উপযুক্ত মূলধন মিশ্রন নির্ধারনের ক্ষেত্রে ফার্মের জন্য শুরু বিন্দু হলো
A
সাধারন ইক্যুইটির ব্যয়
B
বর্তমান মূলধন কাঠামো
C
সর্বোত্তম মূলধন কাঠামো
D
ঋণের কর পরবর্তী খরচ
উত্তরের বিবরণ
কোনো ফার্মের উপযুক্ত মূলধন মিশ্রণ নির্ধারণের সূচনাবিন্দু হলো তার বর্তমান মূলধন কাঠামো, অর্থাৎ ফার্মটির বর্তমান ঋণ ও ইক্যুইটির অনুপাত। এই বিদ্যমান কাঠামোই ভবিষ্যতে মূলধনের ভারসাম্য ও খরচ বিশ্লেষণের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
-
বর্তমান মূলধন কাঠামো ফার্মের আর্থিক অবস্থান, ঋণনির্ভরতা ও শেয়ারহোল্ডারদের ইক্যুইটি অংশ নির্দেশ করে।
-
ফার্ম এই কাঠামো বিশ্লেষণ করে দেখে, কীভাবে ঋণ ও ইক্যুইটির অনুপাত পরিবর্তন করলে মূলধনের খরচ কমানো ও মুনাফা বৃদ্ধি করা যায়।
-
সর্বোত্তম মূলধন কাঠামো (Optimal Capital Structure) হলো এমন একটি ভারসাম্য, যেখানে ফার্মের মূলধনের খরচ সর্বনিম্ন এবং শেয়ারহোল্ডারদের সম্পদ সর্বাধিক হয়।
-
বর্তমান কাঠামো থেকে শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি অতীত সিদ্ধান্ত, বাজারের অবস্থা ও ফার্মের ঝুঁকি প্রোফাইলের প্রতিফলন বহন করে।
-
এই প্রক্রিয়ায় ফার্ম ঋণ, ইক্যুইটি, সুদের হার ও মুনাফা বিশ্লেষণ করে ধাপে ধাপে কাঠামো উন্নত করে, যা দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে।

0
Updated: 2 days ago
মোট আমানত ও তরল সম্পদের মধ্যে ব্যাংকগুলোকে যে নির্দিষ্ট অনুপাত মেনে চলতে হয়, তা হলো
Created: 2 days ago
A
CRR
B
SLR
C
CLR
D
CAR
বাংলাদেশের ব্যাংক ব্যবস্থায় SLR (Statutory Liquidity Ratio) হলো এমন একটি অনুপাত, যেখানে ব্যাংকগুলোকে তাদের মোট আমানতের একটি নির্দিষ্ট অংশ নগদ টাকা, সোনা বা সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করে রাখতে হয়। এর উদ্দেশ্য হলো ব্যাংকের তারল্য নিশ্চিত করা এবং আমানতকারীদের অর্থ ফেরত প্রদানে সক্ষমতা বজায় রাখা।
-
SLR (Statutory Liquidity Ratio): ব্যাংকগুলোকে তাদের মোট আমানতের একটি নির্দিষ্ট শতাংশ নগদ অর্থ, সোনা বা সরকারি সিকিউরিটিজে সংরক্ষণ করতে হয়, যাতে প্রয়োজনের সময় তাৎক্ষণিক অর্থ প্রদান সম্ভব হয়।
-
CRR (Cash Reserve Ratio): ব্যাংকগুলোকে তাদের মোট আমানতের একটি নির্দিষ্ট অংশ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখতে হয়, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে থাকে।
-
CAR (Capital Adequacy Ratio): এটি একটি ব্যাংকের মূলধন পর্যাপ্ততা অনুপাত, যা ব্যাংকের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে কত মূলধন রয়েছে তা নির্দেশ করে। এটি ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা ও ঝুঁকি সহনশীলতার পরিমাপক।
-
CLR: এটি কোনো স্বীকৃত বা প্রচলিত ব্যাংকিং অনুপাত নয়, তাই এর কোনো মান বা সংজ্ঞা ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ব্যবহৃত হয় না।
-
SLR, CRR এবং CAR — এই তিনটি সূচক ব্যাংকের আর্থিক নিরাপত্তা, তারল্য ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 2 days ago
BFIU এর পূর্ণ রূপ কি?
Created: 2 days ago
A
Bangladesh Financial Internal Unit
B
Bangladesh Financial Intelligence Unit
C
Bangladesh Financial Investigation Unit
D
Bangladesh Financial inspection Unit
BFIU বা Bangladesh Financial Intelligence Unit হলো বাংলাদেশের একটি স্বতন্ত্র আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা, যা মানি লন্ডারিং (Money Laundering), সন্ত্রাসী অর্থায়ন (Terrorist Financing) এবং গণবিধ্বংসী অস্ত্রের বিস্তারে অর্থায়ন (Financing of Weapons of Mass Destruction) প্রতিরোধে কাজ করে। এটি দেশের আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
BFIU-এর কার্যক্রম মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এবং সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এর আওতায় পরিচালিত হয়।
-
এটি পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে Anti-Money Laundering Department (AMLD) নামে পরিচিত ছিল, পরে স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য পুনর্গঠিত হয়।
-
BFIU বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য রিপোর্টিং সংস্থা থেকে সন্দেহজনক লেনদেন (Suspicious Transaction Reports - STR) ও সন্দেহজনক কার্যক্রম রিপোর্ট (Suspicious Activity Reports - SAR) সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে।
-
এই সংস্থা প্রয়োজনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে তথ্য বিনিময় ও সহযোগিতা করে অপরাধমূলক অর্থ প্রবাহ শনাক্ত ও দমন করে।
-
এটি আন্তর্জাতিকভাবে Egmont Group of Financial Intelligence Units-এর সদস্য, যার মাধ্যমে BFIU বৈশ্বিক পর্যায়ে তথ্য ও গোয়েন্দা সহযোগিতা করে।
-
সারসংক্ষেপে, BFIU দেশের অর্থনৈতিক অপরাধ দমন, আর্থিক নিরাপত্তা রক্ষা ও বৈশ্বিক আর্থিক মানদণ্ড বজায় রাখার অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান।

