সমাজবিজ্ঞানের ভিত্তি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এমিল ডুর্খেইম (Émile Durkheim) সমাজবিজ্ঞানকে বলেছেন “সামাজিক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান”। তাঁর মতে, সমাজবিজ্ঞান এমন একটি শাস্ত্র যা সমাজের গঠন, নিয়ম, প্রথা ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে বৈজ্ঞানিকভাবে বিশ্লেষণ করে বোঝার চেষ্টা করে।
মূল বিষয়গুলো হলো:
১। ডুর্খেইমের সংজ্ঞা: তিনি বলেন, “Sociology is the study of social institutions” — অর্থাৎ সমাজবিজ্ঞান হলো সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও তাদের কার্যপ্রণালীর অধ্যয়ন।
২। সামাজিক প্রতিষ্ঠান (Social Institution): পরিবার, ধর্ম, শিক্ষা, অর্থনীতি ও রাজনীতি—এই প্রতিষ্ঠানগুলো সমাজের ভিত্তি গঠন করে এবং মানুষের আচরণ ও সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করে।
৩। সমাজবিজ্ঞানের লক্ষ্য: সমাজ কীভাবে কাজ করে, কীভাবে শৃঙ্খলা বজায় রাখে এবং সামাজিক পরিবর্তন কীভাবে ঘটে—এসব বিষয় বিশ্লেষণ করা সমাজবিজ্ঞানের উদ্দেশ্য।
৪। ডুর্খেইমের দৃষ্টিভঙ্গি: তিনি সমাজকে একটি স্বতন্ত্র ও বাস্তব সত্তা (Social Reality) হিসেবে দেখেছেন, যা ব্যক্তির বাইরে থেকেও তার ওপর প্রভাব ফেলে।
৫। গুরুত্ব: ডুর্খেইম সমাজবিজ্ঞানকে একটি স্বাধীন ও বৈজ্ঞানিক শাস্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন, যা সমাজকে কেবল ব্যক্তির সমষ্টি নয় বরং একটি সংগঠিত ব্যবস্থা হিসেবে ব্যাখ্যা করে।
অতএব, ডুর্খেইমের মতে সমাজবিজ্ঞান হলো সেই বিজ্ঞান যা সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও তাদের পারস্পরিক সম্পর্কের মাধ্যমে সমাজের গঠন ও কার্যপ্রণালী বিশ্লেষণ করে।