গারোদের উর্বরতা দেবতার নাম কি?
A
সুসাইন
B
পোয়ারা
C
কালসেম
D
সালজং
উত্তরের বিবরণ
গারো জাতির ধর্মীয় বিশ্বাস ও ঐতিহ্য তাদের সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তারা প্রকৃতি ও বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল। তাদের ঐতিহ্যবাহী ধর্মকে সাংসারেক বলা হয়, যা মূলত প্রকৃতিনির্ভর এক ধর্মব্যবস্থা।
তথ্যগুলো হলো:
-
সাংসারেক ধর্ম গারোদের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী ধর্ম, যা প্রকৃতির উপাসনা ও আত্মিক শক্তিতে বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে।
-
এ ধর্মে বহু দেবতার পূজা করা হয়, যারা জীবনের বিভিন্ন দিক যেমন—সূর্য, বৃষ্টি, ফসল, পাহাড় ইত্যাদির সঙ্গে সম্পর্কিত।
-
তাদের প্রধান দেবতা হলেন টাটারা রাবুগা, যিনি সর্বশক্তিমান ও সৃষ্টির অধিপতি বলে বিশ্বাস করা হয়।
-
এছাড়া হর সালজং নামের এক দেবতা আছেন, যিনি সূর্যদেবতা হিসেবে পূজিত হন এবং আলো, শক্তি ও জীবনের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
-
সাংসারেক ধর্মে দেবতাদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, নাচ-গান ও উৎসবের মাধ্যমে তাদের সন্তুষ্ট করাই ধর্মীয় আচারবিধির মূল অংশ।

0
Updated: 1 day ago
সমাজে পরিবারের প্রধান কাজ কী?
Created: 1 day ago
A
অর্থনৈতিক উৎপাদন
B
গৃহস্থালী ব্যবস্থাপনা
C
শিশুর লালন-পালন ও সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতা
D
শিক্ষাদান
পরিবার সমাজের মৌলিক ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, যার মাধ্যমে সমাজ টিকে থাকে, নতুন প্রজন্ম গড়ে ওঠে এবং সামাজিক বন্ধন দৃঢ় হয়। পরিবারের কাজ শুধু সদস্যদের একত্রে রাখাই নয়, বরং সামাজিক ও মানসিক বিকাশেও এটি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে।
পরিবারের প্রধান কাজসমূহ হলো—
১। সন্তান জন্মদান ও লালনপালন: পরিবার নতুন প্রজন্মের জন্ম দেয় এবং শিশুদের লালনপালনের মাধ্যমে সমাজে নতুন সদস্য যুক্ত করে। এর মাধ্যমে মানবজাতির ধারাবাহিকতা ও সমাজের স্থায়িত্ব বজায় থাকে।
২। সংস্কার ও সামাজিকীকরণ (Socialization): পরিবারই প্রথম সামাজিক বিদ্যালয়, যেখানে শিশু ভাষা, আচরণ, মূল্যবোধ ও সামাজিক নিয়মনীতি শেখে। এর মাধ্যমেই তার মধ্যে সামাজিক দক্ষতা, নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধ গড়ে ওঠে।
৩। সুরক্ষা ও নিরাপত্তা (Protection & Security): পরিবার সদস্যদের শারীরিক, মানসিক ও অর্থনৈতিক সুরক্ষা প্রদান করে। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ সদস্যদের যত্ন ও সহায়তা নিশ্চিত করে।
৪। মানসিক সমর্থন ও ভালোবাসা: পরিবার সদস্যদের মধ্যে আবেগীয় বন্ধন, ভালোবাসা ও সহানুভূতি তৈরি করে, যা মানসিক স্থিতি বজায় রাখতে সহায়তা করে।
৫। অর্থনৈতিক সহায়তা: পরিবারের মাধ্যমে সদস্যরা একে অপরকে আর্থিকভাবে সহায়তা করে, শ্রম ও সম্পদ ভাগাভাগি করে জীবনযাত্রা পরিচালনা করে।
সারসংক্ষেপে, পরিবার সমাজের ভিত্তি, যা জন্ম, শিক্ষা, নিরাপত্তা ও ভালোবাসার কেন্দ্র হিসেবে মানব জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

