ধানের পরাগায়ন সাধারণত দিনের কোন অংশে সংঘটিত হয়?
A
সকালে
B
বিকালে
C
সন্ধ্যায়
D
রাতে
উত্তরের বিবরণ
ধানের পরাগায়ন সাধারণত দিনের সকালে, অর্থাৎ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে সংঘটিত হয়। এই সময়ের পরিবেশগত অবস্থা যেমন তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও বাতাসের গতি পরাগায়নের জন্য সবচেয়ে অনুকূল থাকে।
-
সকালে তাপমাত্রা মাঝারি (২৫°–৩২°C) এবং আর্দ্রতা উপযুক্ত থাকায় পরাগরেণু সহজে ছড়াতে ও নিষেক সম্পন্ন করতে পারে।
-
উচ্চ তাপমাত্রা (৩৫°C-এর বেশি) হলে বা তীব্র বাতাস প্রবাহিত হলে, পরাগরেণুর কার্যকারিতা নষ্ট হয় এবং ফুল থেকে পরাগ উড়ে গিয়ে সফল পরাগায়ন বাধাগ্রস্ত হয়।
-
ফলস্বরূপ, ধানের দানায় চিটা বা নিষিক্ত না হওয়া দানা দেখা দেয়, যা ফলন কমায়।
-
তাই পরাগায়নের জন্য সকাল সময়টাই ধানের জন্য সবচেয়ে উপযোগী ও কার্যকর সময়।
সঠিক উত্তর — ক) সকালে।

0
Updated: 2 days ago
যে আগাছার বীজ ফসলের বীজ থেকে আলাদা করা কঠিন এবং ফসল সংগ্রহে তা আপত্তিকর আগাছা হিসেবে গণ্য করা হয়-
Created: 2 days ago
A
Noxious Weed
B
Satellite Weed
C
Fox Weed
D
Fox Weed
স্যাটেলাইট আগাছা (Satellite Weed) হলো এমন আগাছা যা ফসলের সঙ্গে একই সময়ে পরিপক্ক হয় এবং তাদের বীজ আকার ও আকৃতিতে ফসলের বীজের মতো দেখতে হওয়ায় সহজেই ফসলের সাথে মিশে যায়। এই কারণে ফসল কাটার সময় মানুষ অজান্তেই আগাছার বীজ সংগ্রহ করে, যা পরবর্তীতে ফসলের বীজের মাধ্যমে নতুন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে।
-
স্যাটেলাইট আগাছা সাধারণত ফসলের জীবনচক্রের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বৃদ্ধি পায়, ফলে তাদের আলাদা করা কঠিন হয়।
-
উদাহরণ: Phalaris minor (ফালারিস মাইনর) এবং Avena fatua (আভেনা ফাটুয়া) — এরা যথাক্রমে গম ও ধানের সঙ্গে মিশে যায়।
-
এই আগাছাগুলির উপস্থিতি ফসলের উৎপাদন কমায়, সংরক্ষিত বীজের বিশুদ্ধতা নষ্ট করে, এবং আগামী মৌসুমে আগাছার বিস্তার ঘটায়।
ক্ষতিকারক আগাছা (Noxious Weed) হলো এমন আগাছা যা সরকার কর্তৃক জনস্বাস্থ্য, কৃষি বা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বলে ঘোষিত। এগুলির নিয়ন্ত্রণ বা দমন আইনত বাধ্যতামূলক, এবং এদের শ্রেণিবিন্যাস বীজের আকার বা চেহারার উপর ভিত্তি করে নয়, বরং ক্ষতিকারক প্রভাবের মাত্রার উপর নির্ভর করে।
সুতরাং, সঠিক উত্তর হলো — (খ)।

0
Updated: 2 days ago
কৃষি সম্প্রসারণে ক্ষমতায়নের অর্থ কী?
Created: 2 days ago
A
কৃষকদের রাজনৈতিক ভাবে সচেতন করা
B
নারী কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা
C
কৃষকদের দলবদ্ধ করা
D
কৃষকদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও প্রযুক্তি ব্যবহারে সমর্থ করা
কৃষি সম্প্রসারণে ক্ষমতায়ন হলো এমন একটি বহুমাত্রিক প্রক্রিয়া, যা শুধু তথ্য সরবরাহে সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি কৃষকদের আত্মবিশ্বাস, দক্ষতা ও স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এর লক্ষ্য হলো কৃষককে তার নিজের চাষাবাদ ও সম্পদ ব্যবস্থাপনায় আরও কার্যকর ও সচেতন করে তোলা।
-
সিদ্ধান্ত গ্রহণ (Decision Making): কৃষক যেন নিজের ফসলের জাত নির্বাচন, সারের পরিমাণ ও সেচের সময় নির্ধারণ, এবং ফসল কাটার সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারে—এই ক্ষমতা প্রদানই ক্ষমতায়নের মূল লক্ষ্য।
-
সম্পদ ব্যবস্থাপনা (Resource Management): কৃষককে তার জমি, পানি, ও মূলধনের মতো সীমিত সম্পদগুলো কার্যকরভাবে ও টেকসইভাবে (sustainably) ব্যবহারের জ্ঞান ও দক্ষতা দেওয়া হয়।
-
প্রযুক্তি ব্যবহার (Technology Adoption): আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি যেমন উন্নত বীজ, যান্ত্রিক সরঞ্জাম, রোগ শনাক্তকরণ পদ্ধতি ইত্যাদি গ্রহণ ও সফলভাবে ব্যবহার করার প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা গড়ে তোলা হয়।
-
ক্ষমতায়নের ফলে কৃষক পরিবর্তনশীল কৃষি পরিবেশে অভিযোজিত হতে পারে, আয় বৃদ্ধি করতে পারে, এবং দীর্ঘমেয়াদে উৎপাদনশীলতা ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়।
সুতরাং কৃষকদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও প্রযুক্তি ব্যবহারে সমর্থন প্রদানই ক্ষমতায়নের মূল উদ্দেশ্য এবং এটিই সঠিক উত্তর।

0
Updated: 2 days ago
পরাগায়ণ প্রক্রিয়ায় Anemophily দ্বারা কী বুঝায়?
Created: 1 day ago
A
পানি বাহিত হয়ে পরাগায়ণ
B
বায়ু বাহিত হয়ে পরাগায়ণ
C
স্ব-পরাগায়ণ
D
স্ব-পরাগায়ণ
Anemophily শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ ‘anemos’ অর্থাৎ বাতাস এবং ‘philein’ অর্থাৎ ভালোবাসা থেকে। এটি এমন এক ধরনের পরাগায়ণ প্রক্রিয়া, যেখানে বাতাস বা বায়ু পরাগরেণু এক ফুল থেকে অন্য ফুলে বা একই ফুলের গর্ভমুণ্ডে পৌঁছে দেয়।
তথ্যগুলো হলো:
-
Anemophilous উদ্ভিদের পরাগায়ণ সম্পূর্ণভাবে বাতাসের মাধ্যমে ঘটে।
-
ধান, গম, ভুট্টা এবং ঘাসজাতীয় উদ্ভিদে এই ধরনের পরাগায়ণ দেখা যায়।
-
এই ফুলগুলো সাধারণত উজ্জ্বল রঙ বা সুগন্ধবিহীন, কারণ এগুলোর পতঙ্গ আকর্ষণের প্রয়োজন নেই।
-
এদের পরাগরেণু হালকা ও প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হয়, যাতে বাতাসে সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
উ. Anemophily — বায়ু বা বাতাসের মাধ্যমে পরাগায়ণ প্রক্রিয়া

0
Updated: 1 day ago