একজন পরিচালক তার ব্যাংক থেকে তার সরবরাহকৃত মূলধনের সর্বোচ্চ কত পরিমান ঋণ হিসেবে পেতে পারে?
A
৪০ শতাংশ
B
৪৫ শতাংশ
C
৫০ শতাংশ
D
৬০ শতাংশ
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিকা ও ব্যাংকিং নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো ব্যাংকের পরিচালক বা বোর্ড সদস্য তার নিজস্ব মূলধনের উপর ভিত্তি করে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারেন, তবে সেই ঋণের পরিমাণ তার প্রদত্ত মূলধনের সর্বোচ্চ ৫০% পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। এই নীতির মাধ্যমে ব্যাংকের সুশাসন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়।
-
এই সীমা নির্ধারণের উদ্দেশ্য হলো পরিচালকদের স্বার্থের সংঘাত (Conflict of Interest) রোধ করা এবং ব্যাংকের সম্পদের অপব্যবহার ঠেকানো।
-
পরিচালকরা ব্যাংকের নীতি নির্ধারণে যুক্ত থাকায় তাদের অতিরিক্ত ঋণ সুবিধা গ্রহণ ব্যাংকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
-
তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই সীমা নির্ধারণ করেছে যাতে পরিচালকরা নিজের অবস্থান ব্যবহার করে অযৌক্তিক সুবিধা নিতে না পারেন।
-
এই নীতি Basel নির্দেশিকা ও কর্পোরেট গভর্ন্যান্স নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
-
যদি কোনো পরিচালক এই সীমা অতিক্রম করে ঋণ গ্রহণ করেন, তা নীতিবহির্ভূত ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।

0
Updated: 2 days ago
ক্ষুদ্র ঋণের সামাজিক দায়িত্ব বলতে বুঝায় -
Created: 2 days ago
A
সর্বসাধারনকে ঋণদান
B
গ্রাহক ও সর্বসাধারনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী কল্যান সাধন
C
সঞ্চয় সংগ্রহ বাড়ানো
D
সামাজিক অনুষ্ঠানে অর্থায়ন করা
ক্ষুদ্র ঋণের সামাজিক দায়িত্ব এমন একটি ধারণা, যার উদ্দেশ্য শুধু ঋণ প্রদান নয় বরং গ্রাহক ও সমাজের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করা। এটি আর্থিক অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়নের একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
পয়েন্ট আকারে ব্যাখ্যা:
-
ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হতে সহায়তা করা হয়।
-
এর লক্ষ্য হলো শুধু মুনাফা অর্জন নয়, বরং গ্রাহকের জীবনমান উন্নত করা এবং সমাজে দারিদ্র্য হ্রাসে ভূমিকা রাখা।
-
এই কার্যক্রমে গ্রাহকদের সচেতনতা বৃদ্ধি, দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা সৃষ্টির দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়।
-
দীর্ঘমেয়াদে এটি সামাজিক ন্যায়বিচার ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
-
তাই ক্ষুদ্র ঋণের সামাজিক দায়িত্ব বলতে বোঝায় গ্রাহক ও সর্বসাধারণের জন্য দীর্ঘমেয়াদী কল্যাণ সাধন, যা অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক অগ্রগতিও নিশ্চিত করে।

