একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সমপরিমান নগদ প্রবাহের ধারাকে কি বলা হয়?
A
বর্তমান মূল্য
B
ভবিষ্যৎ মূল্য
C
এন্যুইটি
D
চিরস্থায়ী বৃত্তি
উত্তরের বিবরণ
ন্যুইটি (Annuity) হলো এমন একধরনের নগদ প্রবাহের ধারা, যেখানে সমান অঙ্কের অর্থ নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর একটি নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত প্রদান বা গ্রহণ করা হয়। এটি সাধারণত ঋণ পরিশোধ, অবসর ভাতা, বা বিনিয়োগ আয় নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়।
-
বর্তমান মূল্য (Present Value): ভবিষ্যতে যে নগদ প্রবাহ পাওয়া যাবে তার বর্তমান মান নির্ধারণ করা হয়, যাতে বোঝা যায় এখন সেই অর্থের মূল্য কত।
-
ভবিষ্যৎ মূল্য (Future Value): বর্তমানে বিনিয়োগ করা অর্থ ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট সুদের হারে কত হবে তা নির্দেশ করে।
-
চিরস্থায়ী বৃত্তি (Perpetuity): এমন একটি নগদ প্রবাহের ধারা যা অসীম সময় ধরে সমান পরিমাণ অর্থ প্রদান বা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেয়, অর্থাৎ এর কোনো শেষ নেই।
-
ন্যুইটির মূল বৈশিষ্ট্য হলো সময় নির্ধারিত ও সমান পরিমাণ অর্থের পুনরাবৃত্তি, যা এটিকে সাধারণ নগদ প্রবাহ থেকে আলাদা করে।
-
এই ধারণা আর্থিক পরিকল্পনা, ঋণ বিশ্লেষণ ও বিনিয়োগ মূল্যায়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সময়ের মূল্য (Time Value of Money) ধারণার সাথে সরাসরি সম্পর্কিত।

0
Updated: 2 days ago
ক্ষুদ্র ঋণের সামাজিক দায়িত্ব বলতে বুঝায় -
Created: 2 days ago
A
সর্বসাধারনকে ঋণদান
B
গ্রাহক ও সর্বসাধারনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী কল্যান সাধন
C
সঞ্চয় সংগ্রহ বাড়ানো
D
সামাজিক অনুষ্ঠানে অর্থায়ন করা
ক্ষুদ্র ঋণের সামাজিক দায়িত্ব এমন একটি ধারণা, যার উদ্দেশ্য শুধু ঋণ প্রদান নয় বরং গ্রাহক ও সমাজের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করা। এটি আর্থিক অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়নের একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
পয়েন্ট আকারে ব্যাখ্যা:
-
ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হতে সহায়তা করা হয়।
-
এর লক্ষ্য হলো শুধু মুনাফা অর্জন নয়, বরং গ্রাহকের জীবনমান উন্নত করা এবং সমাজে দারিদ্র্য হ্রাসে ভূমিকা রাখা।
-
এই কার্যক্রমে গ্রাহকদের সচেতনতা বৃদ্ধি, দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা সৃষ্টির দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়।
-
দীর্ঘমেয়াদে এটি সামাজিক ন্যায়বিচার ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
-
তাই ক্ষুদ্র ঋণের সামাজিক দায়িত্ব বলতে বোঝায় গ্রাহক ও সর্বসাধারণের জন্য দীর্ঘমেয়াদী কল্যাণ সাধন, যা অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক অগ্রগতিও নিশ্চিত করে।

