অধিকাংশ ছত্রাকজনিত রোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হল?
A
প্রবল বাতাস
B
তীব্র সূর্যালোক
C
উচ্চ আপেক্ষিক আদ্রতা
D
হাল্কা বাতাস
উত্তরের বিবরণ
ছত্রাক সাধারণত উষ্ণ ও আর্দ্র পরিবেশে সবচেয়ে ভালোভাবে বৃদ্ধি ও বংশবিস্তার করে। উদ্ভিদের ওপর ছত্রাকজনিত রোগের সংক্রমণ শুরু হওয়ার জন্য উচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা (High Relative Humidity) হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশগত শর্ত।
-
উচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছত্রাকের স্পোর অঙ্কুরোদগমে সহায়তা করে এবং পাতার পৃষ্ঠে জলীয় আস্তরণ (Leaf Wetness) তৈরি করে, যা সংক্রমণের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে।
-
বাতাসের মাধ্যমে ছত্রাকের স্পোর সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে, কিন্তু সংক্রমণ ঘটার জন্য আবশ্যক হলো আর্দ্র পরিবেশ।
-
তীব্র সূর্যালোক সাধারণত ছত্রাকের বৃদ্ধি ব্যাহত করে, কারণ অতিরিক্ত তাপ ও শুকনো অবস্থা স্পোরের জীবনীশক্তি নষ্ট করে দেয়।
-
তাই ছত্রাকজনিত রোগের বিস্তার প্রতিরোধে আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ ও বাতাস চলাচল নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অতএব, অধিকাংশ ছত্রাকজনিত রোগের জন্য প্রধান পরিবেশগত ফ্যাক্টর হলো — উচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা (High Relative Humidity)।

0
Updated: 1 day ago
ধান চাষে বাকানী (Bakanae) রোগ নিয়ন্ত্রণের একটি সাধারণ পদ্ধতি হল -
Created: 19 hours ago
A
নাইট্রোজেন জাতীয় সার প্রয়োগ
B
জমিতে ক্রমাগত পানি দেওয়া
C
বেশী দূরত্বে চারারোপণ
D
বীজ শোধন ও প্রতিরোধী জাত ব্যবহার
ধানের বাকানী (Bakanae) রোগ একটি ছত্রাকজনিত রোগ, যার কারণ Fusarium fujikuroi। এটি সাধারণত বীজ বা মাটি থেকে সংক্রমিত হয়। আক্রান্ত গাছের প্রধান লক্ষণ হলো অতিরিক্ত লম্বা চারা এবং পাতার হলুদ বর্ণ ধারণ। এ রোগ ধানের বৃদ্ধি ও ফলনে মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
মূল তথ্যগুলো হলো:
-
রোগের কারণ: ছত্রাক Fusarium fujikuroi
-
সংক্রমণের উৎস: সংক্রমিত বীজ বা মাটি
-
প্রধান লক্ষণ: চারা অস্বাভাবিক লম্বা হয় ও হলুদ হয়
-
সঠিক নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি: ঘ) বীজ শোধন ও প্রতিরোধী জাত ব্যবহার
-
বীজ শোধনের ভূমিকা: সংক্রমিত বীজ থেকে রোগ ছড়ানো প্রতিরোধ করে
-
প্রতিরোধী জাতের ভূমিকা: রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন জাত ব্যবহারে রোগের বিস্তার কমে
অন্যান্য বিকল্পের বিশ্লেষণ:
-
ক) নাইট্রোজেন সার প্রয়োগ: অতিরিক্ত নাইট্রোজেন রোগের সংক্রমণ বাড়াতে পারে
-
খ) ক্রমাগত পানি: এমন পরিবেশ ছত্রাক বৃদ্ধিকে উৎসাহ দেয়
-
গ) বেশি দূরত্বে চারারোপণ: সামান্য উপকার করে, কিন্তু প্রধান নিয়ন্ত্রণ নয়

0
Updated: 19 hours ago
ধানে হপার বার্ন বা ফড়িংপোড়া লক্ষণ দেখা যায় কিসের আক্রমনে?
Created: 1 day ago
A
ধানের বাদামী গাছ ফড়িং
B
সাদা পিঠ গাছ ফড়িং
C
সবুজ পাতা ফড়িং
D
ক ও খ এর দ্বারা আক্রান্ত হয়ে
ধানের বাদামী গাছ ফড়িং (Brown Planthopper) এবং সাদা পিঠ গাছ ফড়িং (White-backed Planthopper) — উভয়ই ধানের ক্ষতিকর কীট, যা ধানগাছের পাতা ও কলির রস শুষে নেয় এবং গুরুতর ক্ষতি করে। এরা সাধারণত ধানগাছের গোড়ায় বসে রস শোষণ করে, ফলে গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে ও ধীরে ধীরে মারা যায়।
-
এই ফড়িংগুলির আক্রমণে ধানগাছের পাতা হলদে বা বাদামী রঙ ধারণ করে, এবং অনেক সময় পুরো ক্ষেত পুড়ে যাওয়া বা ঝলসানো (hopper burn) অবস্থায় দেখা যায়।
-
আক্রান্ত গাছের রস শোষণজনিত পানিশূন্যতা এবং পুষ্টিহীনতার কারণে ফটোসিনথেসিস বাধাগ্রস্ত হয়, ফলে ফলন ব্যাপকভাবে কমে যায়।
-
বাদামী ও সাদা পিঠ উভয় প্রজাতিই ধানের কলি ও কান্ডে আক্রমণ করে, তাই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে নিয়মিত ক্ষেতে পর্যবেক্ষণ ও সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা (IPM) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অতএব, সঠিক উত্তর হলো — ক ও খ উভয়ই, কারণ উভয় প্রজাতির ফড়িংই ধানের পাতায় ও কলিতে আক্রমণ করে হপার বার্ন সৃষ্টি করে।

0
Updated: 1 day ago
লাউ ও কুমড়া জাতীয় গাছে সাদা গুঁড়ার মতো দেখা গেলে রোগটি হল-
Created: 1 day ago
A
ডাউনি মিলডিউ
B
পাউডারি মিলডিউ
C
অ্যানথ্রাক্স নোজ
D
লিফ স্পট
পাউডারি মিলডিউ (Powdery Mildew) হলো একটি ছত্রাকজনিত রোগ, যা মূলত লাউ, কুমড়া, শসা ইত্যাদি ফসলকে আক্রান্ত করে। রোগটির প্রধান কারণ Erysiphe cichoracearum বা Sphaerotheca fuliginea নামক ছত্রাক।
তথ্যগুলো হলো:
-
এই রোগে আক্রান্ত পাতার উভয় পাশে ছোট ছোট সাদা গুঁড়োর মতো দাগ দেখা যায়।
-
সময়ের সাথে সাথে এই সাদা পাউডার পাতার অধিকাংশ অংশ ঢেকে ফেলে, ফলে পাতা হলুদ বা কালো হয়ে শুকিয়ে যায়।
-
কচি কাণ্ড, লতা এবং ফলেও সাদা গুঁড়োর আস্তরণ দেখা যেতে পারে।
-
পাউডারি মিলডিউ সাধারণত পাতার ওপরের দিকে দেখা যায়, বিপরীতে ডাউনি মিলডিউ রোগে পাতার নিচে ধূসর ছত্রাক স্তর এবং উপরের দিকে হলুদ দাগ দেখা যায়।
উ. (খ) পাউডারি মিলডিউ (Powdery Mildew)

0
Updated: 1 day ago