কোনো ব্যাংক যখন ব্যক্তিগত খাতে ঋণ দেয় তখন উক্ত ঋণের ঝুঁকি কত?
A
১০০ শতাংশ
B
৮০ শতাংশ
C
৬০ শতাংশ
D
৫০ শতাংশ
উত্তরের বিবরণ
যখন কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংক ব্যক্তিগত বা প্রাইভেট সেক্টরের গ্রাহককে ঋণ প্রদান করে, তখন সেই ঋণ ফেরত না পাওয়ার বা খেলাপির ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক Basel নির্দেশিকা অনুযায়ী এ ধরনের ঋণের জন্য ১০০% রিস্ক ওয়েট নির্ধারণ করেছে।
-
ব্যক্তিগত ঋণগুলো সাধারণত আয়, কর্মসংস্থান বা ব্যক্তিগত ব্যবসার উপর নির্ভরশীল, যা অনিশ্চিত হতে পারে।
-
প্রতিষ্ঠান বা সরকারি খাতের ঋণের তুলনায় ব্যক্তিগত ঋণের ঝুঁকি বেশি, কারণ এগুলোর গ্যারান্টি ও সম্পদভিত্তিক নিরাপত্তা কম থাকে।
-
Basel নির্দেশিকা অনুযায়ী রিস্ক ওয়েট (Risk Weight) হলো এমন একটি মান যা নির্ধারণ করে কোনো ঋণ বা সম্পদের বিপরীতে ব্যাংককে কত পরিমাণ মূলধন সংরক্ষণ করতে হবে।
-
১০০% রিস্ক ওয়েট মানে হলো ব্যাংককে সেই ঋণের পুরো মূল্যের সমান ঝুঁকি বিবেচনা করে মূলধন সংরক্ষণ করতে হবে।
-
এই নীতির উদ্দেশ্য হলো ব্যাংক যেন সম্ভাব্য ক্ষতির জন্য যথেষ্ট মূলধন সংরক্ষণ করে, যাতে ব্যাংকের আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।
-
তাই ব্যক্তিগত ঋণ খাতে উচ্চ ঝুঁকির কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর রিস্ক ম্যানেজমেন্ট নীতি অনুসরণ করে।

0
Updated: 2 days ago
যখন কোনো ব্যাংক ট্রেজারি বিলে বিনিয়োগ করে তখন এর ঝুঁকি কেমন থাকে?
Created: 2 days ago
A
৫ শতাংশ
B
১০ শতাংশ
C
২০ শতাংশ
D
শূন্য
ট্রেজারি বিল (Treasury Bill) হলো সরকারের পক্ষ থেকে ইস্যুকৃত স্বল্পমেয়াদী ঋণপত্র, যা সরকারের স্বল্পমেয়াদী অর্থায়নের প্রয়োজন মেটাতে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি ঝুঁকিমুক্ত ও অত্যন্ত লিকুইড আর্থিক উপকরণ, যা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত।
-
সাধারণত ট্রেজারি বিলের মেয়াদ হয় ৯০ দিন, ১৮০ দিন বা ৩৬৫ দিন।
-
এটি সরকারি গ্যারান্টিযুক্ত (Government-backed) হওয়ায় এর ডিফল্ট ঝুঁকি কার্যত শূন্য (0%)।
-
ব্যাংক যখন ট্রেজারি বিল ক্রয় করে, তখন মূলধন ফেরতের নিশ্চয়তা থাকে, ফলে এটি ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হয়।
-
ট্রেজারি বিলের লেনদেন সহজ ও দ্রুত হওয়ায় এটি একটি উচ্চ লিকুইড সম্পদ (Highly Liquid Asset)।
-
ব্যাংকগুলো প্রায়ই এটি ব্যবহার করে তারল্য ব্যবস্থাপনা (Liquidity Management) ও নিরাপদ স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে।
-
যেহেতু এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতির অধীনে পরিচালিত হয়, তাই এটি দেশের মুদ্রানীতি ও আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