0
Updated: 2 days ago
নীট মুনাফা হতে বিনিয়োগ প্রয়োজনীয়তা মেটানোর পর অবশিষ্ট অর্থ ডিভিডেন্ড দেয়া হলে তাকে বলা হয়?
Created: 2 days ago
A
Bird-in-Hand Policy
B
Stable Dividend Policy
C
Residual Dividend Policy
D
Extra Dividend Policy
Residual Dividend Policy হলো এমন একটি লভ্যাংশ নীতি যেখানে কোম্পানি প্রথমে নিজের বিনিয়োগের প্রয়োজন (Investment Needs) পূরণ করে, তারপর যদি অর্থ অবশিষ্ট থাকে, তখনই সেই অংশ শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে ডিভিডেন্ড হিসেবে বিতরণ করে। এই নীতি মূলত কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদী বৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দেয়, ডিভিডেন্ড প্রদানে নয়।
পয়েন্টগুলো নিম্নরূপ
-
এই নীতিতে বিনিয়োগের সুযোগ ও অভ্যন্তরীণ অর্থায়নের প্রয়োজন আগে বিবেচনা করা হয়, যাতে কোম্পানি বাইরের ঋণের উপর নির্ভরশীল না হয়।
-
বিনিয়োগের পর যদি অতিরিক্ত লাভ থাকে, তখনই শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে লভ্যাংশ বিতরণ করা হয়।
-
এর ফলে লভ্যাংশের পরিমাণ প্রতি বছর স্থিতিশীল না-ও হতে পারে, কারণ তা নির্ভর করে কোম্পানির লাভ ও বিনিয়োগ চাহিদার উপর।
-
Bird-in-Hand Policy: এই নীতিতে শেয়ারহোল্ডাররা উচ্চ ও স্থিতিশীল লভ্যাংশকে বেশি মূল্যবান মনে করেন, কারণ নগদ ডিভিডেন্ডকে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ লাভের চেয়ে নিরাপদ ধরা হয়।
-
Stable Dividend Policy: কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের নিয়মিত ও স্থিতিশীল হারে ডিভিডেন্ড প্রদান করে, যাতে তাদের আয়ের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে।
-
Extra Dividend Policy: কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোম্পানি অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করলে বা বিশেষ উপলক্ষে অতিরিক্ত বা বিশেষ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে।
-
তুলনামূলকভাবে, Residual Policy বিনিয়োগকেন্দ্রিক, যেখানে অন্য নীতিগুলো শেয়ারহোল্ডারদের আয় ও সন্তুষ্টির দিকে বেশি মনোযোগ দেয়।

0
Updated: 2 days ago
কোন ধরনের মূলধনের জন্য লভ্যাংশ প্রদান করা হয়?
Created: 2 days ago
A
অনুমোদিত মূলধন
B
জারিকৃত মূলধন
C
পরিশোধিত মূলধন
D
তলবি মূলধন
লভ্যাংশ (Dividend) প্রদান করা হয় শুধুমাত্র সেই মূলধনের উপর, যা শেয়ারহোল্ডাররা বাস্তবে কোম্পানিতে পরিশোধ করেছে, অর্থাৎ পরিশোধিত মূলধন (Paid-up Capital)। কারণ এটি কোম্পানির হাতে বাস্তবিকভাবে থাকা অর্থ, যা ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহারযোগ্য। অনুমোদিত বা জারিকৃত মূলধনের সম্পূর্ণ পরিমাণ কোম্পানির কাছে আসে না, তাই সেগুলোর উপর লভ্যাংশ প্রদান করা যৌক্তিক নয়।
পয়েন্টগুলো নিম্নরূপ
-
অনুমোদিত মূলধন (Authorized Capital): এটি হলো সর্বোচ্চ পরিমাণ মূলধন যা কোম্পানি আইনত শেয়ার ইস্যু করার অনুমতি পায়। এটি কোম্পানির সংবিধি (Memorandum of Association) দ্বারা নির্ধারিত হয়।
-
জারিকৃত মূলধন (Issued Capital): কোম্পানি অনুমোদিত মূলধনের একটি অংশ শেয়ারহোল্ডারদের কাছে ইস্যু করে, তবে এই অর্থের পুরোটা কোম্পানির হাতে আসে না যতক্ষণ না তা পরিশোধ করা হয়।
-
তলবি মূলধন (Called-up Capital): এটি জারিকৃত মূলধনের সেই অংশ যা কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে পরিশোধের জন্য আহ্বান করেছে, যদিও তা সম্পূর্ণ পরিশোধিত না-ও হতে পারে।
-
পরিশোধিত মূলধন (Paid-up Capital): এটি হলো তলবি মূলধনের সেই অংশ, যা শেয়ারহোল্ডাররা বাস্তবে পরিশোধ করেছে এবং কোম্পানির হাতে এসেছে।
-
যেহেতু কোম্পানি বাস্তব ব্যবসায়িক কার্যক্রম ও লভ্যাংশ প্রদানের জন্য এই অর্থই ব্যবহার করতে পারে, তাই লভ্যাংশ প্রদান করা হয় শুধুমাত্র পরিশোধিত মূলধনের উপর।
-
এই নীতি কোম্পানির আর্থিক স্বচ্ছতা বজায় রাখে এবং অবাস্তব বা অসম্পূর্ণ মূলধনের উপর লভ্যাংশ বিতরণের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে।

0
Updated: 2 days ago