ধানে হপার বার্ন বা ফড়িংপোড়া লক্ষণ দেখা যায় কিসের আক্রমনে?
A
ধানের বাদামী গাছ ফড়িং
B
সাদা পিঠ গাছ ফড়িং
C
সবুজ পাতা ফড়িং
D
ক ও খ এর দ্বারা আক্রান্ত হয়ে
উত্তরের বিবরণ
ধানের বাদামী গাছ ফড়িং (Brown Planthopper) এবং সাদা পিঠ গাছ ফড়িং (White-backed Planthopper) — উভয়ই ধানের ক্ষতিকর কীট, যা ধানগাছের পাতা ও কলির রস শুষে নেয় এবং গুরুতর ক্ষতি করে। এরা সাধারণত ধানগাছের গোড়ায় বসে রস শোষণ করে, ফলে গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে ও ধীরে ধীরে মারা যায়।
-
এই ফড়িংগুলির আক্রমণে ধানগাছের পাতা হলদে বা বাদামী রঙ ধারণ করে, এবং অনেক সময় পুরো ক্ষেত পুড়ে যাওয়া বা ঝলসানো (hopper burn) অবস্থায় দেখা যায়।
-
আক্রান্ত গাছের রস শোষণজনিত পানিশূন্যতা এবং পুষ্টিহীনতার কারণে ফটোসিনথেসিস বাধাগ্রস্ত হয়, ফলে ফলন ব্যাপকভাবে কমে যায়।
-
বাদামী ও সাদা পিঠ উভয় প্রজাতিই ধানের কলি ও কান্ডে আক্রমণ করে, তাই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে নিয়মিত ক্ষেতে পর্যবেক্ষণ ও সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা (IPM) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অতএব, সঠিক উত্তর হলো — ক ও খ উভয়ই, কারণ উভয় প্রজাতির ফড়িংই ধানের পাতায় ও কলিতে আক্রমণ করে হপার বার্ন সৃষ্টি করে।

0
Updated: 1 day ago
ধান চাষে বাকানী (Bakanae) রোগ নিয়ন্ত্রণের একটি সাধারণ পদ্ধতি হল -
Created: 19 hours ago
A
নাইট্রোজেন জাতীয় সার প্রয়োগ
B
জমিতে ক্রমাগত পানি দেওয়া
C
বেশী দূরত্বে চারারোপণ
D
বীজ শোধন ও প্রতিরোধী জাত ব্যবহার
ধানের বাকানী (Bakanae) রোগ একটি ছত্রাকজনিত রোগ, যার কারণ Fusarium fujikuroi। এটি সাধারণত বীজ বা মাটি থেকে সংক্রমিত হয়। আক্রান্ত গাছের প্রধান লক্ষণ হলো অতিরিক্ত লম্বা চারা এবং পাতার হলুদ বর্ণ ধারণ। এ রোগ ধানের বৃদ্ধি ও ফলনে মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
মূল তথ্যগুলো হলো:
-
রোগের কারণ: ছত্রাক Fusarium fujikuroi
-
সংক্রমণের উৎস: সংক্রমিত বীজ বা মাটি
-
প্রধান লক্ষণ: চারা অস্বাভাবিক লম্বা হয় ও হলুদ হয়
-
সঠিক নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি: ঘ) বীজ শোধন ও প্রতিরোধী জাত ব্যবহার
-
বীজ শোধনের ভূমিকা: সংক্রমিত বীজ থেকে রোগ ছড়ানো প্রতিরোধ করে
-
প্রতিরোধী জাতের ভূমিকা: রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন জাত ব্যবহারে রোগের বিস্তার কমে
অন্যান্য বিকল্পের বিশ্লেষণ:
-
ক) নাইট্রোজেন সার প্রয়োগ: অতিরিক্ত নাইট্রোজেন রোগের সংক্রমণ বাড়াতে পারে
-
খ) ক্রমাগত পানি: এমন পরিবেশ ছত্রাক বৃদ্ধিকে উৎসাহ দেয়
-
গ) বেশি দূরত্বে চারারোপণ: সামান্য উপকার করে, কিন্তু প্রধান নিয়ন্ত্রণ নয়

0
Updated: 19 hours ago
ফসল ঘন করে রোপণ করলে রোগ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ-
Created: 19 hours ago
A
আলো কম পায়
B
বাতাস চলাচল কম হয়
C
আদ্রতা বেশী থাকে
D
উপরের সবগুলো
ফসল ঘন করে রোপণ করলে গাছগুলোর মধ্যে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় পরিবেশ এমনভাবে পরিবর্তিত হয় যে তা রোগজীবাণুর বৃদ্ধি ও বিস্তারের জন্য অনুকূল হয়ে ওঠে। এর ফলে ফসলে রোগের আক্রমণ দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
মূল কারণগুলো হলো:
-
আলো কম পাওয়া: ঘন চাষের কারণে গাছের নিচের অংশ পর্যাপ্ত সূর্যালোক পায় না, ফলে গাছ দুর্বল হয় ও রোগপ্রবণ হয়ে পড়ে।
-
বাতাস চলাচল কম হওয়া: গাছের ঘনত্ব বেশি হলে বাতাস চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়, যার ফলে আর্দ্রতা দীর্ঘসময় বজায় থাকে।
-
আর্দ্র পরিবেশের সৃষ্টি: অতিরিক্ত আর্দ্রতা ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ও সংক্রমণের জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে।
সুতরাং সঠিক উত্তর হলো ঘ) উপরের সবগুলো।

0
Updated: 19 hours ago
অধিকাংশ ছত্রাকজনিত রোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হল?
Created: 1 day ago
A
প্রবল বাতাস
B
তীব্র সূর্যালোক
C
উচ্চ আপেক্ষিক আদ্রতা
D
হাল্কা বাতাস
ছত্রাক সাধারণত উষ্ণ ও আর্দ্র পরিবেশে সবচেয়ে ভালোভাবে বৃদ্ধি ও বংশবিস্তার করে। উদ্ভিদের ওপর ছত্রাকজনিত রোগের সংক্রমণ শুরু হওয়ার জন্য উচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা (High Relative Humidity) হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশগত শর্ত।
-
উচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছত্রাকের স্পোর অঙ্কুরোদগমে সহায়তা করে এবং পাতার পৃষ্ঠে জলীয় আস্তরণ (Leaf Wetness) তৈরি করে, যা সংক্রমণের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে।
-
বাতাসের মাধ্যমে ছত্রাকের স্পোর সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে, কিন্তু সংক্রমণ ঘটার জন্য আবশ্যক হলো আর্দ্র পরিবেশ।
-
তীব্র সূর্যালোক সাধারণত ছত্রাকের বৃদ্ধি ব্যাহত করে, কারণ অতিরিক্ত তাপ ও শুকনো অবস্থা স্পোরের জীবনীশক্তি নষ্ট করে দেয়।
-
তাই ছত্রাকজনিত রোগের বিস্তার প্রতিরোধে আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ ও বাতাস চলাচল নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অতএব, অধিকাংশ ছত্রাকজনিত রোগের জন্য প্রধান পরিবেশগত ফ্যাক্টর হলো — উচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা (High Relative Humidity)।

0
Updated: 1 day ago