যে আগাছার বীজ ফসলের বীজ থেকে আলাদা করা কঠিন এবং ফসল সংগ্রহে তা আপত্তিকর আগাছা হিসেবে গণ্য করা হয়-
A
Noxious Weed
B
Satellite Weed
C
Fox Weed
D
Fox Weed
উত্তরের বিবরণ
স্যাটেলাইট আগাছা (Satellite Weed) হলো এমন আগাছা যা ফসলের সঙ্গে একই সময়ে পরিপক্ক হয় এবং তাদের বীজ আকার ও আকৃতিতে ফসলের বীজের মতো দেখতে হওয়ায় সহজেই ফসলের সাথে মিশে যায়। এই কারণে ফসল কাটার সময় মানুষ অজান্তেই আগাছার বীজ সংগ্রহ করে, যা পরবর্তীতে ফসলের বীজের মাধ্যমে নতুন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে।
-
স্যাটেলাইট আগাছা সাধারণত ফসলের জীবনচক্রের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বৃদ্ধি পায়, ফলে তাদের আলাদা করা কঠিন হয়।
-
উদাহরণ: Phalaris minor (ফালারিস মাইনর) এবং Avena fatua (আভেনা ফাটুয়া) — এরা যথাক্রমে গম ও ধানের সঙ্গে মিশে যায়।
-
এই আগাছাগুলির উপস্থিতি ফসলের উৎপাদন কমায়, সংরক্ষিত বীজের বিশুদ্ধতা নষ্ট করে, এবং আগামী মৌসুমে আগাছার বিস্তার ঘটায়।
ক্ষতিকারক আগাছা (Noxious Weed) হলো এমন আগাছা যা সরকার কর্তৃক জনস্বাস্থ্য, কৃষি বা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বলে ঘোষিত। এগুলির নিয়ন্ত্রণ বা দমন আইনত বাধ্যতামূলক, এবং এদের শ্রেণিবিন্যাস বীজের আকার বা চেহারার উপর ভিত্তি করে নয়, বরং ক্ষতিকারক প্রভাবের মাত্রার উপর নির্ভর করে।
সুতরাং, সঠিক উত্তর হলো — (খ)।

0
Updated: 2 days ago
পরাগায়ণ প্রক্রিয়ায় Anemophily দ্বারা কী বুঝায়?
Created: 1 day ago
A
পানি বাহিত হয়ে পরাগায়ণ
B
বায়ু বাহিত হয়ে পরাগায়ণ
C
স্ব-পরাগায়ণ
D
স্ব-পরাগায়ণ
Anemophily শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ ‘anemos’ অর্থাৎ বাতাস এবং ‘philein’ অর্থাৎ ভালোবাসা থেকে। এটি এমন এক ধরনের পরাগায়ণ প্রক্রিয়া, যেখানে বাতাস বা বায়ু পরাগরেণু এক ফুল থেকে অন্য ফুলে বা একই ফুলের গর্ভমুণ্ডে পৌঁছে দেয়।
তথ্যগুলো হলো:
-
Anemophilous উদ্ভিদের পরাগায়ণ সম্পূর্ণভাবে বাতাসের মাধ্যমে ঘটে।
-
ধান, গম, ভুট্টা এবং ঘাসজাতীয় উদ্ভিদে এই ধরনের পরাগায়ণ দেখা যায়।
-
এই ফুলগুলো সাধারণত উজ্জ্বল রঙ বা সুগন্ধবিহীন, কারণ এগুলোর পতঙ্গ আকর্ষণের প্রয়োজন নেই।
-
এদের পরাগরেণু হালকা ও প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হয়, যাতে বাতাসে সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
উ. Anemophily — বায়ু বা বাতাসের মাধ্যমে পরাগায়ণ প্রক্রিয়া

0
Updated: 1 day ago
ধানের পরাগায়ন সাধারণত দিনের কোন অংশে সংঘটিত হয়?
Created: 2 days ago
A
সকালে
B
বিকালে
C
সন্ধ্যায়
D
রাতে
ধানের পরাগায়ন সাধারণত দিনের সকালে, অর্থাৎ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে সংঘটিত হয়। এই সময়ের পরিবেশগত অবস্থা যেমন তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও বাতাসের গতি পরাগায়নের জন্য সবচেয়ে অনুকূল থাকে।
-
সকালে তাপমাত্রা মাঝারি (২৫°–৩২°C) এবং আর্দ্রতা উপযুক্ত থাকায় পরাগরেণু সহজে ছড়াতে ও নিষেক সম্পন্ন করতে পারে।
-
উচ্চ তাপমাত্রা (৩৫°C-এর বেশি) হলে বা তীব্র বাতাস প্রবাহিত হলে, পরাগরেণুর কার্যকারিতা নষ্ট হয় এবং ফুল থেকে পরাগ উড়ে গিয়ে সফল পরাগায়ন বাধাগ্রস্ত হয়।
-
ফলস্বরূপ, ধানের দানায় চিটা বা নিষিক্ত না হওয়া দানা দেখা দেয়, যা ফলন কমায়।
-
তাই পরাগায়নের জন্য সকাল সময়টাই ধানের জন্য সবচেয়ে উপযোগী ও কার্যকর সময়।
সঠিক উত্তর — ক) সকালে।

0
Updated: 2 days ago
ধানের পরাগায়নের সময় কোন্ ফ্যাক্টরটি সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ?
Created: 2 days ago
A
মাটির ধরণ
B
তাপমাত্রা
C
পানির সহজলভ্যতা
D
পোকামাকড়ের আক্রমন
ধানের সফল পরাগায়ন (Pollination) নির্ভর করে বেশ কিছু পরিবেশগত উপাদানের ওপর, যা ফুল ফোটা থেকে ফল গঠনের পুরো প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে।
-
তাপমাত্রা (Temperature): পরাগায়নের জন্য মধ্যম তাপমাত্রা প্রয়োজন; অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা আবহাওয়া পরাগের জীবনীশক্তি নষ্ট করতে পারে।
-
পানির সহজলভ্যতা (Water Availability): ধানের পরাগায়নের সময় পর্যাপ্ত পানি থাকা অত্যন্ত জরুরি। এই সময়ে পানির ঘাটতি হলে ফুল ঝরে যেতে পারে, পরাগায়ন ব্যাহত হয়, এবং ফলন কমে যায়।
-
আর্দ্রতা (Humidity): পর্যাপ্ত আর্দ্রতা পরাগ দানার স্থানান্তর ও পরাগ নালীর বৃদ্ধি সহজ করে।
-
বায়ু বা বাতাস (Wind): ধানের পরাগায়ন মূলত বায়ুবাহিত (anemophilous), তাই হালকা বাতাস পরাগ স্থানান্তরে সহায়তা করে।
-
সূর্যালোক ও সময় (Sunlight and Timing): সকালবেলা হালকা রোদে ধানের ফুল ফোটে, এবং এই সময়ে পরাগায়ন সবচেয়ে কার্যকরভাবে সম্পন্ন হয়।
-
এছাড়া মাটির ধরণ, পুষ্টির ভারসাম্য, ও পোকামাকড়ের আক্রমণও পরাগায়নের ওপর কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে, কিন্তু প্রধান নির্ধারক উপাদান হলো পানি ও এর সঠিক নিয়ন্ত্রণ।

0
Updated: 2 days ago