একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক তার মূলধনের সর্বোচ্চ কত শতাংশ একজন গ্রাহককে ঋণ দিতে পারে?
A
২০ শতাংশ
B
৩০ শতাংশ
C
৮ শতাংশ
D
২৫ শতাংশ
উত্তরের বিবরণ
একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক তার মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত একজন একক গ্রাহককে ঋণ দিতে পারে, যা ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ অনুযায়ী নির্ধারিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। এই নীতির উদ্দেশ্য হলো ব্যাংকিং খাতে ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করা এবং কোনো একক গ্রাহকের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা কমানো।
-
এই সীমা ঋণ ঝুঁকি (Credit Risk) হ্রাসে সহায়তা করে, কারণ একজন গ্রাহকের ঋণ খেলাপি হলে পুরো ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা বিপন্ন হতে পারে।
-
মূলধনের ২৫ শতাংশ হিসাব করা হয় ব্যাংকের paid-up capital, reserve ও retained earnings এর ভিত্তিতে।
-
এই নিয়ম নিশ্চিত করে যে ব্যাংক তার ঋণপোর্টফোলিওকে বৈচিত্র্যময় (diversified) রাখবে এবং বিভিন্ন খাতে ঋণ বিতরণ করবে।
-
এর ফলে ব্যাংকের liquidity ও solvency বজায় থাকে এবং আর্থিক ব্যবস্থার সামগ্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষা পায়।
-
এই সীমা লঙ্ঘন করলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক (বাংলাদেশ ব্যাংক) কর্তৃক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে, যেমন জরিমানা বা অন্যান্য নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ।

0
Updated: 2 days ago
Dividend Discount Model (DDM) মূলত কোন তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে তৈরী?
Created: 2 days ago
A
শেয়ারের দাম ভবিষ্যৎ নগদ প্রবাহের বর্তমান মূল্যের সমান
B
শেয়ারের দাম ভবিষ্যত লভ্যাংশের সমান
C
শেয়ারের দাম সর্বদা EPS এর সমান
D
শেয়ারের দাম বাজার দ্বারা নির্ধারিত
ডিভিডেন্ড ডিসকাউন্ট মডেল বা DDM হলো একটি পদ্ধতি যা শেয়ারের মূল্য নির্ধারণে ব্যবহৃত হয় ভবিষ্যৎ লভ্যাংশের বর্তমান মূল্য হিসাবের মাধ্যমে। এই মডেল অনুযায়ী, একটি শেয়ারের প্রকৃত বা অন্তর্নিহিত মূল্য নির্ভর করে ভবিষ্যতে শেয়ারহোল্ডারদের প্রদেয় লভ্যাংশের ওপর, যা বর্তমান মূল্যে ছাড় (discount) দিয়ে গণনা করা হয়। এটি বাজারের ওঠানামা নয়, বরং আর্থিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ করে।
-
DDM অনুযায়ী, শেয়ারের মূল্য = ভবিষ্যৎ লভ্যাংশের বর্তমান মূল্যগুলোর যোগফল।
-
এটি একটি quantitative valuation method, যা সংখ্যাগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে মূল্য নির্ধারণ করে।
-
শেয়ারের দাম ভবিষ্যৎ লভ্যাংশের সমান নয়, বরং ভবিষ্যৎ লভ্যাংশকে বর্তমান মূল্যে রূপান্তরিত করে মোট যোগফল নির্ধারণ করা হয়।
-
শেয়ারের দাম সর্বদা EPS (Earnings Per Share) এর সমান নয়, কারণ আয় (earnings) থেকে লভ্যাংশ প্রদান করা হয়, তবে সব আয় শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বিতরণ করা হয় না।
-
শেয়ারের দাম বাজার দ্বারা নির্ধারিত নয়, কারণ বাজারমূল্য পরিবর্তনশীল হলেও DDM শেয়ারের অন্তর্নিহিত মূল্য (intrinsic value) নির্ধারণ করে, যা বাস্তব আর্থিক ভিত্তির ওপর দাঁড়ানো।
-
এই মডেল বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করে বুঝতে যে, কোনো শেয়ার অতিমূল্যায়িত (overvalued) না অবমূল্যায়িত (undervalued)।

