Dividend Discount Model (DDM) মূলত কোন তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে তৈরী?
A
শেয়ারের দাম ভবিষ্যৎ নগদ প্রবাহের বর্তমান মূল্যের সমান
B
শেয়ারের দাম ভবিষ্যত লভ্যাংশের সমান
C
শেয়ারের দাম সর্বদা EPS এর সমান
D
শেয়ারের দাম বাজার দ্বারা নির্ধারিত
উত্তরের বিবরণ
ডিভিডেন্ড ডিসকাউন্ট মডেল বা DDM হলো একটি পদ্ধতি যা শেয়ারের মূল্য নির্ধারণে ব্যবহৃত হয় ভবিষ্যৎ লভ্যাংশের বর্তমান মূল্য হিসাবের মাধ্যমে। এই মডেল অনুযায়ী, একটি শেয়ারের প্রকৃত বা অন্তর্নিহিত মূল্য নির্ভর করে ভবিষ্যতে শেয়ারহোল্ডারদের প্রদেয় লভ্যাংশের ওপর, যা বর্তমান মূল্যে ছাড় (discount) দিয়ে গণনা করা হয়। এটি বাজারের ওঠানামা নয়, বরং আর্থিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ করে।
-
DDM অনুযায়ী, শেয়ারের মূল্য = ভবিষ্যৎ লভ্যাংশের বর্তমান মূল্যগুলোর যোগফল।
-
এটি একটি quantitative valuation method, যা সংখ্যাগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে মূল্য নির্ধারণ করে।
-
শেয়ারের দাম ভবিষ্যৎ লভ্যাংশের সমান নয়, বরং ভবিষ্যৎ লভ্যাংশকে বর্তমান মূল্যে রূপান্তরিত করে মোট যোগফল নির্ধারণ করা হয়।
-
শেয়ারের দাম সর্বদা EPS (Earnings Per Share) এর সমান নয়, কারণ আয় (earnings) থেকে লভ্যাংশ প্রদান করা হয়, তবে সব আয় শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বিতরণ করা হয় না।
-
শেয়ারের দাম বাজার দ্বারা নির্ধারিত নয়, কারণ বাজারমূল্য পরিবর্তনশীল হলেও DDM শেয়ারের অন্তর্নিহিত মূল্য (intrinsic value) নির্ধারণ করে, যা বাস্তব আর্থিক ভিত্তির ওপর দাঁড়ানো।
-
এই মডেল বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করে বুঝতে যে, কোনো শেয়ার অতিমূল্যায়িত (overvalued) না অবমূল্যায়িত (undervalued)।

0
Updated: 2 days ago
একটি ব্যাংককে তার ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের বিপরীতে মোট কত শতাংশ মূলধন সংগ্রহ করতে হয়?
Created: 2 days ago
A
৯ শতাংশ
B
১০.৫০ শতাংশ
C
১২ শতাংশ
D
১২.৫০ শতাংশ
মৌলিক মূলধন (Regulatory Capital Requirement) হলো ব্যাংকের ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের বিপরীতে ন্যূনতম মূলধন রাখার বাধ্যবাধকতা, যা ব্যাংকিং স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। এখানে মূলধন দুটি স্তরে বিভক্ত—Tier-1 (Core Capital) এবং Tier-2 (Supplementary Capital)।
বিস্তারিতভাবে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা যায়ঃ
-
Tier-1 Capital: এতে থাকে শেয়ার মূলধন, রিটেইন্ড আর্নিংস এবং অন্যান্য মূলধন উপাদান যা ব্যাংকের স্থায়ী মূলধন কাঠামোর অংশ। এটি মূলত ক্ষতি শোষণের (Loss Absorption) জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
Tier-2 Capital: এতে অন্তর্ভুক্ত হয় রিজার্ভ, সাবঅর্ডিনেটেড ডেট ইত্যাদি যা মূলধনের পরিপূরক হিসেবে গণ্য হয়।
-
Capital Conservation Buffer (CCB): এটি একটি অতিরিক্ত মূলধন সুরক্ষা স্তর (২.৫%) যা ব্যাংককে আর্থিক চাপ বা সংকটের সময় স্থিতিশীল থাকতে সহায়তা করে।
-
সুতরাং, ব্যাংকের মোট মূলধন অনুপাত (Total Capital Ratio) হবে —
Tier-1 + Tier-2 (১০%) + Capital Conservation Buffer (২.৫%) = ১২.৫% -
অর্থাৎ, একটি ব্যাংককে তার মোট ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের বিপরীতে ন্যূনতম ১২.৫% মূলধন সংরক্ষণ করতে হয়, যাতে সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলা ও আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা যায়।

