যে বিনিয়োগকারী ঝুঁকি নিতে চায় সে কোন সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করবে?
A
সাধারণ শেয়ার
B
অগ্রাধিকার শেয়ার
C
বন্ড
D
ডিবেঞ্চার
উত্তরের বিবরণ
যে বিনিয়োগকারী উচ্চ ঝুঁকি নিতে ইচ্ছুক, সে সাধারণত সাধারণ শেয়ারে (Ordinary Shares) বিনিয়োগ করে। কারণ এই শেয়ারগুলোতে লাভের সম্ভাবনা বেশি হলেও ক্ষতির ঝুঁকিও বেশি, এবং কোম্পানির আর্থিক অবস্থা বা বাজার পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে লভ্যাংশ প্রদানে অনিশ্চয়তা থাকে।
-
সাধারণ শেয়ারধারীরা কোম্পানির প্রকৃত মালিক হিসেবে ভোটাধিকার পায়, তবে কোম্পানি বিলুপ্ত হলে তাদের দাবি সবার শেষে পরিশোধ করা হয়।
-
কোম্পানি লাভ করলেও লভ্যাংশ প্রদানের কোনো নিশ্চয়তা থাকে না, কারণ এটি পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে।
-
অন্যদিকে, অগ্রাধিকার শেয়ার (Preference Shares) নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ প্রদান নিশ্চিত করে, এবং কোম্পানি বিলুপ্ত হলে তাদের দাবি সাধারণ শেয়ারধারীদের আগে মেটানো হয়।
-
বন্ড ও ডিবেঞ্চার হলো ঋণপত্র, যা নির্দিষ্ট সুদের হারে আয় প্রদান করে এবং মূলধন ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তা বেশি থাকে।
-
তাই ঝুঁকিপ্রবণ বিনিয়োগকারীরা সাধারণ শেয়ার পছন্দ করেন, আর ঝুঁকি এড়াতে ইচ্ছুক বিনিয়োগকারীরা অগ্রাধিকার শেয়ার, বন্ড বা ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হন।

0
Updated: 2 days ago
পরস্পর বর্জনশীল প্রকল্পে NPV ও IRR মধ্যে সংঘাতের কারণ হচ্ছে
Created: 2 days ago
A
প্রকল্পের আকারগত পার্থক্য
B
প্রকল্পের আয়ুষ্কাল সংক্রান্ত পার্থক্য
C
নগদান প্রবাহের প্যাটার্ন এর পার্থক্য
D
সবগুলো
পরস্পর বর্জনশীল (Mutually Exclusive) প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে NPV (Net Present Value) এবং IRR (Internal Rate of Return) পদ্ধতির সিদ্ধান্তে মাঝে মাঝে পার্থক্য দেখা দেয়, কারণ এরা ভিন্নভাবে নগদ প্রবাহ ও সময়কে বিবেচনা করে। এই সংঘাত সাধারণত প্রকল্পের আকার, সময়কাল এবং নগদ প্রবাহের ধরনে পার্থক্য থাকলে ঘটে।
-
আকারগত পার্থক্য: প্রকল্পগুলোর প্রাথমিক বিনিয়োগের পরিমাণ যদি ভিন্ন হয়, তাহলে বড় প্রকল্পে NPV বেশি দেখাতে পারে, আর ছোট প্রকল্পে IRR বেশি হতে পারে, ফলে সিদ্ধান্তে অমিল হয়।
-
আয়ুষ্কাল সংক্রান্ত পার্থক্য: প্রকল্পগুলোর মেয়াদ বা সময়কাল ভিন্ন হলে নগদ প্রবাহের ডিসকাউন্টিং প্রভাবও ভিন্ন হয়, যার ফলে NPV ও IRR এর মূল্যায়নে পার্থক্য আসে।
-
নগদ প্রবাহের প্যাটার্ন পার্থক্য: যদি প্রকল্পগুলোর নগদ প্রবাহ সময় অনুযায়ী অনিয়মিত বা ভিন্ন ধরণের হয় (যেমন কিছু বছরে বেশি, কিছু বছরে কম), তাহলে দুই পদ্ধতি ভিন্ন ফলাফল দিতে পারে।
-
IRR পদ্ধতি আপেক্ষিক মুনাফার হার (percentage) পরিমাপ করে, আর NPV পদ্ধতি মোট অর্থমূল্যে (absolute value) লাভ দেখায়, যা পরস্পর বর্জনশীল প্রকল্পে ভিন্ন সিদ্ধান্তের কারণ হতে পারে।

