কোনটি ডেরিভেটিভ সিকিউরিটিজ এর উদাহরণ?
A
সোয়াপ
B
অপশনস
C
ফিউচার
D
উপরের সবগুলো
উত্তরের বিবরণ
সোয়াপ, অপশনস এবং ফিউচার—এই তিনটি হলো ডেরিভেটিভ সিকিউরিটিজ, যেগুলোর মূল্য নির্ভর করে কোনো অন্তর্নিহিত সম্পদ (underlying asset) যেমন শেয়ার, বন্ড, মুদ্রা বা পণ্যের মূল্যের ওপর। এই আর্থিক যন্ত্রগুলো ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, মুনাফা অর্জন বা ভবিষ্যৎ মূল্য পরিবর্তনের পূর্বাভাসের জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
সোয়াপ (Swap): এটি একটি আর্থিক বিনিময় চুক্তি, যেখানে দুটি পক্ষ ভবিষ্যতের নগদ প্রবাহ বা দায়বদ্ধতা পরস্পরের মধ্যে বিনিময়ে সম্মত হয়। উদাহরণস্বরূপ, এক পক্ষ নির্দিষ্ট সুদের হারে পরিশোধ করে এবং অপর পক্ষ পরিবর্তনশীল সুদের হারে পরিশোধ করে।
-
অপশনস (Options): এটি এমন একটি চুক্তি, যা ক্রেতাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বা তার আগে একটি নির্দিষ্ট মূল্যে সম্পদ কেনা বা বিক্রির অধিকার প্রদান করে, তবে এটি বাধ্যবাধকতা নয়। দুই প্রকার অপশন আছে—Call Option (কেনার অধিকার) ও Put Option (বিক্রির অধিকার)।
-
ফিউচার (Futures): এটি একটি মানককৃত (standardized) চুক্তি, যা অনুযায়ী নির্দিষ্ট তারিখে, নির্দিষ্ট মূল্যে, নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ কেনা বা বিক্রি করা বাধ্যতামূলক। এটি সাধারণত স্টক এক্সচেঞ্জে ট্রেড করা হয়।
-
এই তিনটি যন্ত্রই মূলত হেজিং (hedging) ও স্পেকুলেশন (speculation) উভয় উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।
-
এগুলোর মূল্য সরাসরি অন্তর্নিহিত সম্পদের মূল্য পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত, তাই এগুলোকে ডেরিভেটিভ বলা হয়।

0
Updated: 2 days ago
সময় ও সুদের হারের সাথে ভবিষ্যত মূল্যের সম্পর্ক?
Created: 2 days ago
A
শূন্য
B
ঋণাত্মক
C
ধনাত্মক
D
কোনোটিই নয়
সময় এবং সুদের হার — উভয়ের সাথেই ভবিষ্যৎ মূল্যের (Future Value) সম্পর্ক ধনাত্মক বা সমমুখী (positive relationship)। অর্থাৎ, সময় বা সুদের হার যত বাড়বে, বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ মূল্যও তত বৃদ্ধি পাবে; বিপরীতে, সময় বা সুদের হার কমলে ভবিষ্যৎ মূল্যও হ্রাস পাবে।
পয়েন্টগুলো নিম্নরূপ
-
সময়: সময়কাল যত দীর্ঘ হয়, চক্রবৃদ্ধি সুদের (compound interest) প্রভাবে ভবিষ্যৎ মূল্য তত দ্রুত বৃদ্ধি পায়, কারণ সুদ শুধু মূলধনের উপর নয়, আগের সুদের উপরও জমা হয়।
-
সুদের হার: সুদের হার যত বেশি হবে, প্রতি সময়কালে অর্জিত সুদের পরিমাণ তত বেশি হবে, ফলে ভবিষ্যৎ মূল্যও বৃদ্ধি পাবে।
-
ভবিষ্যৎ মূল্য নির্ধারণের সূত্র হলো FV = PV (1 + r)^n, যেখানে FV = ভবিষ্যৎ মূল্য, PV = বর্তমান মূল্য, r = সুদের হার, এবং n = সময়কাল।
-
যদিও সুদের হার ও ভবিষ্যৎ মূল্যের মধ্যে সম্পর্ক ধনাত্মক, তবুও এটি রৈখিক নয় (non-linear) — অর্থাৎ, সুদের হার দ্বিগুণ হলেও ভবিষ্যৎ মূল্য দ্বিগুণ হয় না, বরং চক্রবৃদ্ধি প্রভাবে আরো বেশি বৃদ্ধি পায়।
-
এই সম্পর্ক বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত, ঋণ বিশ্লেষণ এবং আর্থিক পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

