নিচের কোনটি মূলধন বাজেটিং সিদ্ধান্ত?
A
সর্বোত্তম স্তরের মজুদ নির্ধারন
B
নতুন সরঞ্জামে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেয়া
C
প্রাপ্য হিসাব পরিচালনা করা
D
উপযুক্ত মূলধন কাঠামো নির্ধারন করা
উত্তরের বিবরণ
মূলধন বাজেটিং সিদ্ধান্ত এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কোনো প্রতিষ্ঠান নতুন প্রকল্প বা সম্পদে বিনিয়োগের লাভজনকতা মূল্যায়ন করে। এটি সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ যেমন নতুন সরঞ্জাম ক্রয় বা নতুন কারখানা নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
-
মূলধন বাজেটিং সিদ্ধান্ত হলো নতুন সরঞ্জাম বা সম্পত্তিতে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
-
এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয় প্রকল্পটি দীর্ঘমেয়াদে লাভজনক হবে কি না।
-
ক) সর্বোত্তম স্তরের মজুদ নির্ধারণ একটি চলতি মূলধন ব্যবস্থাপনা (working capital management) সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত, এটি মূলধন বাজেটিং নয়।
-
গ) প্রাপ্য হিসাব পরিচালনা করাও চলতি মূলধন ব্যবস্থাপনার অংশ, যা দৈনন্দিন কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্কিত।
-
ঘ) উপযুক্ত মূলধন কাঠামো নির্ধারণ করা হলো অর্থায়ন (financing) সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত, যেখানে কোম্পানি কীভাবে তহবিল সংগ্রহ করবে তা নির্ধারিত হয়।
-
তাই খ) নতুন সরঞ্জামে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো মূলধন বাজেটিং সিদ্ধান্তের সঠিক উদাহরণ, কারণ এটি দীর্ঘমেয়াদী সম্পদে বিনিয়োগের সাথে সম্পর্কিত।

0
Updated: 2 days ago
ব্যাংক ও গ্রাহকের মধ্যে কোন সম্পর্কটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?
Created: 2 days ago
A
দেনাদার ও পাওনাদার
B
জামিনগ্রহিতা ও জামিন দাতা
C
প্রতিনিধি ও প্রধান
D
ট্রাস্টি ও সুবিধাভোগী
ব্যাংক ও গ্রাহকের সম্পর্ক মূলত দেনাদার ও পাওনাদার সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে গঠিত, যা ব্যাংকিং লেনদেনের মূল কাঠামো তৈরি করে। এই সম্পর্কের ধরন নির্ভর করে অর্থের প্রবাহ কোন দিকে হচ্ছে তার উপর।
-
যখন গ্রাহক ব্যাংকে টাকা জমা দেন, তখন ব্যাংক সেই অর্থ ব্যবহার করতে পারে, ফলে ব্যাংক হয় দেনাদার (Debtor) এবং গ্রাহক হন পাওনাদার (Creditor)।
-
বিপরীতে, যখন গ্রাহক ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করেন, তখন গ্রাহক হন দেনাদার এবং ব্যাংক হয় পাওনাদার।
-
এই সম্পর্কের মাধ্যমেই ব্যাংক ও গ্রাহকের মধ্যে মৌলিক লেনদেনের ভিত্তি গড়ে ওঠে।
-
এছাড়াও ব্যাংক ও গ্রাহকের মধ্যে অছি (Trustee), এজেন্ট (Agent) বা বিনিয়োগ পরামর্শদাতা (Advisor) হিসেবেও সম্পর্ক থাকতে পারে, যা নির্ভর করে নির্দিষ্ট লেনদেন বা সেবার ধরন অনুযায়ী।
-
সারাংশে, ব্যাংক ও গ্রাহকের সম্পর্কের কেন্দ্রবিন্দু হলো আস্থা ও আর্থিক দায়বদ্ধতা, যা আর্থিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে।

