নিচের কোন কৌশলটি অর্থের সময় মূল্যকে বিবেচনা করেনা
A
ARR
B
IRR
C
NPV
D
Profitability Index
উত্তরের বিবরণ
Accounting Rate of Return (ARR) এমন একটি পদ্ধতি যা শুধুমাত্র হিসাবরক্ষণভিত্তিক মুনাফার উপর নির্ভর করে এবং অর্থের সময় মূল্য (Time Value of Money) বিবেচনা করে না। অন্যদিকে, IRR, NPV এবং Profitability Index পদ্ধতিগুলো ভবিষ্যৎ নগদ প্রবাহকে বর্তমান মূল্যে রূপান্তর করে, তাই সেগুলো অর্থের সময় মূল্যকে অন্তর্ভুক্ত করে।
পয়েন্ট আকারে ব্যাখ্যা:
-
ক) ARR (Accounting Rate of Return): এটি গড় হিসাবরক্ষণ লাভের উপর ভিত্তি করে তৈরি, যেখানে ভবিষ্যৎ নগদ প্রবাহের সময়মূল্য গণনা করা হয় না। তাই এটি অর্থের সময় মূল্যকে উপেক্ষা করে।
-
খ) IRR (Internal Rate of Return): এটি এমন একটি ছাড়ের হার (discount rate) নির্ধারণ করে, যেখানে প্রকল্পের NPV শূন্য হয়। ফলে এটি অর্থের সময় মূল্যকে পুরোপুরি বিবেচনা করে।
-
গ) NPV (Net Present Value): এই পদ্ধতিতে ভবিষ্যতের প্রত্যাশিত নগদ প্রবাহকে বর্তমান মূল্যে ডিসকাউন্ট করা হয়, তাই এটি সময়মূল্যকে সরাসরি অন্তর্ভুক্ত করে।
-
ঘ) Profitability Index (PI): এটি NPV-এর অনুপাতমূলক রূপ, যা ভবিষ্যতের নগদ প্রবাহকে বর্তমান মূল্যে রূপান্তর করে প্রকল্পের লাভজনকতা নির্ধারণ করে।
-
সুতরাং, একমাত্র ARR পদ্ধতিই অর্থের সময় মূল্যকে বিবেচনা করে না, তাই প্রশ্নের সঠিক উত্তর হলো ক) ARR (Accounting Rate of Return)।

0
Updated: 2 days ago
কোন ইসলামী অর্থায়ন পদ্ধতিতে ব্যাংক ও গ্রাহক যৌথভাবে মূলধন বিনিয়োগ করে এবং লাভ-ক্ষতিভাগ করে নেয়?
Created: 2 days ago
A
সালাম
B
ইস্তিসনা
C
মুশারাকা
D
মুরাবাহা
মুশারাকা (Musharaka) হলো ইসলামী অর্থায়নের এমন একটি অংশীদারত্বভিত্তিক পদ্ধতি যেখানে ব্যাংক ও গ্রাহক উভয়েই মূলধন বিনিয়োগ করে এবং নির্দিষ্ট প্রকল্প বা ব্যবসায় লাভ-ক্ষতি ভাগাভাগি করে। এটি ইসলামী ব্যাংকিংয়ের অন্যতম ন্যায্য ও সমানাধিকারভিত্তিক অর্থায়ন কাঠামো।
-
উভয় পক্ষ সহযোগী (partner) হিসেবে কাজ করে এবং ব্যবসার সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণের অধিকার রাখে।
-
মুনাফা পূর্ব নির্ধারিত অনুপাতে ভাগ করা হয়, তবে ক্ষতি শুধুমাত্র মূলধনের আনুপাতিক হারে বণ্টিত হয়।
-
এটি ইসলামী নীতিমালা অনুযায়ী ঝুঁকি ও ফলাফলের ন্যায্য বণ্টনের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়।
মুদারাবা (Mudaraba)-তে একজন অংশীদার (ব্যাংক) শুধুমাত্র মূলধন প্রদানকারী (Rab-ul-Mal) হিসেবে থাকে, আর অন্য অংশীদার (গ্রাহক) ব্যবসা পরিচালনাকারী (Mudarib) হিসেবে কাজ করে।
-
লাভ নির্ধারিত অনুপাতে ভাগ করা হয়,
-
কিন্তু ক্ষতি হলে ব্যাংকই ক্ষতির ভার বহন করে, কারণ গ্রাহক শুধুমাত্র শ্রম দিয়েছে, মূলধন নয়।
ইস্তিসনা (Istisna) একটি উৎপাদন বা নির্মাণমূলক চুক্তি, যেখানে অগ্রিম অর্থের বিনিময়ে কোনো পণ্য বা সম্পদ ভবিষ্যতে তৈরি করে সরবরাহ করার অঙ্গীকার করা হয়। এটি সাধারণত উৎপাদন বা নির্মাণ প্রকল্পে ব্যবহৃত হয়।
সালাম (Salam) হলো এমন একটি চুক্তি যেখানে গ্রাহক ভবিষ্যতের নির্দিষ্ট তারিখে সরবরাহযোগ্য পণ্যের জন্য অগ্রিম অর্থ প্রদান করে। এটি মূলত কৃষি বা বাণিজ্যিক পণ্য অগ্রিম বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যাতে উৎপাদক বা বিক্রেতা আগে থেকেই অর্থ পায়।