0
Updated: 1 day ago
সাম্প্রতিক বাংলাদেশের কিশোর অপরাধ বৃদ্ধির প্রধান কারণ কী?
Created: 1 day ago
A
শিক্ষার অভাব
B
বেকারত্ব
C
তথ্য প্রযুক্তির সহজলভ্যতা
D
পিতামাতার বিবাহ বিচ্ছেদ
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের কিশোর অপরাধ বৃদ্ধি একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন কারণ এর পেছনে ভূমিকা রাখলেও, সবচেয়ে কার্যকর ও দ্রুত প্রভাবশালী কারণ হলো তথ্য প্রযুক্তির সহজলভ্যতা, যা কিশোরদের মানসিক, সামাজিক ও নৈতিক আচরণে বড় প্রভাব ফেলছে।
মূল বিষয়গুলো হলো:
১। তথ্য প্রযুক্তির সহজলভ্যতা:
-
স্মার্টফোন, ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন কিশোরদের জন্য সহজলভ্য ও সুলভ।
-
অনিয়ন্ত্রিতভাবে সহিংস গেম, অশালীন ভিডিও, অপরাধমূলক কনটেন্ট ও নৈতিকহীন তথ্য কিশোরদের মানসিক বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
-
সামাজিক মাধ্যমে গ্রুপ কালচার, অনলাইন চ্যালেঞ্জ ও ভার্চুয়াল প্রভাব তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়াতে উৎসাহিত করছে।
২। পারিবারিক ভাঙন:
-
সাম্প্রতিক সময়ে পিতা-মাতার বিবাহবিচ্ছেদ ও পারিবারিক অস্থিরতা বেড়েছে, যা কিশোরদের মানসিক নিরাপত্তা নষ্ট করছে।
-
পর্যাপ্ত নজরদারি না থাকায় অনেক কিশোর মানসিক চাপ ও একাকিত্বের ফলে বিপথে যাচ্ছে।
৩। শিক্ষা ও বেকারত্ব:
-
শিক্ষার অভাব বা বেকারত্ব বাংলাদেশের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা হলেও, সাম্প্রতিক কালের কিশোর অপরাধ বৃদ্ধিতে এটি সরাসরি প্রধান কারণ নয়।
-
তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নৈতিক শিক্ষা ও সাইবার সচেতনতার অভাব কিশোরদের অপরাধ প্রবণতায় সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
৪। সামাজিক প্রভাব:
-
জনপ্রিয় সংস্কৃতি, অপরাধভিত্তিক নাটক বা ভিডিও কনটেন্ট এবং অনলাইন খ্যাতির লোভ অনেক কিশোরকে বিপথে ঠেলে দিচ্ছে।
অতএব, সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশের কিশোর অপরাধ বৃদ্ধির প্রধান কারণ হলো তথ্য প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণহীন ও অবারিত ব্যবহার, যা পারিবারিক তদারকি ও সামাজিক সচেতনতার অভাবে কিশোর সমাজে এক উদ্বেগজনক প্রবণতা সৃষ্টি করছে।

0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশে গ্রামীণ সামাজিক শ্রেণীবিন্যাসের মূলভিত্তি কী?
Created: 1 day ago
A
শিল্প শ্রম বিভাজন
B
ভূমির মালিকানা এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক
C
শিক্ষাগত অর্জন
D
প্রযুক্তিগত জ্ঞান
বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজে সামাজিক শ্রেণীবিন্যাস মূলত অর্থনৈতিক অবস্থা ও ভূমি-সম্পত্তির মালিকানা দ্বারা নির্ধারিত। গ্রামীণ জীবনে জমিই প্রধান উৎপাদন উপকরণ, তাই কার কাছে কতটুকু জমি আছে এবং তার ওপর নির্ভর করে সমাজে তার মর্যাদা নির্ধারিত হয়।
মূল বৈশিষ্ট্য ও শ্রেণিবিন্যাস নিচে তুলে ধরা হলো—
১। ভূমি ও সম্পত্তির মালিকানা: গ্রামীণ শ্রেণীবিন্যাসের প্রধান ভিত্তি হলো জমির মালিকানা ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা। জমি যার কাছে বেশি, তার সামাজিক অবস্থানও তত উচ্চ।
২। উচ্চ শ্রেণি – ভূমির মালিক বা জমিদার (Landowners / Zamindars): এরা গ্রামে প্রভাবশালী ও ক্ষমতাধর শ্রেণি। তারা অন্য কৃষকদের জমি ভাড়া দিয়ে বা শ্রম শোষণ করে আয় করে।
৩। মধ্যম শ্রেণি – মধ্য কৃষক (Middle Peasants): এরা সীমিত পরিমাণ জমির মালিক। নিজেদের জমিতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে, এবং মাঝে মাঝে অতিরিক্ত শ্রম বিক্রি করেও উপার্জন করে।
৪। নিম্ন শ্রেণি – ভাড়াভিত্তিক কৃষক ও কৃষি মজুর (Tenant Farmers / Laborers): এদের নিজেদের জমি নেই বা খুব অল্প আছে। তারা অন্যের জমিতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। অর্থনৈতিক দিক থেকে এরা সবচেয়ে দুর্বল এবং সামাজিকভাবে তুলনামূলকভাবে নিচু অবস্থানে থাকে।
৫। অর্থনৈতিক বৈষম্য ও সামাজিক মর্যাদা: এই শ্রেণিবিন্যাসের কারণে গ্রামীণ সমাজে অর্থনৈতিক বৈষম্য, সামাজিক নির্ভরশীলতা ও শ্রেণি-সম্পর্ক তৈরি হয়, যা গ্রামীণ ক্ষমতার কাঠামো নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সারসংক্ষেপে, বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজে ভূমি ও সম্পত্তির মালিকানাই সামাজিক শ্রেণিবিন্যাসের মূল ভিত্তি, যা গ্রামীণ জীবনের সামাজিক মর্যাদা, প্রভাব ও সম্পর্ক নির্ধারণ করে।

0
Updated: 1 day ago