0
Updated: 2 days ago
নীট মুনাফা হতে বিনিয়োগ প্রয়োজনীয়তা মেটানোর পর অবশিষ্ট অর্থ ডিভিডেন্ড দেয়া হলে তাকে বলা হয়?
Created: 2 days ago
A
Bird-in-Hand Policy
B
Stable Dividend Policy
C
Residual Dividend Policy
D
Extra Dividend Policy
Residual Dividend Policy হলো এমন একটি লভ্যাংশ নীতি যেখানে কোম্পানি প্রথমে নিজের বিনিয়োগের প্রয়োজন (Investment Needs) পূরণ করে, তারপর যদি অর্থ অবশিষ্ট থাকে, তখনই সেই অংশ শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে ডিভিডেন্ড হিসেবে বিতরণ করে। এই নীতি মূলত কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদী বৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দেয়, ডিভিডেন্ড প্রদানে নয়।
পয়েন্টগুলো নিম্নরূপ
-
এই নীতিতে বিনিয়োগের সুযোগ ও অভ্যন্তরীণ অর্থায়নের প্রয়োজন আগে বিবেচনা করা হয়, যাতে কোম্পানি বাইরের ঋণের উপর নির্ভরশীল না হয়।
-
বিনিয়োগের পর যদি অতিরিক্ত লাভ থাকে, তখনই শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে লভ্যাংশ বিতরণ করা হয়।
-
এর ফলে লভ্যাংশের পরিমাণ প্রতি বছর স্থিতিশীল না-ও হতে পারে, কারণ তা নির্ভর করে কোম্পানির লাভ ও বিনিয়োগ চাহিদার উপর।
-
Bird-in-Hand Policy: এই নীতিতে শেয়ারহোল্ডাররা উচ্চ ও স্থিতিশীল লভ্যাংশকে বেশি মূল্যবান মনে করেন, কারণ নগদ ডিভিডেন্ডকে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ লাভের চেয়ে নিরাপদ ধরা হয়।
-
Stable Dividend Policy: কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের নিয়মিত ও স্থিতিশীল হারে ডিভিডেন্ড প্রদান করে, যাতে তাদের আয়ের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে।
-
Extra Dividend Policy: কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোম্পানি অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করলে বা বিশেষ উপলক্ষে অতিরিক্ত বা বিশেষ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে।
-
তুলনামূলকভাবে, Residual Policy বিনিয়োগকেন্দ্রিক, যেখানে অন্য নীতিগুলো শেয়ারহোল্ডারদের আয় ও সন্তুষ্টির দিকে বেশি মনোযোগ দেয়।

0
Updated: 2 days ago
ব্যাংক রেটের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাকে ঋণ প্রদান করে?
Created: 2 days ago
A
সরকারী প্রতিষ্ঠানকে
B
বেসরকারী প্রতিষ্ঠানকে
C
বাণিজ্যিক ব্যাংককে
D
বীমা কোম্পানীকে
ব্যাংক রেট হলো সেই হার, যে হারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ঋণ প্রদান করে। এটি মূলত অর্থনীতিতে ঋণ প্রবাহ ও মুদ্রা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণের একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক নীতি বা কৌশল। ব্যাংক রেটের পরিবর্তন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণদানের সক্ষমতা ও বাজারে অর্থের গতিপ্রবাহকে সরাসরি প্রভাবিত করে।
-
ব্যাংক রেট বৃদ্ধি পেলে ঋণের খরচ বেড়ে যায়, ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কম ঋণ দেয় এবং বাজারে অর্থ সরবরাহ হ্রাস পায়।
-
ব্যাংক রেট হ্রাস পেলে ঋণের খরচ কমে, ফলে ব্যাংকগুলো বেশি ঋণ দিতে পারে এবং বাজারে অর্থ সরবরাহ বৃদ্ধি পায়।
-
এটি মুদ্রাস্ফীতি (inflation) নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা পালন করে, কারণ উচ্চ ব্যাংক রেটের মাধ্যমে ঋণ সীমিত করে মুদ্রাস্ফীতি কমানো যায়।
-
অপরদিকে, মন্দার সময় ব্যাংক রেট কমিয়ে বিনিয়োগ ও ব্যয় বাড়ানো সম্ভব হয়।
-
ব্যাংক রেট পরিবর্তনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকের তহবিল সংকট নিরসন ও ঋণনীতির দিকনির্দেশনা প্রদান করে।

0
Updated: 2 days ago