ক্ষুদ্র ঋণের সামাজিক দায়িত্ব বলতে বুঝায় -
A
সর্বসাধারনকে ঋণদান
B
গ্রাহক ও সর্বসাধারনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী কল্যান সাধন
C
সঞ্চয় সংগ্রহ বাড়ানো
D
সামাজিক অনুষ্ঠানে অর্থায়ন করা
উত্তরের বিবরণ
ক্ষুদ্র ঋণের সামাজিক দায়িত্ব এমন একটি ধারণা, যার উদ্দেশ্য শুধু ঋণ প্রদান নয় বরং গ্রাহক ও সমাজের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করা। এটি আর্থিক অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়নের একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
পয়েন্ট আকারে ব্যাখ্যা:
-
ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হতে সহায়তা করা হয়।
-
এর লক্ষ্য হলো শুধু মুনাফা অর্জন নয়, বরং গ্রাহকের জীবনমান উন্নত করা এবং সমাজে দারিদ্র্য হ্রাসে ভূমিকা রাখা।
-
এই কার্যক্রমে গ্রাহকদের সচেতনতা বৃদ্ধি, দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা সৃষ্টির দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়।
-
দীর্ঘমেয়াদে এটি সামাজিক ন্যায়বিচার ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
-
তাই ক্ষুদ্র ঋণের সামাজিক দায়িত্ব বলতে বোঝায় গ্রাহক ও সর্বসাধারণের জন্য দীর্ঘমেয়াদী কল্যাণ সাধন, যা অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক অগ্রগতিও নিশ্চিত করে।

0
Updated: 2 days ago
অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলে দেশীয় মুদ্রার দাম কমলে বিদেশে দেশীয় পণ্যের চাহিদা
Created: 2 days ago
A
কমে
B
বাড়ে
C
স্থিতিশীল থাকে
D
কোনো প্রভাব পড়ে না
যখন কোনো দেশের মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঘটে, তখন সেই দেশের পণ্যের দাম বিদেশিদের কাছে তুলনামূলকভাবে কমে যায়, ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে তা সুবিধাজনক প্রভাব ফেলে।
-
দেশীয় মুদ্রার দাম কমে গেলে, দেশীয় পণ্য বিদেশি ক্রেতাদের জন্য সস্তা হয়ে যায়।
-
এর ফলে দেশীয় পণ্যের রপ্তানি বাড়ে, কারণ বিদেশি ক্রেতারা কম দামে পণ্য কিনতে আগ্রহী হয়।
-
অপরদিকে, বিদেশি পণ্য দেশীয় বাজারে তুলনামূলকভাবে দামি হয়ে যায়, যার ফলে আমদানি কমে যায়।
-
এভাবে মুদ্রার অবমূল্যায়ন রপ্তানি উৎসাহিত করে এবং আমদানি নিরুৎসাহিত করে, যা দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সাহায্য করে।

0
Updated: 2 days ago
অপারেটিং লিভারেজ কী পরিমাপ করে?
Created: 2 days ago
A
ব্যবসায়ীক ঝুঁকি
B
আর্থিক ঝুঁকি
C
উৎপাদন ঝুঁকি
D
তারল্য ঝুঁকি
অপারেটিং লিভারেজ (Operating Leverage) এমন একটি ধারণা যা একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক ঝুঁকি (Business Risk) পরিমাপ করে। এটি দেখায় বিক্রয় পরিমাণে সামান্য পরিবর্তন হলে মুনাফায় কতটা প্রভাব পড়ে। স্থায়ী ব্যয় যত বেশি, অপারেটিং লিভারেজ তত বেশি হয়, ফলে বিক্রয় কমলে ক্ষতির পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং বিক্রয় বাড়লে মুনাফা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
-
অপারেটিং লিভারেজ বেশি হলে কোম্পানির ব্যবসায়িক ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি হয়, কারণ বিক্রয়ের পরিবর্তনে আয় এবং মুনাফা উভয়েই বড় ওঠানামা করে।
-
এটি মূলত স্থায়ী ব্যয় (Fixed Cost) ও চলতি ব্যয় (Variable Cost)-এর অনুপাতের উপর নির্ভর করে।
-
অপারেটিং লিভারেজ = অবদান মার্জিন / অপারেটিং আয়, যা আয়ের প্রতি বিক্রয় পরিবর্তনের সংবেদনশীলতা নির্ধারণ করে।
-
আর্থিক ঝুঁকি (Financial Risk): এটি Financial Leverage দ্বারা পরিমাপ করা হয়, যা ঋণ ব্যবহারের কারণে কোম্পানির সুদ প্রদানের বাধ্যবাধকতা থেকে উদ্ভূত ঝুঁকিকে বোঝায়।
-
উৎপাদন ঝুঁকি (Production Risk): উৎপাদন প্রক্রিয়ার অনিশ্চয়তা, যেমন যন্ত্রপাতির ত্রুটি, কাঁচামালের ঘাটতি বা শ্রম অদক্ষতা ইত্যাদিকে নির্দেশ করে।
-
তারল্য ঝুঁকি (Liquidity Risk): এটি তখন ঘটে যখন কোম্পানি তার স্বল্পমেয়াদি দায়সমূহ নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়।
-
সারসংক্ষেপে, অপারেটিং লিভারেজ বিক্রয় পরিবর্তনের প্রভাবে মুনাফার ওঠানামা পরিমাপ করে এবং এটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক স্থিতিশীলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক।

0
Updated: 2 days ago
'Proximate Cause' এর নীতি কোথায় প্রযোজ্য?
Created: 2 days ago
A
বীমার মূল্য নির্ধারনে
B
ক্ষতির প্রকৃত কারন নির্ধারনে
C
ক্ষতির বাজার মূল্য নির্ধারনে
D
বীমার শর্ত পুরনে
বীমায় ‘Proximate Cause’ নীতিটি মূলত ক্ষতির আসল বা নিকটতম কারণ নির্ধারণের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই নীতি বলে, ক্ষতিপূরণের দাবি তখনই গ্রহণযোগ্য হবে যখন ক্ষতির মূল কারণটি বীমা পলিসির আওতাভুক্ত থাকে। অর্থাৎ, বীমাকারী প্রতিষ্ঠান ক্ষতির দূরবর্তী বা পরোক্ষ কারণ নয়, বরং সরাসরি ও প্রধান কারণটি বিবেচনা করে দাবি মঞ্জুর বা বাতিল করে।
-
ক্ষতির নিকটতম কারণ (Proximate Cause) হলো সেই প্রধান কারণ যা থেকে ক্ষতির সূত্রপাত হয়।
-
যদি ক্ষতির কারণটি পলিসিতে আবৃত (covered) থাকে, তবে দাবি গ্রহণযোগ্য হবে।
-
যদি কারণটি পলিসিতে আবৃত না থাকে, তবে দাবি অগ্রহণযোগ্য হবে।
-
এটি ক্ষতির বাজারমূল্য নির্ধারণ (Loss Assessment) এর সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
-
এটি Rate নির্ধারণ বা Policy Compliance সম্পর্কেও নয়।
-
এই নীতির উদ্দেশ্য শুধুমাত্র ক্ষতির প্রকৃত উৎস বা মূল কারণ শনাক্ত করা।

0
Updated: 2 days ago