0
Updated: 2 days ago
কোনটি ডেরিভেটিভ সিকিউরিটিজ এর উদাহরণ?
Created: 2 days ago
A
সোয়াপ
B
অপশনস
C
ফিউচার
D
উপরের সবগুলো
সোয়াপ, অপশনস এবং ফিউচার—এই তিনটি হলো ডেরিভেটিভ সিকিউরিটিজ, যেগুলোর মূল্য নির্ভর করে কোনো অন্তর্নিহিত সম্পদ (underlying asset) যেমন শেয়ার, বন্ড, মুদ্রা বা পণ্যের মূল্যের ওপর। এই আর্থিক যন্ত্রগুলো ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, মুনাফা অর্জন বা ভবিষ্যৎ মূল্য পরিবর্তনের পূর্বাভাসের জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
সোয়াপ (Swap): এটি একটি আর্থিক বিনিময় চুক্তি, যেখানে দুটি পক্ষ ভবিষ্যতের নগদ প্রবাহ বা দায়বদ্ধতা পরস্পরের মধ্যে বিনিময়ে সম্মত হয়। উদাহরণস্বরূপ, এক পক্ষ নির্দিষ্ট সুদের হারে পরিশোধ করে এবং অপর পক্ষ পরিবর্তনশীল সুদের হারে পরিশোধ করে।
-
অপশনস (Options): এটি এমন একটি চুক্তি, যা ক্রেতাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বা তার আগে একটি নির্দিষ্ট মূল্যে সম্পদ কেনা বা বিক্রির অধিকার প্রদান করে, তবে এটি বাধ্যবাধকতা নয়। দুই প্রকার অপশন আছে—Call Option (কেনার অধিকার) ও Put Option (বিক্রির অধিকার)।
-
ফিউচার (Futures): এটি একটি মানককৃত (standardized) চুক্তি, যা অনুযায়ী নির্দিষ্ট তারিখে, নির্দিষ্ট মূল্যে, নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ কেনা বা বিক্রি করা বাধ্যতামূলক। এটি সাধারণত স্টক এক্সচেঞ্জে ট্রেড করা হয়।
-
এই তিনটি যন্ত্রই মূলত হেজিং (hedging) ও স্পেকুলেশন (speculation) উভয় উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।
-
এগুলোর মূল্য সরাসরি অন্তর্নিহিত সম্পদের মূল্য পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত, তাই এগুলোকে ডেরিভেটিভ বলা হয়।

0
Updated: 2 days ago
Portfolio Diversification এর মাধ্যমে ঝুঁকি হ্রাস সম্ভব হয় যখন সিকিউরিটি সমূহের রিটার্ন
Created: 2 days ago
A
খুব বেশী হয়
B
ধনাত্মকভাবে সম্পর্কযুক্ত হয়
C
ঋণাত্মকভাবে সম্পর্কযুক্ত হয়
D
সম্পর্কহীন হয়
Portfolio Diversification এমন একটি বিনিয়োগ কৌশল, যেখানে বিভিন্ন ধরনের সিকিউরিটি (যেমন শেয়ার, বন্ড, ডিবেঞ্চার ইত্যাদি) একত্র করে একটি পোর্টফোলিও তৈরি করা হয়, যাতে বিনিয়োগের সামগ্রিক ঝুঁকি কমানো যায়। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর হয় যখন সিকিউরিটিগুলোর মধ্যে ঋণাত্মক সম্পর্ক (Negatively Correlated) থাকে, অর্থাৎ একটির রিটার্ন বাড়লে অন্যটির রিটার্ন কমে।
পয়েন্ট আকারে ব্যাখ্যা:
-
ঋণাত্মক সম্পর্ক (Negative Correlation) মানে হলো দুটি সিকিউরিটির রিটার্ন বিপরীতমুখীভাবে পরিবর্তিত হয়।
-
যদি একটি সিকিউরিটির দাম বাড়ে, অন্যটির দাম কমে, ফলে একটির ক্ষতি অন্যটির লাভ দ্বারা সমন্বিত (offset) হয়।
-
এই প্রক্রিয়ায় মোট ঝুঁকি কমে যায়, কারণ পোর্টফোলিওর সামগ্রিক অস্থিরতা (volatility) হ্রাস পায়।
-
Diversification বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার কার্যকর উপায়, যা একক সিকিউরিটির উপর নির্ভরতা কমায়।
-
সম্পূর্ণভাবে সম্পর্কহীন (uncorrelated) বা ঋণাত্মকভাবে সম্পর্কযুক্ত সম্পদের সমন্বয় পোর্টফোলিওর রিটার্ন স্থিতিশীল রাখে।
-
তাই আর্থিক দৃষ্টিকোণ থেকে, একটি সুষ্ঠু পোর্টফোলিও গঠনের জন্য ঋণাত্মকভাবে সম্পর্কযুক্ত সম্পদ নির্বাচন করা সর্বাধিক কার্যকর।

0
Updated: 2 days ago