কোন প্রক্রিয়ায় শেয়ার বিক্রয়ের নিশ্চয়তা দেয়া হয়?
A
আন্ডার রাইটিং
B
রেজিস্ট্রেশন
C
প্রসপেকটাস
D
কোনোটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
আন্ডাররাইটিং (Underwriting) হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে বিনিয়োগ ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান নতুন শেয়ার বা সিকিউরিটিজ ইস্যুর বিক্রয় নিশ্চয়তা প্রদান করে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো, ইস্যুকারী কোম্পানি যেন বাজারে পর্যাপ্ত তহবিল সংগ্রহ করতে পারে, এমনকি বিনিয়োগকারীদের চাহিদা কম হলেও।
-
আন্ডাররাইটার মূলত শেয়ার বিক্রয়ের গ্যারান্টি দেয়, অর্থাৎ বাজারে পুরো শেয়ার বিক্রি না হলে অবিক্রিত অংশটি নিজেরাই ক্রয় করে নেয়।
-
এর ফলে কোম্পানি নিরবচ্ছিন্ন অর্থায়নের নিশ্চয়তা পায় এবং মূলধন সংগ্রহে অনিশ্চয়তা কমে।
-
আন্ডাররাইটাররা সাধারণত বিনিয়োগ ব্যাংক, ব্রোকারেজ হাউস বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যারা ইস্যু প্রক্রিয়ায় ঝুঁকি গ্রহণ করে।
-
এই প্রক্রিয়ায় কোম্পানির শেয়ার মূল্য নির্ধারণ, বিপণন এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিতরণ সম্পর্কিত কার্যক্রমও পরিচালিত হয়।
-
আন্ডাররাইটিং মূলত প্রাথমিক শেয়ার ইস্যু (IPO) ও বন্ড ইস্যু-এর সময় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।

0
Updated: 2 days ago
কোনটি অভ্যন্তরীণ তহবিলের উৎস?
Created: 2 days ago
A
কর্পোরেট বন্ড
B
সাধারণ স্টক
C
বাণিজ্যিক পত্র
D
সংরক্ষিত আয় ও পরিশোধকৃত নগদ প্রবাহ
অভ্যন্তরীণ তহবিলের উৎস বলতে বোঝায় কোনো প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আয় বা মুনাফার সেই অংশ, যা পুনঃবিনিয়োগ বা ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের জন্য সংরক্ষণ করা হয়। এটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক স্বনির্ভরতা বাড়ায় এবং বাইরের ঋণ বা বিনিয়োগের উপর নির্ভরতা কমায়।
-
সংরক্ষিত আয় (Retained Earnings): মুনাফার সেই অংশ যা লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ না করে ভবিষ্যৎ সম্প্রসারণ বা বিনিয়োগে ব্যবহার করা হয়।
-
পরিশোধকৃত নগদ প্রবাহ (Free Cash Flow): ব্যয় ও বিনিয়োগ বাদ দিয়ে যে নগদ অর্থ অবশিষ্ট থাকে, সেটি পুনঃবিনিয়োগের জন্য ব্যবহার করা যায়।
-
অভ্যন্তরীণ তহবিল সাধারণত কম খরচে, কম ঝুঁকিতে এবং দ্রুত ব্যবহারের উপযোগী।
-
অন্যদিকে, কর্পোরেট বন্ড, সাধারণ স্টক ও বাণিজ্যিক পত্র হলো বাহ্যিক তহবিলের উৎস, যা বাইরের বাজার বা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়।
-
বাহ্যিক তহবিল সংগ্রহে সুদের খরচ, শেয়ার ইস্যুর ব্যয় ও বাজার ঝুঁকি যুক্ত থাকে, তাই ফার্মগুলো সাধারণত প্রথমে অভ্যন্তরীণ তহবিল ব্যবহার করতে চায়।
-
এই নীতি “Pecking Order Theory” দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়, যেখানে বলা হয়—কোম্পানিগুলো প্রথমে অভ্যন্তরীণ তহবিল, পরে ঋণ এবং সর্বশেষে ইক্যুইটি অর্থায়নকে অগ্রাধিকার দেয়।

