বাগযন্ত্রের অংশ কোনটি?
A
স্বরযন্ত্র
B
ফুসফুস
C
দাঁত
D
উপরের সবকটি
উত্তরের বিবরণ
বাগ্যন্ত্র: ধ্বনি উচ্চারণ করতে যেসব প্রত্যঙ্গ কাজে লাগে, সেগুলোকে একত্রে বাগ্যন্ত্র বলে।
মানবদেহের উপরিভাগে অবস্থিত ফুসফুস থেকে শুরু করে ঠোঁট পর্যন্ত ধ্বনি উৎপাদনে ব্যবহৃত প্রতিটি প্রত্যঙ্গই বাগ্যন্ত্রের অন্তর্ভূক্ত।
বাগ্যন্ত্রের অংশসমূহ হলো:
১. ফুসফুস,
২. শ্বাসনালি,
৩. স্বরযন্ত্র,
৪. জিভ,
৫. আলজিভ,
৬. তালু,
৭. মূর্ধা,
৮. দন্তমূল,
৯. ওষ্ঠ,
১০. নাসিকা
১১. দাঁত ইত্যাদি।
0
Updated: 3 months ago
ধ্বনি ও বর্ণের পার্থক্য কোথায়?
Created: 2 weeks ago
A
লেখার ধরনে
B
উচ্চারনের বিশিষ্টতায়
C
সংখ্যাগত পরিমানে
D
ইন্দ্রিয় গ্রাহ্যে
ধ্বনি ও বর্ণ বাংলা ব্যাকরণে দুটি স্বতন্ত্র ধারণা, যাদের মূল পার্থক্য তাদের প্রকৃতি এবং ইন্দ্রিয়গ্রাহ্যতার মধ্যে নিহিত। ধ্বনি শ্রুতিগ্রাহ্য, আর বর্ণ দৃষ্টিগ্রাহ্য। নিচে এই পার্থক্য স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হলো।
ধ্বনি:
-
এটি মুখ থেকে উচ্চারিত শব্দ বা কথনের একক।
-
কান দিয়ে শোনা যায়, অর্থাৎ এটি শ্রুতিগ্রাহ্য।
-
ভাষার মৌখিক রূপের অংশ এবং উচ্চারণের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
-
উদাহরণ: ‘ক’ বা ‘আ’ ধ্বনি উচ্চারণের সময় শ্রুতিগোচর হয়।
-
ভাষাভেদে ধ্বনির সংখ্যা ও প্রকৃতি ভিন্ন হতে পারে।
বর্ণ:
-
এটি ধ্বনির লিখিত প্রতীক বা চিহ্ন।
-
চোখ দিয়ে দেখা যায়, অর্থাৎ এটি দৃষ্টিগ্রাহ্য।
-
বাংলা বর্ণমালায় স্বরবর্ণ (অ, আ, ই) ও ব্যঞ্জনবর্ণ (ক, খ, গ) উভয়ই রয়েছে, যা ধ্বনিকে লিখিত রূপে প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ: আমরা যখন ‘ক’ উচ্চারণ করি, তখন তা ধ্বনি; কিন্তু লিখলে ‘ক’ তখন তা বর্ণ।
এই বিশ্লেষণ থেকে বোঝা যায়, ধ্বনি ও বর্ণের পার্থক্যের মূল ভিত্তি হলো ইন্দ্রিয়গ্রাহ্যতা, অর্থাৎ একটির উৎস শ্রবণেন্দ্রিয় আর অন্যটির দৃষ্টিেন্দ্রিয়।
0
Updated: 2 weeks ago
এক প্রয়াসে উচ্চারিত ধ্বনি সমষ্টিকে কী বলে?
Created: 4 weeks ago
A
বর্ণ
B
অক্ষর
C
শব্দ
D
লিপি
অক্ষর হলো বাগযন্ত্রের ক্ষুদ্রতম প্রয়াসে উচ্চারিত ধ্বনি বা শব্দাংশ। ইংরেজিতে এটিকে syllable বলা হয়।
-
প্রকারভেদ:
-
মুক্তাক্ষর: টানা যায় না, যেমন ক/লা।
-
বদ্ধাক্ষর: টানা যায়, যেমন দিন, রাত।
-
-
উদাহরণ: 'বাংলাদেশ' শব্দে ৩টি অক্ষর রয়েছে: বাং + লা + দেশ।
-
অক্ষর নির্ধারণের নিয়ম: শব্দে যতগুলো কার আছে এবং এক সঙ্গে উচ্চারিত শব্দাবলীর সংখ্যা মিলে অক্ষর সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়।
0
Updated: 4 weeks ago
উচ্চারণস্থান অনুসারে 'র, ল, স' কোন ধরনের ধ্বনি?
Created: 2 months ago
A
দন্তমূলীয় ধ্বনি
B
জিহ্বামূলীয় ধ্বনি
C
তালব্য ধ্বনি
D
মূর্ধন্য ধ্বনি
যেসব ধ্বনি উচ্চারণ করতে হলে জিভের ডগা উপরের পাটির দাঁতের গোড়ার (দন্তমূলের) সঙ্গে লাগে, সেগুলোকে দন্তমূলীয় ধ্বনি বলে।
উদাহরণ: ন, র, ল, স
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১-সংস্করণ)
0
Updated: 2 months ago