Certainty Equivalent কৌশল দ্বারা ঝুঁকি সমন্বয় করা হয় কার সাথে?
A
নগদান প্রবাহ
B
বাট্টার হার
C
মূলধন ব্যয়
D
অভ্যন্তরীণ আয়ের হার
উত্তরের বিবরণ
Certainty Equivalent (CE) কৌশল হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকি সমন্বয় পদ্ধতি, যা বিনিয়োগ সিদ্ধান্তে নগদ প্রবাহের (Cash Flow) সাথে ব্যবহার করা হয়। এই কৌশলের উদ্দেশ্য হলো অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নগদ প্রবাহকে একটি নিশ্চিত সমমানের নগদ প্রবাহে রূপান্তর করা, যা বিনিয়োগকারী ঝুঁকি না নিয়ে গ্রহণ করতে রাজি থাকেন।
-
এই পদ্ধতিতে প্রতিটি ঝুঁকিপূর্ণ নগদ প্রবাহ একটি নিশ্চিত সমমূল্যের (Certainty Equivalent) মাধ্যমে প্রতিস্থাপিত হয়।
-
CE মান নির্ধারণের সময় ঝুঁকি-মুক্ত বাট্টার হার (Risk-Free Discount Rate) ব্যবহার করা হয়।
-
এর মাধ্যমে ভবিষ্যতের অনিশ্চিত আয়কে ঝুঁকি-মুক্ত বিনিয়োগের সমান মানে রূপান্তর করা যায়।
-
এই কৌশল ঝুঁকি পরিহারকারী বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষভাবে কার্যকর, কারণ এটি ঝুঁকি সমন্বিত বর্তমান মূল্য (Risk-Adjusted Present Value) নির্ধারণে সাহায্য করে।
-
ফলস্বরূপ, বিনিয়োগের প্রকৃত মূল্যায়ন আরও বাস্তবসম্মত ও নির্ভরযোগ্যভাবে করা সম্ভব হয়।

0
Updated: 2 days ago
কোনটি অর্থায়নের দীর্ঘমেয়াদী উৎস?
Created: 2 days ago
A
বাণিজ্যিক ঋণ
B
লিজিং
C
ক্ষুদ্র ঋণ
D
সবগুলো
লিজিং (Leasing) হলো একটি দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন পদ্ধতি, যেখানে কোনো প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সম্পদ (যেমন যন্ত্রপাতি, ভবন, যানবাহন ইত্যাদি) ব্যবহারের অধিকার ভাড়ার বিনিময়ে অর্জন করে। এতে প্রতিষ্ঠান সম্পদের মালিক না হলেও তার ব্যবহারিক সুবিধা পায়, এবং চুক্তির মেয়াদ সাধারণত কয়েক বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
-
বাণিজ্যিক ঋণ (Trade Credit): এটি একটি স্বল্পমেয়াদী অর্থায়ন ব্যবস্থা, যেখানে সরবরাহকারী পণ্য বা সেবা ক্রেতাকে ঋণ হিসেবে দেয় এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে (সাধারণত ৩০–৯০ দিনের মধ্যে) মূল্য পরিশোধের সুযোগ দেয়।
-
ক্ষুদ্র ঋণ (Microcredit): এটি দরিদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য স্বল্পমেয়াদী ঋণ, যার উদ্দেশ্য হলো তাদেরকে ক্ষুদ্র ব্যবসা ও স্বনির্ভর কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করা।
-
লিজিং-এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান বড় মূলধনী ব্যয় ছাড়াই সম্পদ ব্যবহার করতে পারে, যেখানে Trade Credit ও Microcredit তুলনামূলকভাবে স্বল্পমেয়াদি ও কার্যক্রমভিত্তিক অর্থায়ন প্রদান করে।

