Portfolio Diversification এর মাধ্যমে ঝুঁকি হ্রাস সম্ভব হয় যখন সিকিউরিটি সমূহের রিটার্ন
A
খুব বেশী হয়
B
ধনাত্মকভাবে সম্পর্কযুক্ত হয়
C
ঋণাত্মকভাবে সম্পর্কযুক্ত হয়
D
সম্পর্কহীন হয়
উত্তরের বিবরণ
Portfolio Diversification এমন একটি বিনিয়োগ কৌশল, যেখানে বিভিন্ন ধরনের সিকিউরিটি (যেমন শেয়ার, বন্ড, ডিবেঞ্চার ইত্যাদি) একত্র করে একটি পোর্টফোলিও তৈরি করা হয়, যাতে বিনিয়োগের সামগ্রিক ঝুঁকি কমানো যায়। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর হয় যখন সিকিউরিটিগুলোর মধ্যে ঋণাত্মক সম্পর্ক (Negatively Correlated) থাকে, অর্থাৎ একটির রিটার্ন বাড়লে অন্যটির রিটার্ন কমে।
পয়েন্ট আকারে ব্যাখ্যা:
-
ঋণাত্মক সম্পর্ক (Negative Correlation) মানে হলো দুটি সিকিউরিটির রিটার্ন বিপরীতমুখীভাবে পরিবর্তিত হয়।
-
যদি একটি সিকিউরিটির দাম বাড়ে, অন্যটির দাম কমে, ফলে একটির ক্ষতি অন্যটির লাভ দ্বারা সমন্বিত (offset) হয়।
-
এই প্রক্রিয়ায় মোট ঝুঁকি কমে যায়, কারণ পোর্টফোলিওর সামগ্রিক অস্থিরতা (volatility) হ্রাস পায়।
-
Diversification বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার কার্যকর উপায়, যা একক সিকিউরিটির উপর নির্ভরতা কমায়।
-
সম্পূর্ণভাবে সম্পর্কহীন (uncorrelated) বা ঋণাত্মকভাবে সম্পর্কযুক্ত সম্পদের সমন্বয় পোর্টফোলিওর রিটার্ন স্থিতিশীল রাখে।
-
তাই আর্থিক দৃষ্টিকোণ থেকে, একটি সুষ্ঠু পোর্টফোলিও গঠনের জন্য ঋণাত্মকভাবে সম্পর্কযুক্ত সম্পদ নির্বাচন করা সর্বাধিক কার্যকর।

0
Updated: 2 days ago
একটি পাবলিক কোম্পানি নতুন শেয়ার ইস্যু করলে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে?
Created: 2 days ago
A
সিকিউরিটিজের মূল্য নির্ধারন
B
ইস্যুটির অবলেখন সংক্রান্ত জাটলতা
C
স্প্রেড নির্ধারন
D
বিদ্যমান শেয়ারের মূলা হ্রাস
যখন একটি পাবলিক কোম্পানি নতুন শেয়ার ইস্যু করে, তখন সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দেয় বিদ্যমান শেয়ারের মূল্য হ্রাসে (Dilution of Existing Shares)। নতুন শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে শেয়ারের সংখ্যা বেড়ে যায়, ফলে পূর্ববর্তী শেয়ারহোল্ডারদের মালিকানার অংশ ও প্রতি শেয়ারে আয়ের হার (EPS) কমে যায়।
বিষয়টি স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা যায়ঃ
-
নতুন শেয়ার ইস্যুর ফলে মোট শেয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, কিন্তু কোম্পানির মোট আয় অপরিবর্তিত থাকলে প্রতি শেয়ারে আয় (Earnings per Share) অনুপাতে কমে যায়।
-
এই অবস্থায় বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের মালিকানার শতকরা হার ও ভোটাধিকার হ্রাস পায়।
-
Dilution effect বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টিতে নেতিবাচক হিসেবে বিবেচিত হয়, কারণ এটি তাদের প্রতি শেয়ারের সম্ভাব্য রিটার্ন কমিয়ে দেয়।
-
যদিও সিকিউরিটিজের মূল্য নির্ধারণ সাধারণত ব্যাংক বা ব্রোকারদের মাধ্যমে করা হয় এবং অবলেখন (Underwriting) বা স্প্রেড নির্ধারণে কিছু জটিলতা থাকতে পারে, তবুও এগুলো মূল সমস্যা নয়।
-
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হলো — বিদ্যমান শেয়ারের মূল্য ও শেয়ারহোল্ডারদের অংশীদারিত্ব হ্রাস পাওয়া, অর্থাৎ Dilution of Existing Shares।