0
Updated: 2 days ago
একটি ফার্মের ঋণ ও মূলধন মিশ্রনকে কি বলা হয়?
Created: 2 days ago
A
প্রাথমিক মূলধন
B
মূলধন কাঠামো
C
মুলধন গঠন
D
মুলধন ব্যয়
মূলধন কাঠামো (Capital Structure) হলো একটি প্রতিষ্ঠানের ঋণ ও ইক্যুইটির অনুপাতভিত্তিক গঠন, যা নির্ধারণ করে প্রতিষ্ঠান তার কার্যক্রম ও সম্পদ অর্থায়নের জন্য কোন উৎস থেকে কতটা তহবিল ব্যবহার করবে। এটি একটি প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক নীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা প্রতিষ্ঠানের ঝুঁকি ও মুনাফার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে।
-
মূলধন মিশ্রণ (Capital Mix): এটি হলো বিভিন্ন উৎস — যেমন ঋণ (Debt), ইক্যুইটি (Equity), প্রেফারেন্স শেয়ার ইত্যাদি থেকে আনুপাতিক হারে তহবিল সংগ্রহ করা। সঠিক মিশ্রণ ব্যবসার আর্থিক স্থিতিশীলতা ও লাভজনকতা নির্ধারণে সহায়তা করে।
-
মূলধন ব্যয় (Cost of Capital): এটি প্রতিষ্ঠানের তহবিল ব্যবহারের খরচ, যা মূলধন কাঠামোর উপর নির্ভরশীল। কার্যকর মূলধন কাঠামো তৈরি করার মূল উদ্দেশ্য হলো মূলধন ব্যয়কে সর্বনিম্নে রাখা, যাতে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সর্বোচ্চ রিটার্ন নিশ্চিত করা যায়।
-
প্রাথমিক মূলধন (Initial Capital): এটি হলো ব্যবসার শুরুতে প্রতিষ্ঠাতাদের প্রদত্ত মূলধন, যা দিয়ে ব্যবসার প্রাথমিক সম্পদ ও কার্যক্রম শুরু করা হয়।
সুতরাং, একটি প্রতিষ্ঠানের মূলধন কাঠামো নির্দেশ করে কীভাবে ঋণ ও মূলধনের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য বজায় রেখে দীর্ঘমেয়াদে অর্থায়ন করা হবে।

0
Updated: 2 days ago
আর্থিক লেভারেজের মান (DPS) যদি ৩ হয় তবে
Created: 2 days ago
A
EBIT ১% পরিবর্তিত হলে EPS ৩% পরিবর্তিত হবে
B
EPS ১% পরিবর্তিত হলে EBIT ৩% পরিবর্তিত হবে
C
EPS সর্বদা তিনগুণ হবে
D
EPS ১% পরিবর্তিত হলে NAV ৩% পরিবর্তিত হবে
DPS (Degree of Financial Leverage) হলো এমন একটি সূচক যা দেখায়, EBIT (Earnings Before Interest and Taxes)-এর পরিবর্তনের ফলে EPS (Earnings Per Share) কতটা পরিবর্তিত হবে। এটি মূলত প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেভারেজের প্রভাব পরিমাপ করে।
-
যদি DPS = ৩ হয়, তবে বুঝায় EBIT ১% পরিবর্তিত হলে EPS ৩% পরিবর্তিত হবে।
-
অর্থাৎ, ফার্মে যত বেশি ঋণনির্ভরতা (Debt Financing) থাকবে, তত বেশি EPS পরিবর্তনের মাত্রা বাড়বে।
-
DPS ফার্মের আর্থিক ঝুঁকি (Financial Risk) নির্দেশ করে, কারণ সুদ পরিশোধের বাধ্যবাধকতা বেশি হলে আয় ওঠানামার প্রভাবও বাড়ে।
-
এই ধারণা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করে ঋণ ও ইক্যুইটির ভারসাম্য নির্ধারণে, যাতে লাভজনকতা বজায় রেখে ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
-
উচ্চ DPS মানে আয় বৃদ্ধিতে বেশি লাভের সম্ভাবনা, তবে একইসাথে ক্ষতির সময় অধিক ঝুঁকির সম্ভাবনাও থাকে।

0
Updated: 2 days ago