0
Updated: 2 days ago
কোন ক্ষেত্রে প্রসপেকটাসের প্রয়োজন হয় না?
Created: 2 days ago
A
প্রাইভেট প্লেসমেন্ট
B
আইপিও
C
রাইট ইস্যু
D
কোনটিই নয়
প্রাইভেট প্লেসমেন্ট (Private Placement) হলো এমন একটি পদ্ধতি যেখানে কোনো কোম্পানি সাধারণ জনগণের পরিবর্তে নির্দিষ্ট ও সীমিত সংখ্যক বিনিয়োগকারীর কাছে সরাসরি শেয়ার বা সিকিউরিটিজ বিক্রি করে। এই কারণে এ ধরনের অফারে প্রসপেক্টাস প্রকাশের প্রয়োজন হয় না, কারণ এখানে জনসাধারণের অংশগ্রহণ থাকে না।
পয়েন্টগুলো নিম্নরূপ
-
প্রাইভেট প্লেসমেন্ট সাধারণত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, উচ্চ সম্পদসম্পন্ন ব্যক্তি বা নির্দিষ্ট পার্টনারদের কাছে সীমাবদ্ধ থাকে।
-
এতে আইনি প্রক্রিয়া অপেক্ষাকৃত সহজ ও দ্রুত, কারণ জনসাধারণের কাছে বিজ্ঞপ্তি বা প্রসপেক্টাস প্রকাশের প্রয়োজন হয় না।
-
অন্যদিকে, IPO (Initial Public Offering) হলো কোম্পানির প্রথমবারের মতো জনসাধারণের কাছে শেয়ার বিক্রয়, যেখানে প্রসপেক্টাস প্রকাশ বাধ্যতামূলক। এতে কোম্পানির আর্থিক অবস্থা, ঝুঁকি, ব্যবসার প্রকৃতি ইত্যাদি বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করতে হয়।
-
রাইট ইস্যু (Right Issue)-এর ক্ষেত্রেও প্রসপেক্টাস প্রয়োজন হয়, কারণ এটি বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের কাছে নতুন শেয়ার ইস্যু করার প্রক্রিয়া, যেখানে তাদের বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য পূর্ণ তথ্য সরবরাহ করতে হয়।
-
এইভাবে, প্রাইভেট প্লেসমেন্ট ও আইপিও/রাইট ইস্যুর মধ্যে মূল পার্থক্য হলো জনসাধারণের অংশগ্রহণ ও তথ্য প্রকাশের বাধ্যবাধকতা।

0
Updated: 2 days ago