কোনটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ?
A
সাধারণ শেয়ার
B
ডিবেঞ্চার
C
অগ্রাধিকার শেয়ার
D
বন্ড
উত্তরের বিবরণ
সাধারণ শেয়ার (Common Share) হলো সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগের একটি রূপ, কারণ এতে বিনিয়োগকারীর লাভ বা মূলধন ফেরতের কোনো নিশ্চয়তা থাকে না। কোম্পানির আর্থিক অবস্থা ও মুনাফার উপর নির্ভর করে শেয়ারহোল্ডারদের রিটার্ন প্রদান করা হয়।
-
ডিবেঞ্চার, বন্ড ও অগ্রাধিকার শেয়ারধারীরা নির্দিষ্ট হারে সুদ বা লভ্যাংশ পাওয়ার অধিকারী, কিন্তু সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা তা পান শুধুমাত্র কোম্পানি লাভ করলে।
-
কোম্পানি লোকসানে গেলে সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা কোনো লভ্যাংশ পান না, বরং তাদের বিনিয়োগের মূল্যও কমে যেতে পারে।
-
কোম্পানি বন্ধ হলে সম্পদ বিক্রির পর সর্বশেষে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের অর্থ ফেরত দেওয়া হয়, তাই তাদের ঝুঁকি সর্বাধিক।
-
তবে ঝুঁকি বেশি হলেও, কোম্পানি ভালো করলে সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা সর্বোচ্চ লাভের সম্ভাবনা পান, যা এই বিনিয়োগের আকর্ষণীয় দিক।

0
Updated: 2 days ago
একটি ব্যাংকের নিকট উত্তম জামানত কোনটি?
Created: 2 days ago
A
স্থায়ী আমানত রশিদ
B
ঋণপত্র
C
শেয়ার
D
ব্যাক্তিগত গ্যারান্টি
একটি স্থায়ী আমানত রশিদ (Fixed Deposit Receipt - FDR) ব্যাংকের কাছে সবচেয়ে বিশ্বস্ত ও নিরাপদ জামানত, কারণ এটি সরাসরি ব্যাংক কর্তৃক ইস্যু করা একটি নিশ্চিত আমানত, যা সহজে নগদায়নযোগ্য এবং ঋণ পরিশোধের নিশ্চয়তা প্রদান করে। এর মাধ্যমে ব্যাংক খুব দ্রুত অর্থ উদ্ধার করতে পারে, ফলে ঝুঁকি প্রায় শূন্য থাকে।
-
ঋণপত্র (Promissory Note): এটি একটি লিখিত দলিল যেখানে ঋণগ্রহীতা নির্দিষ্ট সময়ে অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে এটি নগদায়নের জন্য অতিরিক্ত আইনি প্রক্রিয়ার প্রয়োজন হতে পারে এবং এর নিরাপত্তা ঋণগ্রহীতার আর্থিক অবস্থার উপর নির্ভর করে।
-
শেয়ার (Shares): শেয়ারের বাজারমূল্য ক্রমাগত পরিবর্তিত হয়, তাই এটি একটি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জামানত। শেয়ারের দাম হঠাৎ কমে গেলে ব্যাংকের ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি হয়।
-
ব্যক্তিগত গ্যারান্টি (Personal Guarantee): এটি একটি প্রতিশ্রুতি মাত্র—ঋণগ্রহীতা ব্যর্থ হলে অন্য কেউ ঋণ পরিশোধ করবে। কিন্তু গ্যারান্টর নিজে আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে গেলে এটি কোনো কার্যকর নিরাপত্তা হিসেবে কাজ করে না।
সুতরাং, প্রদত্ত বিকল্পগুলোর মধ্যে স্থায়ী আমানত রশিদ (FDR)-ই ব্যাংকের কাছে সবচেয়ে নিরাপদ ও সহজে নগদায়নযোগ্য জামানত।

0
Updated: 2 days ago
'Proximate Cause' এর নীতি কোথায় প্রযোজ্য?
Created: 2 days ago
A
বীমার মূল্য নির্ধারনে
B
ক্ষতির প্রকৃত কারন নির্ধারনে
C
ক্ষতির বাজার মূল্য নির্ধারনে
D
বীমার শর্ত পুরনে
বীমায় ‘Proximate Cause’ নীতিটি মূলত ক্ষতির আসল বা নিকটতম কারণ নির্ধারণের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই নীতি বলে, ক্ষতিপূরণের দাবি তখনই গ্রহণযোগ্য হবে যখন ক্ষতির মূল কারণটি বীমা পলিসির আওতাভুক্ত থাকে। অর্থাৎ, বীমাকারী প্রতিষ্ঠান ক্ষতির দূরবর্তী বা পরোক্ষ কারণ নয়, বরং সরাসরি ও প্রধান কারণটি বিবেচনা করে দাবি মঞ্জুর বা বাতিল করে।
-
ক্ষতির নিকটতম কারণ (Proximate Cause) হলো সেই প্রধান কারণ যা থেকে ক্ষতির সূত্রপাত হয়।
-
যদি ক্ষতির কারণটি পলিসিতে আবৃত (covered) থাকে, তবে দাবি গ্রহণযোগ্য হবে।
-
যদি কারণটি পলিসিতে আবৃত না থাকে, তবে দাবি অগ্রহণযোগ্য হবে।
-
এটি ক্ষতির বাজারমূল্য নির্ধারণ (Loss Assessment) এর সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
-
এটি Rate নির্ধারণ বা Policy Compliance সম্পর্কেও নয়।
-
এই নীতির উদ্দেশ্য শুধুমাত্র ক্ষতির প্রকৃত উৎস বা মূল কারণ শনাক্ত করা।

0
Updated: 2 days ago
ঋণ ৭ মাস অপরিশোধিত থাকলে তাকে বলে
Created: 2 days ago
A
সাব-স্ট্যান্ডার্ড
B
স্ট্যান্ডার্ড -২
C
সন্দেহজনক
D
কৃঋণ
যখন কোনো ঋণগ্রহীতা নির্ধারিত সময়ে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়, তখন সেই ঋণকে শ্রেণিবদ্ধ করা হয় তার অবশিষ্ট সময়কাল অনুযায়ী। এই শ্রেণিবিন্যাস ব্যাংকিং খাতে ঋণের মান নির্ধারণ ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
Continuous Loan এর ক্ষেত্রে:
-
৩ – <৬ মাস বকেয়া থাকলে সেটি Sub-standard ধরা হয়।
-
৬ – <৯ মাস হলে Doubtful শ্রেণিতে পড়ে।
-
≥৯ মাস হলে সেটি Bad/Loss হিসেবে গণ্য হয়।
-
সুতরাং, ৭ মাস বকেয়া থাকা Continuous Loan হবে Doubtful।
-
-
Demand Loan এর ক্ষেত্রেও একই শ্রেণিবিন্যাস প্রযোজ্য:
-
৩ – <৬ মাস ⇒ Sub-standard
-
৬ – <৯ মাস ⇒ Doubtful
-
≥৯ মাস ⇒ Bad/Loss
-
তাই ৭ মাস বকেয়া থাকা Demand Loan-ও Doubtful হিসেবে গণ্য হবে।
-

0
Updated: 2 days ago