টিস্যু কালচারের জন্য বেশী ব্যবহৃত মিডিয়াম কোনটি?
A
MS Medium
B
B5 Medium
C
White's Medium
D
Gamborg's Medium
উত্তরের বিবরণ
MS Medium (Murashige and Skoog Medium) হলো উদ্ভিদ টিস্যু কালচারে সর্বাধিক ব্যবহৃত একটি পুষ্টি মাধ্যম, যা উদ্ভিদের কোষ, টিস্যু ও অঙ্গ বৃদ্ধিতে অপরিহার্য ভূমিকা রাখে। এটি উচ্চ মাত্রার পুষ্টি উপাদানসমৃদ্ধ হওয়ায় বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদে সফলভাবে ব্যবহৃত হয়।
তথ্যগুলো সংক্ষেপে:
-
পূর্ণরূপ: Murashige and Skoog Medium।
-
আবিষ্কার: ১৯৬২ সালে তোশিও মুরাসিগে (Toshio Murashige) এবং ফোলকে স্কুগ (Folke K. Skoog) কর্তৃক উদ্ভাবিত।
-
উদ্দেশ্য: মূলত তামাক উদ্ভিদের ক্যালাস কালচারের (Callus Culture) জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
-
বৈশিষ্ট্য:
-
এতে নাইট্রোজেন, পটাশিয়ামসহ ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টের উচ্চ ঘনত্ব বিদ্যমান।
-
এছাড়াও প্রয়োজনীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট, ভিটামিন ও কার্বন উৎস (সাধারণত সুক্রোজ) থাকে।
-
এর পুষ্টিকাঠামো একে দ্বিবীজপত্রী (Dicot) এবং অনেক একবীজপত্রী (Monocot) উদ্ভিদের টিস্যু কালচারের জন্য আদর্শ মাধ্যম হিসেবে উপযোগী করে তোলে।
-
-
গুরুত্ব: উদ্ভিদের বৃদ্ধি, অঙ্গ সৃষ্টি (Organogenesis) ও অঙ্গজ পুনর্জন্ম (Regeneration) প্রক্রিয়ায় এটি অত্যন্ত কার্যকর।

0
Updated: 1 day ago
উদ্ভিদ টিস্যু কালচারের মূলনীতি কী?
Created: 1 day ago
A
অরগানোজেনেসিস
B
কোষীয় পার্থক্যকরণ
C
জেনেটিক রিকম্বিনেশন
D
টোটিপটেন্সি (Totipotency)
উদ্ভিদ টিস্যু কালচারে এক্সপ্ল্যান্ট (Explant) বলতে উদ্ভিদের যেকোনো অংশ—যেমন পাতার টুকরা, কাণ্ডের অগ্রভাগ বা একক কোষ—বোঝানো হয়, যা কৃত্রিম পুষ্টি মাধ্যমে বৃদ্ধি করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই এক্সপ্ল্যান্টের টোটিপটেন্সি (Totipotency) নামক বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণেই একটি কোষ থেকে সম্পূর্ণ উদ্ভিদ তৈরি করা সম্ভব হয়।
-
টোটিপটেন্সি (Totipotency) হলো কোষের এমন ক্ষমতা, যার মাধ্যমে একটি একক কোষ উদ্ভিদের সব ধরনের টিস্যু ও অঙ্গ গঠন করতে পারে এবং অবশেষে একটি সম্পূর্ণ নতুন উদ্ভিদে রূপান্তরিত হতে পারে।
-
এই প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত কৃত্রিম পুষ্টি মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান, হরমোন ও ভিটামিন থাকে, যা কোষ বিভাজন ও অঙ্গজ উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে।
-
টিস্যু কালচারে গঠিত নতুন উদ্ভিদ মাতৃ উদ্ভিদের জেনেটিক্যালি অভিন্ন প্রতিলিপি (clone) হয়।
-
এই পদ্ধতি দ্রুত বংশবিস্তার, রোগমুক্ত চারা উৎপাদন এবং বিরল বা বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ সংরক্ষণে ব্যবহৃত হয়।
-
সুতরাং উদ্ভিদ টিস্যু কালচারে নতুন উদ্ভিদ গঠনের মূল কারণ হলো টোটিপটেন্সি (Totipotency)।
সঠিক উত্তর — ঘ) টোটিপটেন্সি (Totipotency)।

0
Updated: 1 day ago
কলা চাষে মাইক্রোপ্রোপাগেশন (Micro propagation) পদ্ধতির সুবিধা কি?
Created: 1 day ago
A
এটি কম হারে বংশ বিস্তার করে
B
এটি অসম আকারের গাছ উৎপাদন করে
C
এটি রোগমুক্ত রোপণ সামগ্রী নিশ্চিত করে
D
এতে গাছের পাতা কম উৎপাদন হয়
মাইক্রোপ্রোপাগেশন (Micropropagation) বা কলা টিস্যু কালচার (Tissue Culture) হলো একটি আধুনিক উদ্ভিদবংশবিস্তার প্রযুক্তি, যেখানে উদ্ভিদের অতি ক্ষুদ্র অংশ (যেমন কলা, কুঁড়ি, বা টিস্যু) কৃত্রিম পুষ্টি মাধ্যমে বৃদ্ধি করিয়ে বিপুল সংখ্যক নতুন চারা উৎপাদন করা হয়। এই পদ্ধতির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো রোগমুক্ত, জেনেটিকভাবে অভিন্ন এবং উচ্চ মানসম্পন্ন চারা উৎপাদন।
-
এতে রোগমুক্ত চারা (Disease-Free Planting Material) পাওয়া যায়, কারণ টিস্যু কালচারে সাধারণত মেরিস্টেম বা কলা টিস্যু ব্যবহার করা হয়, যা ভাইরাস ও রোগজীবাণুমুক্ত।
-
দ্রুত বংশবিস্তার (Rapid Multiplication) সম্ভব হয়, কারণ একটি ক্ষুদ্র টিস্যু থেকে অল্প সময়ে বিপুল সংখ্যক চারা উৎপাদন করা যায়।
-
সুষমতা (Uniformity) বজায় থাকে, অর্থাৎ সব চারা জেনেটিকভাবে মাতৃগাছের হুবহু অনুরূপ (True-to-type) হয়।
-
এটি উচ্চ ফলনশীল জাতের দ্রুত সম্প্রসারণ, বিরল বা বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ সংরক্ষণ, এবং রপ্তানিযোগ্য গুণমানের চারা উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
সুতরাং সঠিক উত্তর হলো — (গ) এটি রোগমুক্ত রোপণ সামগ্রী নিশ্চিত করে।

0
Updated: 1 day ago