A
কৃষি
B
ঔষধ শিল্প
C
প্রস্তুত পোশাক
D
জাহাজ নির্মাণ
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পোশাক শিল্প (Ready-Made Garments – RMG Industry) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বৃহত্তম রপ্তানি খাত হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই খাত দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান উৎস এবং কর্মসংস্থান, বিশেষ করে নারীর অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অন্যতম চালিকাশক্তি।
মূল বিষয়গুলো হলো:
১। রপ্তানি আয়ের মূল উৎস:
-
বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি আসে পোশাক শিল্প থেকে।
-
এটি দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান খাত হিসেবে জাতীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করেছে।
২। রপ্তানি পণ্য:
-
প্রধান রপ্তানি পণ্য হলো নিট পোশাক, বোনা পোশাক, শার্ট, ট্রাউজার, টি-শার্ট, জিন্স, সোয়েটার ইত্যাদি।
-
বাংলাদেশ বিশ্বে অন্যতম বৃহৎ পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে পরিচিত।
৩। কর্মসংস্থান ও নারী অংশগ্রহণ:
-
এই শিল্পে প্রায় ৪০ লক্ষাধিক শ্রমিক কর্মরত, যার মধ্যে অধিকাংশই নারী।
-
ফলে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ও সামাজিক অবস্থান উন্নত হয়েছে।
৪। রপ্তানি বাজার:
-
বাংলাদেশের পোশাক প্রধানত রপ্তানি হয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপানসহ বিভিন্ন দেশে।
৫। অর্থনৈতিক প্রভাব:
-
পোশাক শিল্প দেশের জিডিপিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে এবং শিল্পায়ন ও নগরায়ণের গতি বাড়ায়।
অতএব, পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড, যা শুধু রপ্তানি আয়ের উৎস নয়, বরং নারীর কর্মসংস্থান, সামাজিক পরিবর্তন ও জাতীয় উন্নয়নের অন্যতম ভিত্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

0
Updated: 1 day ago
কত সালে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়?
Created: 2 days ago
A
১৮৩৯
B
১৮০০
C
১৮২০
D
১৮৪০
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ ১৮০০ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ভারতের উপনিবেশিক যুগে প্রশাসনিক শিক্ষার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল। কলেজটি মূলত ব্রিটিশ কর্মকর্তাদেরকে ভারতীয় ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়, যাতে তারা স্থানীয় জনগণের সঙ্গে দক্ষভাবে যোগাযোগ ও শাসন পরিচালনা করতে পারে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো—
-
প্রতিষ্ঠাকাল: ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দ
-
প্রতিষ্ঠাতা: ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি
-
অবস্থান: কলকাতা, ভারত
-
প্রধান উদ্দেশ্য:
-
ব্রিটিশ প্রশাসকদের জন্য স্থানীয় ভাষা ও সংস্কৃতি শেখার সুযোগ তৈরি করা
-
প্রশাসনিক দক্ষতা, ভাষাগত জ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি করা
-
-
ভাষা ও সাহিত্যচর্চা: এই কলেজ থেকেই বাংলা, উর্দু, হিন্দি ও সংস্কৃত ভাষায় বহু গ্রন্থ অনুবাদ ও রচনা করা হয়, যা ভারতীয় সাহিত্য ও আধুনিক বাংলা গদ্যের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
ঐতিহাসিক গুরুত্ব: ফোর্ট উইলিয়াম কলেজকে অনেকেই বাংলা নবজাগরণের প্রাথমিক উৎস হিসেবে গণ্য করেন, কারণ এখান থেকেই বাংলা ভাষার প্রমিত রূপ ও সাহিত্যিক চর্চার বিকাশ শুরু হয়।
সুতরাং, ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ শুধু প্রশাসনিক প্রশিক্ষণকেন্দ্র নয়, বরং ভারতীয় ভাষা ও সংস্কৃতির বিকাশে একটি ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

