আঁখের পরিপক্কতা কোন্ TSS মান দ্বারা নির্দেশিত হয়?
A
১৬°-১৮° ব্রিক্স
B
১৭°-১৯ ব্রিক্স
C
২৫°-২৭° ব্রিক্স
D
১৮°-২৫° ব্রিক্স
উত্তরের বিবরণ
টি.এস.এস (TSS) বা ব্রিক্স (Brix) মান হলো এমন একটি পরিমাপক মান যা আখের রসে মোট দ্রবণীয় কঠিন পদার্থের পরিমাণ, বিশেষ করে চিনির ঘনত্ব, নির্দেশ করে। এই মান আখের পরিপক্কতা ও কাটার উপযুক্ত সময় নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
ব্রিক্স মান একটি রিফ্র্যাক্টোমিটার (Refractometer) দ্বারা পরিমাপ করা হয়, যা রসে দ্রবীভূত পদার্থের পরিমাণ নির্ণয় করে।
-
এটি মূলত চিনি (Sucrose), গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং কিছু খনিজ ও জৈব অ্যাসিডের সম্মিলিত ঘনত্ব নির্দেশ করে।
-
আখের পরিপক্কতা নির্ধারণে ব্রিক্স মান একটি বিশ্বস্ত সূচক, কারণ পরিপক্ক আখে চিনির ঘনত্ব সর্বাধিক থাকে।
-
যখন আখের নিচের ও মাঝের অংশের রসে ব্রিক্স মান ১৮° বা তার বেশি পাওয়া যায়, তখন সেটি শারীরবৃত্তীয়ভাবে পরিপক্ক (Physiologically Mature) ধরা হয়।
-
ব্রিক্স মান ২৫° পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যা উচ্চ মানের ও চিনি-সমৃদ্ধ আখের ইঙ্গিত দেয়।
-
তাই আখ কাটার জন্য উপযুক্ত সময় নির্ধারণে সাধারণত ১৮°–২৫° ব্রিক্স মানকে মানদণ্ড হিসেবে ধরা হয়।
-
ব্রিক্স মান বেশি হলে চিনি আহরণের হার বৃদ্ধি পায়, আর কম হলে চিনি উৎপাদন কমে যায়, ফলে এটি আখ শিল্পে একটি গুরুত্বপূর্ণ গুণমান সূচক হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 2 days ago
কৃষিতে সবচেয়ে বেশী গ্রিনহাউজ (Green House) গ্যাস নিঃসরণ হয় কোনটি?
Created: 1 day ago
A
CO2
B
CH4
C
N2O
D
CFC
কৃষিক্ষেত্রে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে মিথেন (CH₄), যা মূলত ধানচাষ ও গবাদিপশুর হজম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্গত হয়।
তথ্যগুলো হলো:
-
ধানক্ষেতে জলের নিচে অবায়বিক অবস্থায় জৈব পদার্থের পচন থেকে মিথেন গ্যাস তৈরি হয়।
-
গবাদিপশুর জাবর কাটার সময় হজম প্রক্রিয়ায়ও মিথেন নির্গত হয়।
-
কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂) মূলত জ্বালানি পোড়ানোর ফলে সৃষ্টি হয়।
-
নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O) কিছুটা পরিমাণে সার প্রয়োগ থেকে নির্গত হয়, তবে মোট পরিমাণে CH₄ সবচেয়ে বেশি।
-
CFC (ক্লোরোফ্লুরোকার্বন) আসে শিল্প ও রেফ্রিজারেন্ট থেকে, কৃষি থেকে নয়।
অতএব, গ্রিনহাউস গ্যাসের মধ্যে প্রধান হলো CO₂, কিন্তু কৃষিক্ষেত্রে প্রধান হলো মিথেন (CH₄)।

0
Updated: 1 day ago
লাইন-লোগো-পারটিং (LLP) কোন্ ফসলের চাষের সাথে সম্পৃক্ত?
Created: 1 day ago
A
ধান
B
ভুট্টা
C
গম
D
আলু
লাইন-লোগো-পারটিং (LLP) হলো একটি আধুনিক ধান রোপণ কৌশল, যা উৎপাদন বৃদ্ধি ও জমির সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই পদ্ধতি শুধুমাত্র ধান চাষের সাথে সম্পৃক্ত।
তথ্যগুলো হলো:
-
লাইন (Line): ধানক্ষেতে চারাগুলোকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে সারি আকারে রোপণ করা হয়, যাতে পরিচর্যা ও আগাছা নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।
-
লোগো (Logo) বা পারটিং (Parting): প্রতি ১০ বা ১২টি সারির পর একটি সারি ফাঁকা রাখা হয়, যেটিকে ‘লোগো’ বা ‘পারটিং’ বলা হয়।
-
এই ফাঁকা সারির মাধ্যমে পরিচর্যা, সেচ, আগাছা দমন ও কীটনাশক প্রয়োগ সহজ হয়।
-
LLP পদ্ধতিতে আলো, বাতাস ও পুষ্টি উপাদানের সুষম ব্যবহার হয়, ফলে ধানের ফলন বৃদ্ধি পায়।
উ. (ক) ধান

0
Updated: 1 day ago
ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট হতে উদ্ভাবিত মোট জাতের সংখ্যা বর্তমানে কয়টি?
Created: 19 hours ago
A
১২১
B
১২৫
C
১২৭
D
১২৯
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) দেশের ধান উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত তারা মোট ১২১টি উচ্চ ফলনশীল আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে—
-
ইনব্রিড জাত: ১১৩টি
-
হাইব্রিড জাত: ৮টি
এই জাতগুলো বিভিন্ন মৌসুম ও পরিবেশের উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে—যেমন বোরো, আমন ও আউশ মৌসুমের জন্য পৃথক জাত। এর ফলে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৃষকরা আরও উপকৃত হচ্ছে।

0
Updated: 19 hours ago