0
Updated: 2 days ago
Bancassurance কি?
Created: 2 days ago
A
অংশীদারীত্বের ভিত্তিতে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বীমা পণ্য ক্রয় করা
B
ব্যাংককে বীমা কার্যক্রম পরিচালনার লাইসেন্স দেওয়া
C
ব্যাংককে বীমা ক্যোম্পানীর শেয়ার ক্রয়ের অনুমোদন প্রদান
D
উপরের সবগুলো
Bancassurance এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে ব্যাংক ও বীমা কোম্পানি যৌথভাবে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ব্যাংকের মাধ্যমে বীমা পণ্য বিক্রি করে। এটি ব্যাংকের গ্রাহকসেবার সঙ্গে বীমা সুবিধা যুক্ত করার একটি আধুনিক ব্যবসায়িক কৌশল।
-
Bancassurance হলো ব্যাংক ও বীমা কোম্পানির যৌথ উদ্যোগ, যেখানে উভয় পক্ষই লাভবান হয়।
-
ব্যাংক তার গ্রাহক নেটওয়ার্ক ও চ্যানেল ব্যবহার করে বিভিন্ন বীমা পণ্য যেমন জীবন বীমা, সাধারণ বীমা ইত্যাদি বিক্রি করে।
-
ব্যাংক এখানে বীমা বিক্রেতা বা বিতরণকারী হিসেবে কাজ করে, কিন্তু বীমা কোম্পানি মূল বীমা কার্যক্রম পরিচালনা করে।
-
এই ব্যবস্থায় গ্রাহকরা ব্যাংকের মাধ্যমেই সহজে বীমা গ্রহণ করতে পারে, যা সময় ও প্রক্রিয়া উভয়কেই সহজ করে তোলে।
-
ব্যাংককে সরাসরি বীমা কার্যক্রম পরিচালনার লাইসেন্স দেওয়া Bancassurance নয়।
-
ব্যাংককে বীমা কোম্পানির শেয়ার ক্রয়ের অনুমতি দেওয়া Bancassurance নয়, কারণ এতে ব্যাংক বিক্রয় চ্যানেল হিসেবে নয়, বিনিয়োগকারী হিসেবে ভূমিকা রাখে।
-
Bancassurance-এর মাধ্যমে আর্থিক খাতে পণ্য বৈচিত্র্য ও গ্রাহক আস্থার বৃদ্ধি ঘটে, যা আধুনিক ব্যাংকিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।

0
Updated: 2 days ago
কোন শেয়ার নতুন কোনো মূলধনের যোগান দেয় না?
Created: 2 days ago
A
সাধারন শেয়ার
B
রাইট শেয়ার
C
অগ্রাধিকার শেয়ার
D
বোনাস শেয়ার
বোনাস শেয়ার কোনো নতুন মূলধন যোগান দেয় না, কারণ এটি কোম্পানির ইতিমধ্যে অর্জিত সংরক্ষিত মুনাফা (retained earnings) থেকে ইস্যু করা হয়। এই শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের নতুন করে অর্থ প্রদান করতে হয় না; বরং কোম্পানি তার মুনাফার একটি অংশ শেয়ার আকারে বিতরণ করে।
পয়েন্ট আকারে ব্যাখ্যা:
-
বোনাস শেয়ার: এটি কোম্পানির মুনাফা থেকে বিনামূল্যে বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এর ফলে কোম্পানির শেয়ার মূলধন বৃদ্ধি পায়, কিন্তু নগদ অর্থের কোনো প্রবাহ ঘটে না।
-
এই প্রক্রিয়ায় কোম্পানির মোট সম্পদের পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকে, শুধুমাত্র মূলধনের গঠন (capital structure) পরিবর্তিত হয়।
-
সাধারণ শেয়ার (Ordinary Share): এটি নতুন বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে নগদ অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে কোম্পানির মূলধন বৃদ্ধি করে।
-
রাইট শেয়ার (Right Share): এটি বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের নির্দিষ্ট মূল্যে নতুন শেয়ার ক্রয়ের অধিকার দেয়, যার মাধ্যমে কোম্পানি নতুন মূলধন সংগ্রহ করে।
-
অগ্রাধিকার শেয়ার (Preference Share): এটিও নতুন মূলধন যোগানের জন্য ইস্যু করা হয়, যেখানে বিনিয়োগকারীরা নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ পাওয়ার অধিকার রাখে।
-
সুতরাং, বোনাস শেয়ার কেবল লাভের পুনর্বণ্টন নির্দেশ করে, এটি নতুন মূলধনের উৎস নয়।

0
Updated: 2 days ago