বর্তমানে বাংলাদেশে মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ (মিলিয়ন হেক্টর)-
A
প্রায় ৮.৮৩
B
প্রায় ৬.৬২
C
প্রায় ৫.৫৩
D
প্রায় ৪.৪৮
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ৮৮.২৯ লক্ষ হেক্টর, যা মিলিয়ন হেক্টর এককে প্রকাশ করলে হয় ৮.৮২৯ মিলিয়ন হেক্টর। এই মান সাম্প্রতিক সরকারি নথি অনুযায়ী ৮৮ লাখ ১৭ হাজার ৯৩৫ হেক্টর, যা প্রায় ৮.৮২ মিলিয়ন হেক্টর।
-
১ লক্ষ = ০.১ মিলিয়ন, তাই ৮৮.২৯ লক্ষ × ০.১ = ৮.৮২৯ মিলিয়ন হেক্টর।
-
কৃষি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS)-এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এই মানটিই বাংলাদেশে মোট আবাদযোগ্য জমির বর্তমান পরিমাণ হিসেবে স্বীকৃত।
-
হিসাবের সামান্য পার্থক্যের কারণে গোলাকার মানে (round figure) এটি ৮.৮৩ মিলিয়ন হেক্টর ধরা যেতে পারে।
অতএব, সঠিক উত্তর হলো — ৮.৮৩ মিলিয়ন হেক্টর।

0
Updated: 1 day ago
আঁখের পরিপক্কতা কোন্ TSS মান দ্বারা নির্দেশিত হয়?
Created: 2 days ago
A
১৬°-১৮° ব্রিক্স
B
১৭°-১৯ ব্রিক্স
C
২৫°-২৭° ব্রিক্স
D
১৮°-২৫° ব্রিক্স
টি.এস.এস (TSS) বা ব্রিক্স (Brix) মান হলো এমন একটি পরিমাপক মান যা আখের রসে মোট দ্রবণীয় কঠিন পদার্থের পরিমাণ, বিশেষ করে চিনির ঘনত্ব, নির্দেশ করে। এই মান আখের পরিপক্কতা ও কাটার উপযুক্ত সময় নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
ব্রিক্স মান একটি রিফ্র্যাক্টোমিটার (Refractometer) দ্বারা পরিমাপ করা হয়, যা রসে দ্রবীভূত পদার্থের পরিমাণ নির্ণয় করে।
-
এটি মূলত চিনি (Sucrose), গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং কিছু খনিজ ও জৈব অ্যাসিডের সম্মিলিত ঘনত্ব নির্দেশ করে।
-
আখের পরিপক্কতা নির্ধারণে ব্রিক্স মান একটি বিশ্বস্ত সূচক, কারণ পরিপক্ক আখে চিনির ঘনত্ব সর্বাধিক থাকে।
-
যখন আখের নিচের ও মাঝের অংশের রসে ব্রিক্স মান ১৮° বা তার বেশি পাওয়া যায়, তখন সেটি শারীরবৃত্তীয়ভাবে পরিপক্ক (Physiologically Mature) ধরা হয়।
-
ব্রিক্স মান ২৫° পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা উচ্চ মানের ও চিনি-সমৃদ্ধ আখের ইঙ্গিত দেয়।
-
তাই আখ কাটার জন্য উপযুক্ত সময় নির্ধারণে সাধারণত ১৮°–২৫° ব্রিক্স মানকে মানদণ্ড হিসেবে ধরা হয়।
-
ব্রিক্স মান বেশি হলে চিনি আহরণের হার বৃদ্ধি পায়, আর কম হলে চিনি উৎপাদন কমে যায়, ফলে এটি আখ শিল্পে একটি গুরুত্বপূর্ণ গুণমান সূচক হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 2 days ago
লাইন-লোগো-পারটিং (LLP) কোন্ ফসলের চাষের সাথে সম্পৃক্ত?
Created: 1 day ago
A
ধান
B
ভুট্টা
C
গম
D
আলু
লাইন-লোগো-পারটিং (LLP) হলো একটি আধুনিক ধান রোপণ কৌশল, যা উৎপাদন বৃদ্ধি ও জমির সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই পদ্ধতি শুধুমাত্র ধান চাষের সাথে সম্পৃক্ত।
তথ্যগুলো হলো:
-
লাইন (Line): ধানক্ষেতে চারাগুলোকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে সারি আকারে রোপণ করা হয়, যাতে পরিচর্যা ও আগাছা নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।
-
লোগো (Logo) বা পারটিং (Parting): প্রতি ১০ বা ১২টি সারির পর একটি সারি ফাঁকা রাখা হয়, যেটিকে ‘লোগো’ বা ‘পারটিং’ বলা হয়।
-
এই ফাঁকা সারির মাধ্যমে পরিচর্যা, সেচ, আগাছা দমন ও কীটনাশক প্রয়োগ সহজ হয়।
-
LLP পদ্ধতিতে আলো, বাতাস ও পুষ্টি উপাদানের সুষম ব্যবহার হয়, ফলে ধানের ফলন বৃদ্ধি পায়।
উ. (ক) ধান

0
Updated: 1 day ago
সেঁচের ফ্রিকোয়েন্সি নির্ধারণে সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ বিষয়?
Created: 2 days ago
A
ফসলের ধরণ ও বৃদ্ধির পর্যায়
B
মাটির রং
C
বাতাসের তাপমাত্রা
D
বাতাসের আদ্রতা
সেঁচের ফ্রিকোয়েন্সি বা কত ঘন ঘন সেঁচ দিতে হবে তা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ফসলের ধরণ ও বৃদ্ধির পর্যায়। কারণ সেচের প্রয়োজন সরাসরি নির্ভর করে উদ্ভিদের জলের চাহিদা এবং মাটির জলধারণ ক্ষমতার ওপর।
-
প্রতিটি ফসলের জলের চাহিদা ভিন্ন। যেমন, ধান চাষে প্রচুর পানি লাগে, অন্যদিকে শুষ্ক সহনশীল ফসল (যেমন গম বা মসুর) তুলনামূলকভাবে কম পানিতেও বেঁচে থাকতে পারে।
-
উদ্ভিদের বৃদ্ধির বিভিন্ন পর্যায়ে সেচের প্রয়োজন পরিবর্তিত হয়। যেমন, ধানের Tillering stage ও Milk-dough stage-এ পর্যাপ্ত পানি অপরিহার্য।
-
বীজ রোপণের পর, ফুল ফোটার সময় (Flowering stage) এবং ফল ধরার সময় (Fruit set stage) ফসলের জলের চাহিদা সর্বাধিক হয়, তাই এ সময়ে সেঁচের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়াতে হয়।
-
অপরদিকে, পরিপক্বতার (Maturity) কাছাকাছি এলে উদ্ভিদের পানির চাহিদা কমে যায়, ফলে সেচের ফ্রিকোয়েন্সিও কমানো হয়।
-
সেচ ব্যবস্থাপনা কার্যকরভাবে নির্ধারণ করতে ফসলের ধরণ, বৃদ্ধির পর্যায়, মাটির গঠন ও আবহাওয়া—সবগুলো বিষয় বিবেচনায় নিতে হয়।
অতএব, সেঁচের ফ্রিকোয়েন্সি নির্ধারণে ফসলের ধরণ ও বৃদ্ধির পর্যায়ই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।

0
Updated: 2 days ago