0
Updated: 2 days ago
কোনটি মুদ্রাবাজারের সিকিউরিটিজ নয়?
Created: 2 days ago
A
ট্রেজারি বিল
B
জাতীয় সঞ্চয়পত্র
C
সার্টিফিকেট অব ডিপোজিট
D
বাণিজ্যিক পত্র
মুদ্রা বাজারের সিকিউরিটিজ (Money Market Securities) হলো এমন স্বল্পমেয়াদী আর্থিক উপকরণ, যেগুলোর মেয়াদ সাধারণত এক বছরের কম এবং সহজে নগদে রূপান্তরযোগ্য। এগুলো মূলত স্বল্পমেয়াদী তহবিলের যোগান ও বিনিয়োগের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং বাজারে দ্রুত কেনাবেচা করা যায়।
বিস্তারিতভাবে বলা যায়ঃ
-
ট্রেজারি বিল (Treasury Bill):
এটি সরকারের ইস্যুকৃত একটি স্বল্পমেয়াদী ঋণপত্র। এর মেয়াদ সাধারণত ৯১ দিন, ১৮২ দিন বা ৩৬৪ দিন, অর্থাৎ এক বছরের কম। এটি মুদ্রা বাজারের সবচেয়ে নিরাপদ ও গুরুত্বপূর্ণ উপকরণগুলোর একটি। -
বাণিজ্যিক পত্র (Commercial Paper):
এটি একটি অ-নিশ্চিত (Unsecured) স্বল্পমেয়াদী ঋণপত্র, যা বড় কোম্পানিগুলো তাদের স্বল্পমেয়াদী আর্থিক প্রয়োজন যেমন কর্মপরিচালনা ব্যয় বা মজুত অর্থায়নের জন্য ইস্যু করে। -
সার্টিফিকেট অব ডিপোজিট (Certificate of Deposit - CD):
এটি ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত একটি নির্দিষ্ট মেয়াদি আমানতপত্র, যেখানে নির্দিষ্ট সময়ের (সাধারণত এক বছর বা তার কম) জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা রাখা হয়। এটি সুদসহ মেয়াদপূর্তিতে ফেরত পাওয়া যায় এবং মুদ্রা বাজারে লেনদেনযোগ্য। -
জাতীয় সঞ্চয়পত্র (National Savings Certificate):
এটি দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয় ও বিনিয়োগের উপকরণ, যার মেয়াদ সাধারণত এক বছরের বেশি হয়। তাই এটি মুদ্রা বাজারের অংশ নয়; বরং পুঁজি বাজারের (Capital Market) অন্তর্ভুক্ত।
সুতরাং, ট্রেজারি বিল, বাণিজ্যিক পত্র এবং সার্টিফিকেট অব ডিপোজিট মুদ্রা বাজারের সিকিউরিটিজ হিসেবে গণ্য হয়।

0
Updated: 2 days ago
একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক তার মূলধনের সর্বোচ্চ কত শতাংশ একজন গ্রাহককে ঋণ দিতে পারে?
Created: 2 days ago
A
২০ শতাংশ
B
৩০ শতাংশ
C
৮ শতাংশ
D
২৫ শতাংশ
একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক তার মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত একজন একক গ্রাহককে ঋণ দিতে পারে, যা ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ অনুযায়ী নির্ধারিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। এই নীতির উদ্দেশ্য হলো ব্যাংকিং খাতে ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করা এবং কোনো একক গ্রাহকের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা কমানো।
-
এই সীমা ঋণ ঝুঁকি (Credit Risk) হ্রাসে সহায়তা করে, কারণ একজন গ্রাহকের ঋণ খেলাপি হলে পুরো ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা বিপন্ন হতে পারে।
-
মূলধনের ২৫ শতাংশ হিসাব করা হয় ব্যাংকের paid-up capital, reserve ও retained earnings এর ভিত্তিতে।
-
এই নিয়ম নিশ্চিত করে যে ব্যাংক তার ঋণপোর্টফোলিওকে বৈচিত্র্যময় (diversified) রাখবে এবং বিভিন্ন খাতে ঋণ বিতরণ করবে।
-
এর ফলে ব্যাংকের liquidity ও solvency বজায় থাকে এবং আর্থিক ব্যবস্থার সামগ্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষা পায়।
-
এই সীমা লঙ্ঘন করলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক (বাংলাদেশ ব্যাংক) কর্তৃক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে, যেমন জরিমানা বা অন্যান্য নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ।

0
Updated: 2 days ago