0
Updated: 2 days ago
উপযুক্ত মূলধন মিশ্রন নির্ধারনের ক্ষেত্রে ফার্মের জন্য শুরু বিন্দু হলো
Created: 2 days ago
A
সাধারন ইক্যুইটির ব্যয়
B
বর্তমান মূলধন কাঠামো
C
সর্বোত্তম মূলধন কাঠামো
D
ঋণের কর পরবর্তী খরচ
কোনো ফার্মের উপযুক্ত মূলধন মিশ্রণ নির্ধারণের সূচনাবিন্দু হলো তার বর্তমান মূলধন কাঠামো, অর্থাৎ ফার্মটির বর্তমান ঋণ ও ইক্যুইটির অনুপাত। এই বিদ্যমান কাঠামোই ভবিষ্যতে মূলধনের ভারসাম্য ও খরচ বিশ্লেষণের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
-
বর্তমান মূলধন কাঠামো ফার্মের আর্থিক অবস্থান, ঋণনির্ভরতা ও শেয়ারহোল্ডারদের ইক্যুইটি অংশ নির্দেশ করে।
-
ফার্ম এই কাঠামো বিশ্লেষণ করে দেখে, কীভাবে ঋণ ও ইক্যুইটির অনুপাত পরিবর্তন করলে মূলধনের খরচ কমানো ও মুনাফা বৃদ্ধি করা যায়।
-
সর্বোত্তম মূলধন কাঠামো (Optimal Capital Structure) হলো এমন একটি ভারসাম্য, যেখানে ফার্মের মূলধনের খরচ সর্বনিম্ন এবং শেয়ারহোল্ডারদের সম্পদ সর্বাধিক হয়।
-
বর্তমান কাঠামো থেকে শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি অতীত সিদ্ধান্ত, বাজারের অবস্থা ও ফার্মের ঝুঁকি প্রোফাইলের প্রতিফলন বহন করে।
-
এই প্রক্রিয়ায় ফার্ম ঋণ, ইক্যুইটি, সুদের হার ও মুনাফা বিশ্লেষণ করে ধাপে ধাপে কাঠামো উন্নত করে, যা দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে।

0
Updated: 2 days ago
কোন ধরনের মূলধনের জন্য লভ্যাংশ প্রদান করা হয়?
Created: 2 days ago
A
অনুমোদিত মূলধন
B
জারিকৃত মূলধন
C
পরিশোধিত মূলধন
D
তলবি মূলধন
লভ্যাংশ (Dividend) প্রদান করা হয় শুধুমাত্র সেই মূলধনের উপর, যা শেয়ারহোল্ডাররা বাস্তবে কোম্পানিতে পরিশোধ করেছে, অর্থাৎ পরিশোধিত মূলধন (Paid-up Capital)। কারণ এটি কোম্পানির হাতে বাস্তবিকভাবে থাকা অর্থ, যা ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহারযোগ্য। অনুমোদিত বা জারিকৃত মূলধনের সম্পূর্ণ পরিমাণ কোম্পানির কাছে আসে না, তাই সেগুলোর উপর লভ্যাংশ প্রদান করা যৌক্তিক নয়।
পয়েন্টগুলো নিম্নরূপ
-
অনুমোদিত মূলধন (Authorized Capital): এটি হলো সর্বোচ্চ পরিমাণ মূলধন যা কোম্পানি আইনত শেয়ার ইস্যু করার অনুমতি পায়। এটি কোম্পানির সংবিধি (Memorandum of Association) দ্বারা নির্ধারিত হয়।
-
জারিকৃত মূলধন (Issued Capital): কোম্পানি অনুমোদিত মূলধনের একটি অংশ শেয়ারহোল্ডারদের কাছে ইস্যু করে, তবে এই অর্থের পুরোটা কোম্পানির হাতে আসে না যতক্ষণ না তা পরিশোধ করা হয়।
-
তলবি মূলধন (Called-up Capital): এটি জারিকৃত মূলধনের সেই অংশ যা কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে পরিশোধের জন্য আহ্বান করেছে, যদিও তা সম্পূর্ণ পরিশোধিত না-ও হতে পারে।
-
পরিশোধিত মূলধন (Paid-up Capital): এটি হলো তলবি মূলধনের সেই অংশ, যা শেয়ারহোল্ডাররা বাস্তবে পরিশোধ করেছে এবং কোম্পানির হাতে এসেছে।
-
যেহেতু কোম্পানি বাস্তব ব্যবসায়িক কার্যক্রম ও লভ্যাংশ প্রদানের জন্য এই অর্থই ব্যবহার করতে পারে, তাই লভ্যাংশ প্রদান করা হয় শুধুমাত্র পরিশোধিত মূলধনের উপর।
-
এই নীতি কোম্পানির আর্থিক স্বচ্ছতা বজায় রাখে এবং অবাস্তব বা অসম্পূর্ণ মূলধনের উপর লভ্যাংশ বিতরণের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে।

0
Updated: 2 days ago