃষি সমাজে: পরবর্তীতে যখন মানুষ কৃষিকাজ শুরু করে ও জমিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকে, তখন জমির ওপর মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়। কৃষি উৎপাদনের মাধ্যমে সম্পদের সঞ্চয় ও বণ্টনব্যবস্থা তৈরি হয়, যা ব্যক্তিগত সম্পত্তির ধারণাকে আরও সুসংহত করে।
৪। সামাজিক প্রভাব: ব্যক্তিগত সম্পত্তির ধারণা সমাজে আর্থিক বৈষম্য, উত্তরাধিকার প্রথা ও শ্রেণিবিন্যাসের ভিত্তি গড়ে তোলে, যা পরবর্তী সভ্যতাগুলোর সামাজিক কাঠামো নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অতএব, বলা যায়, ব্যক্তিগত সম্পত্তির সূচনা পশুপালন সমাজে হলেও এর পূর্ণ বিকাশ ঘটে কৃষি সমাজে, যেখানে জমি ও উৎপাদনের ওপর মালিকানা সমাজের অর্থনৈতিক ভিত্তি গঠন করে।

0
Updated: 1 day ago
শহরে ক্ষমতা কাঠামোর ভিত্তি কয়টি?
Created: 2 days ago
A
৩টি
B
৫টি
C
৪টি
D
৬টি
শহর সমাজে ক্ষমতা কাঠামোর ভিত্তি (Basis of Power Structure in Urban Society) সাধারণত পাঁচটি মূল উপাদানের ওপর প্রতিষ্ঠিত। এসব উপাদান শহরের সামাজিক মর্যাদা, প্রভাব ও নেতৃত্ব নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
প্রধান ভিত্তিগুলো হলো—
-
১. সম্পত্তি: শিল্পকারখানার মালিক, ব্যবসায়ী বা ভূমি-মালিকরা শহরের অর্থনৈতিক ক্ষমতার অধিকারী। অর্থসম্পদই তাদের সামাজিক মর্যাদা ও রাজনৈতিক প্রভাবের ভিত্তি তৈরি করে।
-
২. রাজনৈতিক দলের সদস্যপদ: শহরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে সক্রিয় সদস্যরা নীতিনির্ধারণ, প্রশাসন ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করে। রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা ক্ষমতার গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
-
৩. সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার নিয়ন্ত্রণ: স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী শহরের অবকাঠামো, সেবা ও উন্নয়ন কার্যক্রমে কর্তৃত্ব প্রয়োগ করে।
-
৪. পেশা: চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রভৃতি পেশাজীবীরা শহরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও নেতৃত্বে প্রভাবশালী ভূমিকা পালন করেন।
-
৫. শিক্ষা: উচ্চশিক্ষা অর্জন ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে জ্ঞান, দক্ষতা ও সামাজিক মর্যাদায় উন্নীত করে, যা শহুরে ক্ষমতা কাঠামোর অন্যতম ভিত্তি।
সূত্র: একাদশ–দ্বাদশ শ্রেণির সমাজবিজ্ঞান, কাজল ব্রাদার্স প্রকাশনা।
এই পাঁচটি উপাদান সম্মিলিতভাবে শহরে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতার ভারসাম্য নির্ধারণ করে।

0
Updated: 2 days ago
বাংলাদেশের শহরে প্রধান সমস্যা কী?
Created: 1 day ago
A
বেকারত্ব
B
জনসংখ্যার অতিবৃদ্ধি ও বস্তি
C
নদীর অভাব
D
পরিবহন ব্যবস্থা
বাংলাদেশের শহরগুলো দ্রুত নগরায়ণ ও ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে নানা ধরনের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। নগর জীবনের মৌলিক সুবিধা সীমিত হওয়ায় এই সংকট দিন দিন আরও জটিল আকার ধারণ করছে।
প্রধান সমস্যাগুলো হলো—
১। জনসংখ্যার চাপ ও বসতি ঘনত্ব: শহরে জনসংখ্যা অত্যধিক হওয়ায় প্রতি বর্গকিলোমিটারে মানুষের সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেশি। ফলে বসবাসের স্থান সংকুচিত হচ্ছে এবং জীবনযাত্রার মান কমে যাচ্ছে।
২। বাসস্থানের অভাব ও বস্তি বৃদ্ধি: দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য পর্যাপ্ত বাসস্থান না থাকায় তারা ঝুঁকিপূর্ণ বস্তিতে বসবাস করছে, যেখানে পানি, পয়োনিষ্কাশন ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা অপ্রতুল।
৩। অপরিকল্পিত নগরায়ণ (Unplanned Urbanization): শহরের সম্প্রসারণ পরিকল্পনাহীনভাবে হচ্ছে। ফলে রাস্তা, বিদ্যুৎ, পানি সরবরাহ, ড্রেনেজ ও পরিবহন ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে।
৪। যানজট সমস্যা: রাস্তা ও যানবাহনের সংখ্যা অনুপাতে না বাড়ায় দৈনন্দিন চলাচলে সময় ও জ্বালানির অপচয় হচ্ছে।
৫। স্যানিটেশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংকট: অনেক এলাকায় পর্যাপ্ত পয়োনিষ্কাশন ও বর্জ্য নিষ্পত্তি ব্যবস্থা না থাকায় পরিবেশ দূষণ ও স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে।
এসব সমস্যা সমাধানের জন্য পরিকল্পিত নগর ব্যবস্থাপনা, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, আবাসন উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো উন্নয়ন অপরিহার্য।

0
Updated: 1 day ago