কৃষি ক্ষেত্রে জিবারেলিন (Gibberellin) কেন ব্যবহার করা হয়?
A
বীজের অঙ্কুরোদগম তরান্বিত করার জন্য
B
কান্ডের বৃদ্ধি ও ফলের আকার বড় করার জন্য
C
ফুল ও ফলের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য
D
উপরের সবগুলি
উত্তরের বিবরণ
জিবারেলিন (Gibberellin) একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভিদ হরমোন, যা বৃদ্ধি উদ্দীপক (growth promoter) হিসেবে কাজ করে এবং উদ্ভিদের বৃদ্ধি, বিকাশ ও ফলন বৃদ্ধি প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে।
-
এটি বীজের অঙ্কুরোদগম তরান্বিত করে, বিশেষ করে নিষ্ক্রিয় (dormant) অবস্থায় থাকা বীজকে অঙ্কুরোদগমে সহায়তা করে।
-
এটি কোষবৃদ্ধি ও প্রসারণ ঘটিয়ে কান্ডকে লম্বা করে এবং ফলের আকার বড় করতে সাহায্য করে।
-
আঙ্গুর, টমেটো, ধান ইত্যাদি ফসলের ক্ষেত্রে জিবারেলিন প্রয়োগে ফুল ও ফলের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, ফলে ফলনও বাড়ে।
-
জিবারেলিন উদ্ভিদের ফুল ফোটা সময় নিয়ন্ত্রণ, পাতা ও ফলের রঙ উন্নতকরণ, এবং অকাল পত্রঝরা প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
সুতরাং সঠিক উত্তর হলো — উপরের সবগুলি।

0
Updated: 2 days ago
পেয়াজের বাল্বের (Bulb) গুনগত মান নির্ধারণে কোনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে?
Created: 19 hours ago
A
মাটির pH (SoilpH)
B
হাত দ্বারা গাছের ঘাড় বাঁকানো
C
হাত দ্বারা গাছের ঘাড় বাঁকানো
D
স্বল্প দিনের অবস্থা (Short Day Length)
পেঁয়াজের কন্দ বা বাল্ব গঠনে আলো বা দিনের দৈর্ঘ্য (Photoperiod) একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ প্রক্রিয়াটি উদ্ভিদের বৃদ্ধির ধাপ ও গুণগত মান উভয়ের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
সঠিক উত্তর: ঘ) স্বল্প দিনের অবস্থা (Short Day Length)
-
বাল্ব গঠনের শর্ত: পেঁয়াজের কন্দ তৈরি হতে নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের দিনের প্রয়োজন হয়।
-
স্বল্প দিনের জাত: এই জাতগুলো কম আলো বা শীতকালের মতো স্বল্প দিনের অবস্থায় ভালোভাবে বাল্ব তৈরি করে।
-
দীর্ঘ দিনের প্রভাব: দিনের দৈর্ঘ্য বেশি হলে বাল্ব গঠনের পরিবর্তে ফুল আসার (Bolting) প্রবণতা বাড়ে, ফলে কন্দের গুণগত মান কমে যায়।
-
উপসংহার: পেঁয়াজের উচ্চমানের কন্দ উৎপাদনের জন্য স্বল্প দিনের অবস্থা সবচেয়ে অনুকূল।

0
Updated: 19 hours ago
সেঁচের ফ্রিকোয়েন্সি নির্ধারণে সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ বিষয়?
Created: 2 days ago
A
ফসলের ধরণ ও বৃদ্ধির পর্যায়
B
মাটির রং
C
বাতাসের তাপমাত্রা
D
বাতাসের আদ্রতা
সেঁচের ফ্রিকোয়েন্সি বা কত ঘন ঘন সেঁচ দিতে হবে তা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ফসলের ধরণ ও বৃদ্ধির পর্যায়। কারণ সেচের প্রয়োজন সরাসরি নির্ভর করে উদ্ভিদের জলের চাহিদা এবং মাটির জলধারণ ক্ষমতার ওপর।
-
প্রতিটি ফসলের জলের চাহিদা ভিন্ন। যেমন, ধান চাষে প্রচুর পানি লাগে, অন্যদিকে শুষ্ক সহনশীল ফসল (যেমন গম বা মসুর) তুলনামূলকভাবে কম পানিতেও বেঁচে থাকতে পারে।
-
উদ্ভিদের বৃদ্ধির বিভিন্ন পর্যায়ে সেচের প্রয়োজন পরিবর্তিত হয়। যেমন, ধানের Tillering stage ও Milk-dough stage-এ পর্যাপ্ত পানি অপরিহার্য।
-
বীজ রোপণের পর, ফুল ফোটার সময় (Flowering stage) এবং ফল ধরার সময় (Fruit set stage) ফসলের জলের চাহিদা সর্বাধিক হয়, তাই এ সময়ে সেঁচের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়াতে হয়।
-
অপরদিকে, পরিপক্বতার (Maturity) কাছাকাছি এলে উদ্ভিদের পানির চাহিদা কমে যায়, ফলে সেচের ফ্রিকোয়েন্সিও কমানো হয়।
-
সেচ ব্যবস্থাপনা কার্যকরভাবে নির্ধারণ করতে ফসলের ধরণ, বৃদ্ধির পর্যায়, মাটির গঠন ও আবহাওয়া—সবগুলো বিষয় বিবেচনায় নিতে হয়।
অতএব, সেঁচের ফ্রিকোয়েন্সি নির্ধারণে ফসলের ধরণ ও বৃদ্ধির পর্যায়ই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।

0
Updated: 2 days ago
বর্তমানে বাংলাদেশে মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ (মিলিয়ন হেক্টর)-
Created: 1 day ago
A
প্রায় ৮.৮৩
B
প্রায় ৬.৬২
C
প্রায় ৫.৫৩
D
প্রায় ৪.৪৮
বাংলাদেশের মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ৮৮.২৯ লক্ষ হেক্টর, যা মিলিয়ন হেক্টর এককে প্রকাশ করলে হয় ৮.৮২৯ মিলিয়ন হেক্টর। এই মান সাম্প্রতিক সরকারি নথি অনুযায়ী ৮৮ লাখ ১৭ হাজার ৯৩৫ হেক্টর, যা প্রায় ৮.৮২ মিলিয়ন হেক্টর।
-
১ লক্ষ = ০.১ মিলিয়ন, তাই ৮৮.২৯ লক্ষ × ০.১ = ৮.৮২৯ মিলিয়ন হেক্টর।
-
কৃষি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS)-এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এই মানটিই বাংলাদেশে মোট আবাদযোগ্য জমির বর্তমান পরিমাণ হিসেবে স্বীকৃত।
-
হিসাবের সামান্য পার্থক্যের কারণে গোলাকার মানে (round figure) এটি ৮.৮৩ মিলিয়ন হেক্টর ধরা যেতে পারে।
অতএব, সঠিক উত্তর হলো — ৮.৮৩ মিলিয়ন হেক্টর।

0
Updated: 1 day ago