0
Updated: 2 days ago
CRG কোন ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক?
Created: 2 days ago
A
যখন ঋণের পরিমান ৫ লক্ষ টাকা এবং তার বেশী
B
যখন ঋণের পরিমান ১০ লক্ষ টাকা
C
যখন ঋণের পরিমান ৫০ লক্ষ টাকা
D
কর্পোরেট সকল ঋণের ক্ষেত্রে
CRG বা Credit Risk Grading হলো একটি মূল্যায়ন পদ্ধতি যা ব্যাংক ঋণ প্রদান করার আগে ঋণগ্রহীতার আর্থিক সক্ষমতা ও ঝুঁকি পরিমাপের জন্য ব্যবহার করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ৫০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি ঋণের ক্ষেত্রে এই মূল্যায়ন করা বাধ্যতামূলক।
-
এর মাধ্যমে ঋণগ্রহীতার আর্থিক অবস্থা, ব্যবসার স্থিতিশীলতা ও পরিশোধ সক্ষমতা যাচাই করা হয়।
-
এটি ব্যাংককে ঋণ ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ ও কমানোর জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।
-
স্কোরভিত্তিক মূল্যায়নের মাধ্যমে ঋণগ্রহীতা ভালো, মাঝারি বা ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়।
-
এই পদ্ধতি ব্যাংকের ঋণ পোর্টফোলিওর মান বজায় রাখা ও খেলাপি ঋণ হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
CRG মূল্যায়নের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ব্যাংক ঋণের পরিমাণ, সুদের হার ও জামানতের শর্ত নির্ধারণ করে থাকে।

0
Updated: 2 days ago
ব্যাংক ও গ্রাহকের মধ্যে কোন সম্পর্কটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?
Created: 2 days ago
A
দেনাদার ও পাওনাদার
B
জামিনগ্রহিতা ও জামিন দাতা
C
প্রতিনিধি ও প্রধান
D
ট্রাস্টি ও সুবিধাভোগী
ব্যাংক ও গ্রাহকের সম্পর্ক মূলত দেনাদার ও পাওনাদার সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে গঠিত, যা ব্যাংকিং লেনদেনের মূল কাঠামো তৈরি করে। এই সম্পর্কের ধরন নির্ভর করে অর্থের প্রবাহ কোন দিকে হচ্ছে তার উপর।
-
যখন গ্রাহক ব্যাংকে টাকা জমা দেন, তখন ব্যাংক সেই অর্থ ব্যবহার করতে পারে, ফলে ব্যাংক হয় দেনাদার (Debtor) এবং গ্রাহক হন পাওনাদার (Creditor)।
-
বিপরীতে, যখন গ্রাহক ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করেন, তখন গ্রাহক হন দেনাদার এবং ব্যাংক হয় পাওনাদার।
-
এই সম্পর্কের মাধ্যমেই ব্যাংক ও গ্রাহকের মধ্যে মৌলিক লেনদেনের ভিত্তি গড়ে ওঠে।
-
এছাড়াও ব্যাংক ও গ্রাহকের মধ্যে অছি (Trustee), এজেন্ট (Agent) বা বিনিয়োগ পরামর্শদাতা (Advisor) হিসেবেও সম্পর্ক থাকতে পারে, যা নির্ভর করে নির্দিষ্ট লেনদেন বা সেবার ধরন অনুযায়ী।
-
সারাংশে, ব্যাংক ও গ্রাহকের সম্পর্কের কেন্দ্রবিন্দু হলো আস্থা ও আর্থিক দায়বদ্ধতা, যা আর্থিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে।

0
Updated: 2 days ago