0
Updated: 2 days ago
কোন ক্ষেত্রে প্রসপেকটাসের প্রয়োজন হয় না?
Created: 2 days ago
A
প্রাইভেট প্লেসমেন্ট
B
আইপিও
C
রাইট ইস্যু
D
কোনটিই নয়
প্রাইভেট প্লেসমেন্ট (Private Placement) হলো এমন একটি পদ্ধতি যেখানে কোনো কোম্পানি সাধারণ জনগণের পরিবর্তে নির্দিষ্ট ও সীমিত সংখ্যক বিনিয়োগকারীর কাছে সরাসরি শেয়ার বা সিকিউরিটিজ বিক্রি করে। এই কারণে এ ধরনের অফারে প্রসপেক্টাস প্রকাশের প্রয়োজন হয় না, কারণ এখানে জনসাধারণের অংশগ্রহণ থাকে না।
পয়েন্টগুলো নিম্নরূপ
-
প্রাইভেট প্লেসমেন্ট সাধারণত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, উচ্চ সম্পদসম্পন্ন ব্যক্তি বা নির্দিষ্ট পার্টনারদের কাছে সীমাবদ্ধ থাকে।
-
এতে আইনি প্রক্রিয়া অপেক্ষাকৃত সহজ ও দ্রুত, কারণ জনসাধারণের কাছে বিজ্ঞপ্তি বা প্রসপেক্টাস প্রকাশের প্রয়োজন হয় না।
-
অন্যদিকে, IPO (Initial Public Offering) হলো কোম্পানির প্রথমবারের মতো জনসাধারণের কাছে শেয়ার বিক্রয়, যেখানে প্রসপেক্টাস প্রকাশ বাধ্যতামূলক। এতে কোম্পানির আর্থিক অবস্থা, ঝুঁকি, ব্যবসার প্রকৃতি ইত্যাদি বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করতে হয়।
-
রাইট ইস্যু (Right Issue)-এর ক্ষেত্রেও প্রসপেক্টাস প্রয়োজন হয়, কারণ এটি বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের কাছে নতুন শেয়ার ইস্যু করার প্রক্রিয়া, যেখানে তাদের বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য পূর্ণ তথ্য সরবরাহ করতে হয়।
-
এইভাবে, প্রাইভেট প্লেসমেন্ট ও আইপিও/রাইট ইস্যুর মধ্যে মূল পার্থক্য হলো জনসাধারণের অংশগ্রহণ ও তথ্য প্রকাশের বাধ্যবাধকতা।

0
Updated: 2 days ago
কোন অর্থায়নের জন্য একটি ফার্মকে সর্বনিম্ন খরচ বহন করতে হয়?
Created: 2 days ago
A
বিদ্যমান সাধারণ শেয়ার
B
অগ্রাধিকার শেয়ার
C
ঋণ
D
নতুন সাধারণ শেয়ার
ঋণের খরচ (Cost of Debt) সাধারণত অন্যান্য অর্থায়নের উৎসের তুলনায় কম হয়, কারণ ঋণের উপর প্রদত্ত সুদের ব্যয় করযোগ্য আয়ের থেকে বাদ দেওয়া যায়, যা কর সাশ্রয় ঘটিয়ে মোট মূলধনের খরচ হ্রাস করে। এই কারণেই ঋণ অনেক সময় প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি কম ব্যয়বহুল অর্থায়ন মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
সুদের পরিমাণ কর-সাশ্রয়ী (Tax Deductible) হওয়ায় কার্যকর সুদের হার কমে যায়।
-
ঋণদাতারা নির্দিষ্ট সুদে আয় পায়, তাই তাদের প্রত্যাশিত রিটার্নও সীমিত থাকে।
-
মূলধন কাঠামোতে ঋণের ব্যবহার প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক অর্থায়ন ব্যয় হ্রাসে সহায়ক।
অন্যদিকে, সাধারণ শেয়ার (Common Stock) ও অগ্রাধিকার শেয়ারের (Preferred Stock) খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি।
-
শেয়ারধারীরা প্রতিষ্ঠানের মালিক হওয়ায় তারা ঋণদাতার তুলনায় বেশি রিটার্ন প্রত্যাশা করে।
-
নতুন সাধারণ শেয়ার ইস্যুর ক্ষেত্রে ইস্যু খরচ, আন্ডাররাইটিং ফি ও বাজারের চাহিদা-সরবরাহ প্রভাবের কারণে খরচ আরও বেড়ে যায়।
-
শেয়ারের রিটার্ন কর-সাশ্রয়ী নয়, ফলে ইকুইটি অর্থায়নের প্রকৃত ব্যয় বেশি হয়।

0
Updated: 2 days ago