0
Updated: 2 days ago
সুকুক কী?
Created: 2 days ago
A
ঋণ
B
চেক
C
লাভ
D
বিনিয়োগ সার্টিফিকেট
সুকুক (Sukuk) হলো ইসলামী অর্থব্যবস্থার একটি বিনিয়োগ সার্টিফিকেট, যা কোনো বাস্তব সম্পদ, প্রকল্প বা ব্যবসায়িক উদ্যোগে অংশীদারিত্বের প্রতিনিধিত্ব করে। এটি প্রচলিত বন্ডের মতো ঋণপত্র নয়, কারণ ইসলামী শরিয়তে সুদ (riba) গ্রহণ ও প্রদান নিষিদ্ধ।
-
সুকুক বিনিয়োগকারীদের প্রকৃত সম্পদের মালিকানা অধিকার প্রদান করে, অর্থাৎ তারা সম্পদের ওপর আংশিক মালিকানা লাভ করে।
-
বিনিয়োগকারীরা সুকুক থেকে লাভ-ক্ষতি ভাগাভাগির ভিত্তিতে আয় পান, যা প্রকল্পের প্রকৃত পারফরম্যান্সের সঙ্গে সম্পর্কিত।
-
এটি সুদনির্ভর ঋণ নয়, বরং বাস্তব সম্পদভিত্তিক বিনিয়োগ, যা ইসলামী আর্থিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
-
সুকুকের মুনাফা হার পূর্বনির্ধারিত নয়, বরং ব্যবসা বা প্রকল্পের আয় থেকে বণ্টিত হয়।
-
এই কাঠামোর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা নৈতিক ও শরিয়তসম্মত উপায়ে আয় অর্জন করতে পারেন, যা ইসলামী পুঁজিবাজারে একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক উপকরণ হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 2 days ago
বাজার ঝুঁকির প্রধান অংশ কোনটি?
Created: 2 days ago
A
সুদের হার
B
বৈদেশিক বিনিয়োগ হার
C
পণ্য ঝুঁকি
D
উপরের সবগুলো
বাজার ঝুঁকি (Market Risk) এমন একটি ঝুঁকি যা মূলত বাজারের সামগ্রিক অবস্থার পরিবর্তনের কারণে সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো সুদের হার (Interest Rate), কারণ সুদের হার পরিবর্তনের ফলে বিনিয়োগের মূল্য সরাসরি প্রভাবিত হয়।
পয়েন্ট আকারে ব্যাখ্যা:
-
সুদের হার পরিবর্তন হলে শেয়ার, বন্ড বা অন্যান্য বিনিয়োগের বাজারমূল্য ওঠানামা করে, যা বাজার ঝুঁকির প্রধান উৎস।
-
সুদের হার বাড়লে, বন্ডের মতো স্থির আয়ের বিনিয়োগের মূল্য কমে যায়, কারণ নতুন বন্ডগুলো বেশি রিটার্ন দেয়।
-
বিপরীতে, সুদের হার কমলে, পুরনো বন্ডের মূল্য বাড়ে, কারণ সেগুলো তুলনামূলকভাবে বেশি রিটার্ন দেয়।
-
এই পরিবর্তনের প্রভাব শেয়ারবাজারেও পড়ে, কারণ সুদের হার বৃদ্ধি পুঁজির খরচ বাড়ায় এবং ভবিষ্যৎ মুনাফার বর্তমান মূল্য হ্রাস করে।
-
ফলে, সুদের হার বাজার ঝুঁকির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক হিসেবে বিবেচিত হয়, যা পুরো বিনিয়োগ পোর্টফোলিওর মানকে প্রভাবিত করতে পারে।

0
Updated: 2 days ago