সাতদিন্যা কোন উপজাতির মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে করা হয়?
A
মারমা
B
গারো
C
মনিপুরি
D
চাকমা
উত্তরের বিবরণ
চাকমা সমাজে মৃত্যুর পরবর্তী আচার-অনুষ্ঠান তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। এই সমাজে মৃত্যুকে জীবনের সমাপ্তি নয়, বরং আত্মার অন্য জগতে যাত্রা হিসেবে দেখা হয়। তাই মৃত ব্যক্তির আত্মার শান্তি ও সম্মানের জন্য বিভিন্ন আচার পালিত হয়।
মূল বিষয়গুলো হলো:
১। দাহ প্রথা (Cremation):
-
চাকমা সমাজে মৃতদেহ পোড়ানো বা দাহ করা হয়, যা আত্মাকে দেহ থেকে মুক্ত করার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
-
এই প্রথা বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রভাব ও উপজাতীয় বিশ্বাসের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে।
২। সাত দিন্যা অনুষ্ঠান (Sat Dinya):
-
সাত বছরের কম বয়সী শিশু মারা গেলে আত্মার শান্তির জন্য “সাত দিন্যা” নামের বিশেষ অনুষ্ঠান পালিত হয়।
-
এটি আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং তার শান্তি কামনার এক সামাজিক ও ধর্মীয় আয়োজন।
৩। উৎসর্গ বা নিবেদন:
-
অনুষ্ঠানে আত্মার উদ্দেশ্যে খাদ্য, মদ, আতর (সুগন্ধি), কাপড় এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী উৎসর্গ করা হয়।
-
বিশ্বাস করা হয়, এই সামগ্রী আত্মাকে পরবর্তী জগতে শান্তি ও পরিতৃপ্তি প্রদান করে।
৪. ধর্মীয় তাৎপর্য:
-
এই প্রথাগুলো চাকমা সমাজে বৌদ্ধ ধর্ম, আধ্যাত্মিকতা ও পূর্বপুরুষ পূজার মিশ্র প্রভাব বহন করে।
-
সমাজে মৃত্যুকে ভয় নয়, বরং একটি স্বাভাবিক ও সম্মানজনক ঘটনারূপে দেখা হয়।
অতএব, চাকমা সমাজের দাহ প্রথা ও সাত দিন্যা অনুষ্ঠান তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস, আত্মার অমরত্ব ও সমাজের সাংস্কৃতিক ঐক্যের এক অনন্য প্রতিফলন।

0
Updated: 2 days ago
সমাজ পরিবর্তনে দৈহিক শক্তির চেয়ে বৃদ্ধিবৃত্তির উপর কে গুরুত্ব দিয়েছেন?
Created: 3 days ago
A
অগাষ্ট কোৎ
B
স্পেন্সার
C
বেহার্ডজ
D
ডারউইন
অগাস্ট কোঁৎ সমাজবিজ্ঞানের জনক হিসেবে পরিচিত, যিনি সামাজিক পরিবর্তনকে বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের ধারাবাহিক ফল হিসেবে ব্যাখ্যা করেছিলেন। তার মতে, সমাজের অগ্রগতি কোনো দৈহিক শক্তির কারণে নয়, বরং মানুষের চিন্তা, যুক্তি ও বৈজ্ঞানিক বোধের বিকাশের মাধ্যমে ঘটে। তিনি এই পরিবর্তনের ধারা ব্যাখ্যা করতে “ত্রয়স্তর সূত্র” (Law of Three Stages) প্রবর্তন করেন।
-
প্রথম স্তর: ধর্মগত (Theological Stage) — এখানে মানুষ প্রাকৃতিক ও সামাজিক ঘটনাকে অতিপ্রাকৃত শক্তির মাধ্যমে ব্যাখ্যা করত। দেবতা ও আত্মার প্রভাবই ছিল মূল ব্যাখ্যা।
-
দ্বিতীয় স্তর: অধিবিদ্যা (Metaphysical Stage) — এই স্তরে মানুষ ঘটনাবলিকে বিমূর্ত ধারণা ও দর্শনের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করতে শুরু করে। এটি ধর্ম থেকে যুক্তির দিকে উত্তরণের ধাপ।
-
তৃতীয় স্তর: দৃষ্টবাদ বা বৈজ্ঞানিক স্তর (Positive Stage) — এটি সর্বোচ্চ স্তর, যেখানে মানুষ বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষা ও যুক্তির মাধ্যমে বাস্তব জগতের ব্যাখ্যা দেয়। এখানে বুদ্ধিবৃত্তি, বাস্তবতা ও প্রমাণভিত্তিক জ্ঞান প্রধান হয়ে ওঠে।
অগাস্ট কোঁৎ মনে করতেন, দৃষ্টবাদ যুগই প্রকৃত বুদ্ধিবৃত্তিক যুগ, যেখানে মানবজাতি ধর্ম ও দর্শনের সীমা অতিক্রম করে বিজ্ঞান ও যুক্তির আলোকে সমাজ ও প্রকৃতিকে ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হয়। এইভাবে, তার ত্রয়স্তর সূত্র মানব সভ্যতার মানসিক ও সামাজিক বিকাশের একটি যৌক্তিক ব্যাখ্যা প্রদান করে।