0
Updated: 2 days ago
সমাজবিজ্ঞানী Cooley গোষ্ঠীকে কয়ভাগে ভাগ করেছেন?
Created: 1 day ago
A
২
B
৩
C
৪
D
৫
সমাজবিজ্ঞানী চার্লস হর্টন কুলি (Charles Horton Cooley) গোষ্ঠীকে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা ও যোগাযোগের ধরন অনুসারে দুই ভাগে বিভক্ত করেছেন— মূখ্য গোষ্ঠী (Primary Group) ও গৌণ গোষ্ঠী (Secondary Group)। তিনি মানুষের সামাজিক সম্পর্কের প্রকৃতি বোঝাতে এই শ্রেণিবিন্যাস প্রদান করেন।
মূল বিষয়গুলো হলো:
১। মূখ্য গোষ্ঠী (Primary Group):
-
সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ, আন্তরিক ও মুখোমুখি (Face-to-Face)।
-
এই গোষ্ঠীতে আবেগ, ভালোবাসা, সহযোগিতা ও পারস্পরিক বোঝাপড়া প্রধান।
-
উদাহরণ: পরিবার, বন্ধুদের দল, প্রতিবেশী গোষ্ঠী ইত্যাদি।
-
মূখ্য গোষ্ঠী সমাজে ব্যক্তির চরিত্র গঠন, সামাজিকীকরণ ও মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
২। গৌণ গোষ্ঠী (Secondary Group):
-
এখানে সম্পর্ক অব্যক্তিগত, আনুষ্ঠানিক ও উদ্দেশ্যনির্ভর।
-
সদস্যদের মধ্যে আবেগের বন্ধন কম, সম্পর্ক মূলত কাজ বা স্বার্থের ওপর নির্ভরশীল।
-
উদাহরণ: অফিস, বিদ্যালয়, ব্যবসায়িক সংগঠন, রাজনৈতিক দল ইত্যাদি।
-
গৌণ গোষ্ঠী আধুনিক সমাজে কার্যসম্পাদন ও সংগঠিত জীবনের প্রতীক।
অতএব, কুলির মতে মূখ্য গোষ্ঠী মানবিক সম্পর্কের ভিত্তিতে গঠিত, আর গৌণ গোষ্ঠী লক্ষ্যনির্ভর ও আনুষ্ঠানিক সম্পর্কের প্রতিফলন, যা একত্রে সমাজের কাঠামোকে ভারসাম্যপূর্ণ করে তোলে।

0
Updated: 1 day ago
ফ্রয়েড ব্যক্তিত্ব গঠনে বুদ্ধিবৃত্তির কয়টি উপাদানের কথা বলেছেন?
Created: 1 day ago
A
৩টি
B
৪টি
C
৫টি
D
২টি
সিগমুন্ড ফ্রয়েড ব্যক্তিত্ব গঠনের ক্ষেত্রে মানুষের মনের ভেতরের গঠন বা কাঠামোকে তিনটি প্রধান উপাদানে বিভক্ত করেছেন। এই তত্ত্বটি Structure of Personality নামে পরিচিত, যা মানুষের আচরণ, চিন্তা ও আবেগের পিছনের মানসিক প্রক্রিয়াগুলো ব্যাখ্যা করে।
মূল উপাদানগুলো হলো—
১। ইড (Id): এটি ব্যক্তিত্বের প্রাথমিক ও অবচেতন অংশ, যেখানে মানুষের মৌলিক চাহিদা, ইচ্ছা ও প্রবৃত্তি বাস করে। জন্মের সময় থেকেই এটি উপস্থিত থাকে এবং এটি আনন্দ নীতি (Pleasure Principle) অনুসারে কাজ করে—অর্থাৎ, তাৎক্ষণিক সন্তুষ্টি চায়, বাস্তবতা বা নৈতিকতা বিবেচনা করে না।
২। ইগো (Ego): এটি ব্যক্তিত্বের যুক্তিবাদী ও বাস্তবতা-নির্ভর অংশ, যা ইড-এর প্রবৃত্তি ও বাইরের বাস্তবতার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে। এটি বাস্তব নীতি (Reality Principle) অনুসারে কাজ করে এবং ব্যক্তি যেন সমাজে গ্রহণযোগ্যভাবে নিজের চাহিদা পূরণ করতে পারে, সেই সমন্বয় ঘটায়।
৩। সুপারইগ (Superego): এটি ব্যক্তিত্বের নৈতিক ও আদর্শিক দিক, যা সমাজ, সংস্কৃতি ও পারিবারিক শিক্ষার মাধ্যমে গঠিত হয়। এটি ঠিক-ভুল, নৈতিকতা ও আদর্শের মানদণ্ড নির্ধারণ করে এবং ব্যক্তির বিবেক হিসেবে কাজ করে।
সারসংক্ষেপে, ইড চায় তাত্ক্ষণিক আনন্দ, ইগো কাজ করে বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, আর সুপারইগ নিয়ন্ত্রণ করে নৈতিকতার ভিত্তিতে। এই তিনটি উপাদানের ভারসাম্যই একজন ব্যক্তির আচরণ ও ব্যক্তিত্বের প্রকৃতি নির্ধারণ করে।

0
Updated: 1 day ago