0
Updated: 2 days ago
অপারেটিং লিভারেজ কী পরিমাপ করে?
Created: 2 days ago
A
ব্যবসায়ীক ঝুঁকি
B
আর্থিক ঝুঁকি
C
উৎপাদন ঝুঁকি
D
তারল্য ঝুঁকি
অপারেটিং লিভারেজ (Operating Leverage) এমন একটি ধারণা যা একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক ঝুঁকি (Business Risk) পরিমাপ করে। এটি দেখায় বিক্রয় পরিমাণে সামান্য পরিবর্তন হলে মুনাফায় কতটা প্রভাব পড়ে। স্থায়ী ব্যয় যত বেশি, অপারেটিং লিভারেজ তত বেশি হয়, ফলে বিক্রয় কমলে ক্ষতির পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং বিক্রয় বাড়লে মুনাফা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
-
অপারেটিং লিভারেজ বেশি হলে কোম্পানির ব্যবসায়িক ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি হয়, কারণ বিক্রয়ের পরিবর্তনে আয় এবং মুনাফা উভয়েই বড় ওঠানামা করে।
-
এটি মূলত স্থায়ী ব্যয় (Fixed Cost) ও চলতি ব্যয় (Variable Cost)-এর অনুপাতের উপর নির্ভর করে।
-
অপারেটিং লিভারেজ = অবদান মার্জিন / অপারেটিং আয়, যা আয়ের প্রতি বিক্রয় পরিবর্তনের সংবেদনশীলতা নির্ধারণ করে।
-
আর্থিক ঝুঁকি (Financial Risk): এটি Financial Leverage দ্বারা পরিমাপ করা হয়, যা ঋণ ব্যবহারের কারণে কোম্পানির সুদ প্রদানের বাধ্যবাধকতা থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিকে বোঝায়।
-
উৎপাদন ঝুঁকি (Production Risk): উৎপাদন প্রক্রিয়ার অনিশ্চয়তা, যেমন যন্ত্রপাতির ত্রুটি, কাঁচামালের ঘাটতি বা শ্রম অদক্ষতা ইত্যাদিকে নির্দেশ করে।
-
তারল্য ঝুঁকি (Liquidity Risk): এটি তখন ঘটে যখন কোম্পানি তার স্বল্পমেয়াদি দায়সমূহ নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়।
-
সারসংক্ষেপে, অপারেটিং লিভারেজ বিক্রয় পরিবর্তনের প্রভাবে মুনাফার ওঠানামা পরিমাপ করে এবং এটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক স্থিতিশীলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক।

0
Updated: 2 days ago
কোন ধরনের চক্রবৃদ্ধিতে বিনিয়োগ করলে ভবিষ্যৎ মূল্য সর্বাধিক হয়?
Created: 2 days ago
A
বার্ষিক
B
ষান্মাসিক
C
ত্রৈমাসিক
D
মাসিক
চক্রবৃদ্ধি হারে (Compound Interest) সুদ গণনার ক্ষেত্রে মাসিক চক্রবৃদ্ধি (Monthly Compounding) সর্বাধিক ভবিষ্যৎ মূল্য প্রদান করে, কারণ সুদ যত ঘন ঘন মূলধনের সাথে যোগ হয়, তত দ্রুত মোট পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
বিস্তারিতভাবে বলা যায়ঃ
-
চক্রবৃদ্ধি সুদের মূল ধারণা হলো—প্রতিবার অর্জিত সুদকে মূলধনের সাথে যোগ করে পরবর্তী সময়ে তার ওপর আবার সুদ হিসাব করা।
-
যখন সুদ বেশিবার সংযোজন করা হয়, তখন পরবর্তী সময়ের জন্য মূলধন ক্রমশ বাড়তে থাকে, ফলে Future Value (FV) সর্বাধিক হয়।
-
বার্ষিক (Annual): বছরে ১ বার সুদ সংযোজন → সুদের প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম।
-
ষাণ্মাসিক (Semi-annual): বছরে ২ বার সংযোজন → কিছুটা বেশি বৃদ্ধি।
-
ত্রৈমাসিক (Quarterly): বছরে ৪ বার সংযোজন → আরও দ্রুত বৃদ্ধি।
-
মাসিক (Monthly): বছরে ১২ বার সংযোজন → সবচেয়ে দ্রুত ও বেশি সুদ অর্জিত হয়।
-
এর ফলে, একই হার ও মেয়াদের ক্ষেত্রে মাসিক চক্রবৃদ্ধিতে বিনিয়োগের Future Value সর্বাধিক হয়, যা বিনিয়োগকারীর জন্য সবচেয়ে লাভজনক বিকল্প।

0
Updated: 2 days ago