0
Updated: 2 days ago
ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় 'Gap Management' মূলত কোন ঝুঁকি নিয়ন্ত্রনে ব্যবহৃত হয়?
Created: 2 days ago
A
তারল্য ঝুঁকি
B
সুদ হার ঝুঁকি
C
ঋণ খেলাপি ঝুঁকি
D
বৈদেশিক মুদ্রা ঝুঁকি
গ্যাপ বিশ্লেষণ (Gap Analysis) ব্যাংকগুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ সুদহার সংবেদনশীলতা মূল্যায়ন পদ্ধতি, যেখানে ব্যাংক তার Assets ও Liabilities-কে মেয়াদভিত্তিকভাবে শ্রেণীবদ্ধ করে দেখে কোনগুলো Rate-sensitive (সুদের হারের পরিবর্তনে প্রভাবিত) এবং কোনগুলো নয়।
বিষয়টি নিম্নরূপভাবে ব্যাখ্যা করা যায়ঃ
-
ব্যাংক তাদের সম্পদ (Assets) ও দায় (Liabilities) বিভিন্ন মেয়াদে ভাগ করে—Rate-sensitive ও Non-rate-sensitive আইটেম হিসেবে।
-
প্রতিটি মেয়াদের জন্য Rate-sensitive Assets (RSA) এবং Rate-sensitive Liabilities (RSL)-এর মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করা হয়, যা Gap (RSA − RSL) নামে পরিচিত।
-
Positive Gap (RSA > RSL):
-
সুদের হার বৃদ্ধি পেলে ব্যাংকের আয় বাড়ে।
-
সুদের হার হ্রাস পেলে ব্যাংকের আয় কমে যায়, ফলে ক্ষতি হয়।
-
-
Negative Gap (RSA < RSL):
-
সুদের হার বৃদ্ধি পেলে ব্যাংকের ব্যয় বেড়ে যায়, অর্থাৎ ক্ষতি হয়।
-
সুদের হার হ্রাস পেলে ব্যাংকের লাভ বৃদ্ধি পায়।
-
-
এই বিশ্লেষণের মাধ্যমে ব্যাংক Interest Rate Risk নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং তাদের সম্পদ-দায় কাঠামোকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখতে পারে।

0
Updated: 2 days ago
একটি ব্যাংককে তার ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের বিপরীতে মোট কত শতাংশ মূলধন সংগ্রহ করতে হয়?
Created: 2 days ago
A
৯ শতাংশ
B
১০.৫০ শতাংশ
C
১২ শতাংশ
D
১২.৫০ শতাংশ
মৌলিক মূলধন (Regulatory Capital Requirement) হলো ব্যাংকের ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের বিপরীতে ন্যূনতম মূলধন রাখার বাধ্যবাধকতা, যা ব্যাংকিং স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। এখানে মূলধন দুটি স্তরে বিভক্ত—Tier-1 (Core Capital) এবং Tier-2 (Supplementary Capital)।
বিস্তারিতভাবে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা যায়ঃ
-
Tier-1 Capital: এতে থাকে শেয়ার মূলধন, রিটেইন্ড আর্নিংস এবং অন্যান্য মূলধন উপাদান যা ব্যাংকের স্থায়ী মূলধন কাঠামোর অংশ। এটি মূলত ক্ষতি শোষণের (Loss Absorption) জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
Tier-2 Capital: এতে অন্তর্ভুক্ত হয় রিজার্ভ, সাবঅর্ডিনেটেড ডেট ইত্যাদি যা মূলধনের পরিপূরক হিসেবে গণ্য হয়।
-
Capital Conservation Buffer (CCB): এটি একটি অতিরিক্ত মূলধন সুরক্ষা স্তর (২.৫%) যা ব্যাংককে আর্থিক চাপ বা সংকটের সময় স্থিতিশীল থাকতে সহায়তা করে।
-
সুতরাং, ব্যাংকের মোট মূলধন অনুপাত (Total Capital Ratio) হবে —
Tier-1 + Tier-2 (১০%) + Capital Conservation Buffer (২.৫%) = ১২.৫% -
অর্থাৎ, একটি ব্যাংককে তার মোট ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের বিপরীতে ন্যূনতম ১২.৫% মূলধন সংরক্ষণ করতে হয়, যাতে সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলা ও আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা যায়।

0
Updated: 2 days ago