0
Updated: 3 days ago
২০২২ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী বাংলাদেশে বর্তমানে স্থূল মৃত্যু হার কত?
Created: 1 day ago
A
৫%
B
৬.৫%
C
৭.২%
D
৫.১%
“২০২২ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী স্থূল মৃত্যু হার ৫.০৪ জন প্রতি ১,০০০ জনে” — তা Macrotrends–এ পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী ঠিক আছে।
কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণীয় দিক নিচে তুলে ধরা হলো:
-
Macrotrends অনুযায়ী বাংলাদেশের ২০২২ সালের স্থূল মৃত্যু হার (Crude Death Rate, CDR) ছিল ৫.০৪ জন প্রতি ১,০০০ জনে।
-
এই হার ২০২১ সালের ৬.৩২ প্রতি ১,০০০ জনের থেকে অনেকটা কম ছিল।
-
যদিও তুমি বলেছ এটি BBS-এর Statistical Yearbook 2022–এ পাওয়া যায়, আমি সরাসরি BBS–এর প্রকাশিত Yearbook–এ সেটি নিশ্চিতভাবে যাচাই করতে পারিনি। (BBS–এর অফিসিয়াল সাইটে Yearbook-এর তালিকা আছে, কিন্তু নির্দিষ্ট CDR মান সরাসরি দেখা যায়নি)
-
এছাড়া, World Bank–এর “Death rate, crude (per 1,000 people)”–এও বাংলাদেশের জন্য সাম্প্রতিক CDR তথ্য পাওয়া যায়, যা তোমার কথার সাপেক্ষে তুলনামূলক রেফারেন্স হিসেবে কাজে আসতে পারে।
সুতরাং, যদি প্রশ্নে “২০২২ সালের বর্তমান স্থূল মৃত্যু হার” জানতে বলা হয় এবং অপশন হিসেবে “প্রতি ১,০০০ জনে প্রায় ৫.০৪ জন” বা “৫.১ কাছাকাছি” থাকে, তাহলে ৫.০৪ জন প্রতি ১,০০০ জনে উত্তরটি সঠিক ও গ্রহণযোগ্য হবে।

0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশে আত্মীয়তা সম্পর্কের (Kinship) ভূমিকা কী?
Created: 2 days ago
A
বাণিজ্য ও ব্যাংকিং
B
সম্পত্তির উত্তরাধিকার ও জোট গঠন
C
রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠী গঠন
D
গ্রাম ও শহরের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন
সমাজে উত্তরাধিকার নির্ধারণের মূল ভিত্তি হলো আত্মীয়তা। কে কার সম্পদ বা সম্পত্তি পাবে, তা সাধারণত রক্তসম্পর্ক বা পারিবারিক সম্পর্কের ওপর নির্ভর করে। এর মাধ্যমে সমাজে সম্পদ ও মর্যাদা এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে স্থানান্তরিত হয়, যা সামাজিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখে।
প্রধান বিষয়গুলো হলো—
-
আত্মীয়তার ভূমিকা: উত্তরাধিকার নির্ধারণে আত্মীয়তার সম্পর্কই মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
-
রক্তসম্পর্কের ভিত্তি: সাধারণত পিতা-মাতা, পুত্র-কন্যা, ভাই-বোন, স্ত্রী-স্বামী— এরা আত্মীয়তার জালের প্রধান অংশ, যারা সম্পদের ভাগিদার হতে পারে।
-
সামাজিক ও আইনগত প্রক্রিয়া: উত্তরাধিকার শুধু সামাজিক নয়, এটি একটি আইনসম্মত ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে পারিবারিক সম্পত্তি ও সম্পদ বৈধভাবে স্থানান্তরিত হয়।
-
সম্পদ ও মর্যাদার স্থানান্তর: আত্মীয়তার মাধ্যমে কেবল সম্পত্তিই নয়, বরং সামাজিক মর্যাদা, দায়িত্ব ও কর্তৃত্বও প্রজন্মান্তরে সঞ্চারিত হয়।
-
সামাজিক স্থিতিশীলতা: এই উত্তরাধিকারের ধারা সমাজে স্থিতিশীলতা ও ঐক্য বজায় রাখতে সাহায্য করে, কারণ এটি পারিবারিক বন্ধন ও দায়িত্ববোধকে দৃঢ় করে তোলে।

0
Updated: 2 days ago