৬০% K2O যুক্ত সার ব্যবহার করে প্রতি হেক্টরে ৭০ কেজি সরবরাহ করতে কতটুকু মিউরেট অব পটাশ প্রয়োজন?
A
৮৩.৩৩ কেজি
B
৭৫ কেজি
C
১১০.৬৬ কেজি
D
৬০ কেজি
উত্তরের বিবরণ
মিউরেট অব পটাশ (Muriate of Potash – MOP) হলো এমন একটি সার যাতে সাধারণত ৬০% পটাশ (K₂O) থাকে। অর্থাৎ, প্রতি ১০০ কেজি MOP সারে থাকে ৬০ কেজি পটাশ।
তথ্যগুলো সংক্ষেপে:
-
যদি ১০০ কেজি MOP সার ব্যবহৃত হয়, তবে এতে থাকবে ৬০ কেজি পটাশ।
-
এখন, ৭০ কেজি পটাশ পেতে হলে প্রয়োজনীয় সারের পরিমাণ হবে:
( (100 × 70) / 60 = 116.67 ) কেজি (প্রায়)। -
সুতরাং, কাছাকাছি মান অনুযায়ী প্রয়োজন হবে প্রায় ১১৬.৭ কেজি MOP সার।
অতএব, ৭০ কেজি পটাশ পেতে প্রায় ১১৬.৭ কেজি মিউরেট অব পটাশ প্রয়োজন।

0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশে কোন্ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশী পেয়াজ চাষ হয়?
Created: 19 hours ago
A
কুমিল্লা
B
দিনাজপুর
C
ফরিদপুর
D
পটুয়াখালী
বাংলাদেশে পেঁয়াজ চাষ মূলত কিছু নির্দিষ্ট জেলায় বেশি পরিমাণে হয়ে থাকে। এই অঞ্চলগুলো দেশের মোট পেঁয়াজ উৎপাদনের বড় অংশ সরবরাহ করে এবং কৃষি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
শীর্ষ উৎপাদন জেলা: পাবনা
-
অন্যান্য প্রধান জেলা: ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ এবং মাগুরা
-
দেশের মোট উৎপাদনের অর্ধেকের বেশি আসে পাবনা, ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলা থেকে
-
পাবনা ও ফরিদপুর পেঁয়াজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে শীর্ষ দুই জেলা হিসেবে পরিচিত
-
প্রশ্নে প্রদত্ত অপশন অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ চাষ হয় এমন জেলা হলো গ) ফরিদপুর

0
Updated: 19 hours ago
কলা সংরক্ষণের সর্বোত্তম তাপমাত্রা কত (ডিগ্রি সেলসিয়াস)?
Created: 2 days ago
A
৬-৮ ± ০.৫
B
৮-১০ ± ০.৫
C
১১-১২ ± ০.৫
D
১২-১৩ ± ০.৫
চিলিং ইনজুরি (Chilling Injury) হলো এক ধরনের শৈত্যজনিত ক্ষতি, যা কলা ১০° সেলসিয়াসের নিচে সংরক্ষণ করলে ঘটে। এই অবস্থায় কলার খোসা দ্রুত কালো হয়ে যায়, মাংসল অংশ নরম ও বাদামী রঙ ধারণ করে, এবং ফলটি ভালোভাবে পাকে না।
-
কলা একটি উষ্ণমণ্ডলীয় ফল, তাই এটি নিম্ন তাপমাত্রার প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল।
-
১০° সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা কলার কোষীয় গঠনে ক্ষতি ঘটায়, যার ফলে চিলিং ইনজুরি দেখা দেয়।
-
বাণিজ্যিকভাবে কলা সংরক্ষণ ও পরিবহনের জন্য ১১°–১৪° সেলসিয়াস তাপমাত্রা সবচেয়ে উপযুক্ত, কারণ এই পরিসীমায় কলা সুপ্তাবস্থায় (dormant) থাকে এবং অকালপক্বতা প্রতিরোধ হয়।
-
কিছু বইয়ে এই মান ৮°–১০° সেলসিয়াস পর্যন্ত উল্লেখ আছে, তবে বাস্তবে অধিকাংশ গবেষণায় ১১°–১২° সেলসিয়াসকে বেশি নিরাপদ ও কার্যকর বলা হয়েছে।
-
তাই কলার বাণিজ্যিক সংরক্ষণ ও পরিবহনের আদর্শ তাপমাত্রা সাধারণভাবে ১১°–১২° সেলসিয়াস হিসেবে বিবেচিত হয়, যা চিলিং ইনজুরি প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং গুণমান বজায় রাখে।

0
Updated: 2 days ago
বিভিন্ন ধরণের চা কিসের উপর ভিক্তি করে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়?
Created: 1 day ago
A
চা গাছের নির্দিষ্ট জাত
B
যেন জলবায়ুতে চা চাষ করা হয়
C
প্রক্রিয়াকরন এবং এনজাইমেটিক জারণ মাত্রা
D
উৎপত্তিস্থল দেশ
চায়ের শ্রেণীবিভাগ মূলত নির্ভর করে পাতা সংগ্রহের পর কীভাবে প্রক্রিয়াকরণ করা হয় এবং পাতার এনজাইম কতটা জারিত (oxidized) হয় তার ওপর। এই প্রক্রিয়াই চায়ের রঙ, স্বাদ ও গুণগত বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে।
তথ্যগুলো সংক্ষেপে:
-
চায়ের প্রধান ধরন চারটি:
-
Black Tea (কালো চা)
-
Green Tea (সবুজ চা)
-
Oolong Tea (ওলং চা)
-
Brick/White Tea (ইট বা সাদা চা)
-
-
চায়ের পাতা প্রক্রিয়াকরণের সময় জারণ বা অক্সিডেশন (Oxidation) প্রক্রিয়ার মাত্রাই এই ভিন্নতা তৈরি করে।
-
কালো চা (Black Tea) তে জারণ প্রক্রিয়া সবচেয়ে বেশি হয়, ফলে এর রঙ গাঢ় ও স্বাদ তীব্র হয়।
-
সবুজ চা (Green Tea) তে অক্সিডেশন প্রক্রিয়া প্রায় সম্পূর্ণরূপে রোধ করা হয়, তাই এর রঙ হালকা ও স্বাদ তুলনামূলক নরম।
-
ওলং চা (Oolong Tea) আংশিক জারিত, অর্থাৎ এটি কালো ও সবুজ চায়ের মধ্যবর্তী অবস্থানের চা।
-
সাদা বা ইট চা (White/Brick Tea) খুবই সামান্য প্রক্রিয়াজাত হয়, তাই এটি প্রাকৃতিক রঙ ও স্বাদ বহাল রাখে।
-
কালো চায়ের গাঢ় রঙ ও স্বাদের মূল কারণ হলো অক্সিডেশন বা Fermentation প্রক্রিয়া।

0
Updated: 1 day ago